If you're in doubt ask الله.
Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
প্রশ্ন: এমন অনেক ছাত্র দেখতে পাওয়া যায়, যারা আশআরী বা অন্যান্য বিদআতী শিক্ষকের কাছে আকীদা ছাড়া নাহু-সরফ বা অন্যান্য আরবী ব্যাকরণ পড়ে। এভাবে তাদের কাছে কি পড়া যাবে?
ㅤ
জবাব: যদি সে ছাত্র আকীদায় পারদর্শী হয় এবং পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখে, তাহলে তাদের কাছে পড়াশোনা করা যেতে পারে। আর যদি সে আকীদায় তেমন জ্ঞান না রাখে এবং পারদর্শী না হয়, তাহলে পড়াশোনা করা যাবে না।
ㅤ
আমি বলব, সালাফগণ বিদআতীদের কাছে যেতে ও তাদের থেকে জ্ঞানার্জন করা থেকে চরমভাবে নিষেধ করেছেন। কারণ, তাদের কাছে গেলে বা তাদের থেকে জ্ঞানার্জন করলে, জ্ঞানার্জনকারীর ওপর তাদের প্রভাব পড়ে। ছাত্রদের কাছে তাদের বিদআতগুলো সহজ মনে হয় এবং তারাও এক সময় বিদআতে জড়িয়ে পড়ে।
ㅤ
আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে এমন অনেক সালাফী ছাত্র দেখেছি, যারা বিদআতী প্রতিষ্ঠানে হিফয করেছে বা বিদআতী প্রতিষ্ঠানে কোনো ব্যাকরণ ও সাহিত্য পড়েছে বা দাওরায়ে-হাদীস শেষ করার পর কিছুদিনের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করেছে―এমন ছাত্রদের অনেকেই সালাফিয়াত ত্যাগ করে বিদআতী হয়ে গিয়েছে। আবার কতক সরাসরি বিদআতী না-হলেও সালাফীদের কর্মকাণ্ড তাদের কাছে ভালো লাগে না বরং অন্যান্য ছাত্রদের মাঝে বিদআতীদের গুণগান করে এবং সালাফীদের ব্যাপারে অন্যকে অনুৎসাহিত করে।
ㅤ
তাই যে-কোনো শাস্ত্র হোক না কেন বা যত অভিজ্ঞ হোক না কেন, বিদআতীদের কাছে পড়াশোনা করা মানে নিজেকে ভয়ানক অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া। এ কারণে আমরা বড়ো-বড়ো ইমামদের দেখতে পাই, তারা বিদআতীদের থেকে কুরআনের একটি আয়াতও শুনতে চাইতেন না। তাবিয়ীদের শ্রেষ্ঠ সাত ফকীহদের অন্যতম একজন হলেন, ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সীরীন রাহিমাহুল্লাহ। তার কাছে দুজন বিদআতী প্রবেশ করে। তাদের একজন মুহাম্মাদ ইবন সীরীনকে বলে, আমি আপনাকে একটি হাদীস শোনাতে চাই।
ㅤ
জবাবে তিনি বলেন, আমি আপনার থেকে শুনতে চাই না। তখন দ্বিতীয়জন বলে, আমি আপনাকে একটি আয়াত শোনাতে চাই। জবাবে তিনি বলেন, আমি আপনার থেকেও শুনতে চাই না। এরপর মুহাম্মাদ ইবন সীরীন বলেন, হয় তোমরা এখান থেকে চলে যাবে আর না-হয় আমি চলে যাবো। তারা চলে যাওয়ার পর লোকজন তাকে বলেন, তারা আপনাকে আয়াত বা হাদীস শোনালে তেমন কী সমস্যা ছিল? তিনি বলেন, আমার ভয় হয়, তারা বিকৃত করে আয়াত বা হাদীস শোনাবে আর তা আমাদের অন্তরে প্রভাব ফেলবে।[1]
ㅤ
প্রধান সাত ফকীহর একজন, বিরাট মুহাদ্দিস ও ইমাম হওয়া সত্ত্বেও বিদআতীদের থেকে একটি আয়াত ও হাদীস শোনার ব্যাপারে এ যদি হয় তার অবস্থা, তাহলে অন্যরা কীভাবে বিদআতীদের থেকে পড়াশোনা করে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারে!?
ㅤ
আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন সালিহ আল-উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন, বিদআতীদের থেকে কোনো জ্ঞান নেওয়া যাবে না; এমনকী তা যদি বিদআত সংশ্লিষ্ট নাও হয়। যেমন আমরা যদি একজন বিদআতীকে পাই, যে আরবীভাষা যেমন বালাগাত, নাহু ও সরফে পারদর্শী, তাহলে আমরা কি তার কাছে যাবো এবং সে যে জ্ঞানে পারদর্শী সে জ্ঞান তার থেকে অর্জন করব না-কি তাকে বর্জন করব? শাইখ বকর আবূ যাইদের কথা থেকে বোঝা যায়, আমরা তার কাছে যাবো না। কারণ, এর ফলে দুটি ক্ষতি অবশ্যসম্ভাবী:
ㅤ
• প্রথম ক্ষতি: বিদআতী ধোঁকায় পড়বে এবং নিজের ব্যাপারে মনে করবে যে, সে হকের ওপর রয়েছে।
ㅤ
• দ্বিতীয় ক্ষতি: মানুষেরা ধোঁকায় পড়বে। মানুষ ও ছাত্ররা তার কাছে দলে দলে ছুটে আসবে এবং তার থেকে জ্ঞানার্জন করবে। আর সাধারণ ব্যক্তি ব্যাকরণশাস্ত্র ও আকীদাশাস্ত্রের মাঝে পার্থক্য করতে সক্ষম নয়।
ㅤ
তাই আমরা মনে করি, মানুষেরা যে-কোনো অবস্থায় বিদআতী ও প্রবৃত্তিপূজারীদের কাছে যাবে না; এমনকী যদি বিদআতীদের ছাড়া আরবীভাষা, বালাগাত, আরবী ব্যাকরণ ইত্যাদিতে ভালো শিক্ষক নাও পায়।
ㅤ
আশা করা যায়, এর মাধ্যমে আল্লাহ তার জন্য কল্যাণ রাখবেন। কারণ, আমরা যদি তাদের কাছে যাতায়াত করি, তাহলে নিঃসন্দেহে তারা নিজেরা ধোঁকায় পড়বে এবং জনসাধারণ ধোঁকায় পড়বে।[2]
ㅤ
তবে শাইখ ফাওযান তাদের থেকে আকীদা সংশ্লিষ্ট বিষয় নয় এমন জ্ঞান অর্জন করার ছাড় দিয়েছেন।[3]
ㅤ
[1] সুনানুদ দারিমী, ৩৯৭
[2] শারহু হিলইয়াতি তলিবিল ইলম, পৃ. ১৩৮
[3] আল-আজবিবাতুল মুফীদা আন আসআলাতিল মানাহিজিল জাদীদা, পৃ. ১৬৫
ㅤ
ㅤ
জবাব: যদি সে ছাত্র আকীদায় পারদর্শী হয় এবং পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখে, তাহলে তাদের কাছে পড়াশোনা করা যেতে পারে। আর যদি সে আকীদায় তেমন জ্ঞান না রাখে এবং পারদর্শী না হয়, তাহলে পড়াশোনা করা যাবে না।
ㅤ
আমি বলব, সালাফগণ বিদআতীদের কাছে যেতে ও তাদের থেকে জ্ঞানার্জন করা থেকে চরমভাবে নিষেধ করেছেন। কারণ, তাদের কাছে গেলে বা তাদের থেকে জ্ঞানার্জন করলে, জ্ঞানার্জনকারীর ওপর তাদের প্রভাব পড়ে। ছাত্রদের কাছে তাদের বিদআতগুলো সহজ মনে হয় এবং তারাও এক সময় বিদআতে জড়িয়ে পড়ে।
ㅤ
আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে এমন অনেক সালাফী ছাত্র দেখেছি, যারা বিদআতী প্রতিষ্ঠানে হিফয করেছে বা বিদআতী প্রতিষ্ঠানে কোনো ব্যাকরণ ও সাহিত্য পড়েছে বা দাওরায়ে-হাদীস শেষ করার পর কিছুদিনের জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করেছে―এমন ছাত্রদের অনেকেই সালাফিয়াত ত্যাগ করে বিদআতী হয়ে গিয়েছে। আবার কতক সরাসরি বিদআতী না-হলেও সালাফীদের কর্মকাণ্ড তাদের কাছে ভালো লাগে না বরং অন্যান্য ছাত্রদের মাঝে বিদআতীদের গুণগান করে এবং সালাফীদের ব্যাপারে অন্যকে অনুৎসাহিত করে।
ㅤ
তাই যে-কোনো শাস্ত্র হোক না কেন বা যত অভিজ্ঞ হোক না কেন, বিদআতীদের কাছে পড়াশোনা করা মানে নিজেকে ভয়ানক অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া। এ কারণে আমরা বড়ো-বড়ো ইমামদের দেখতে পাই, তারা বিদআতীদের থেকে কুরআনের একটি আয়াতও শুনতে চাইতেন না। তাবিয়ীদের শ্রেষ্ঠ সাত ফকীহদের অন্যতম একজন হলেন, ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সীরীন রাহিমাহুল্লাহ। তার কাছে দুজন বিদআতী প্রবেশ করে। তাদের একজন মুহাম্মাদ ইবন সীরীনকে বলে, আমি আপনাকে একটি হাদীস শোনাতে চাই।
ㅤ
জবাবে তিনি বলেন, আমি আপনার থেকে শুনতে চাই না। তখন দ্বিতীয়জন বলে, আমি আপনাকে একটি আয়াত শোনাতে চাই। জবাবে তিনি বলেন, আমি আপনার থেকেও শুনতে চাই না। এরপর মুহাম্মাদ ইবন সীরীন বলেন, হয় তোমরা এখান থেকে চলে যাবে আর না-হয় আমি চলে যাবো। তারা চলে যাওয়ার পর লোকজন তাকে বলেন, তারা আপনাকে আয়াত বা হাদীস শোনালে তেমন কী সমস্যা ছিল? তিনি বলেন, আমার ভয় হয়, তারা বিকৃত করে আয়াত বা হাদীস শোনাবে আর তা আমাদের অন্তরে প্রভাব ফেলবে।[1]
ㅤ
প্রধান সাত ফকীহর একজন, বিরাট মুহাদ্দিস ও ইমাম হওয়া সত্ত্বেও বিদআতীদের থেকে একটি আয়াত ও হাদীস শোনার ব্যাপারে এ যদি হয় তার অবস্থা, তাহলে অন্যরা কীভাবে বিদআতীদের থেকে পড়াশোনা করে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারে!?
ㅤ
আল্লামা মুহাম্মাদ ইবন সালিহ আল-উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহ বলেন, বিদআতীদের থেকে কোনো জ্ঞান নেওয়া যাবে না; এমনকী তা যদি বিদআত সংশ্লিষ্ট নাও হয়। যেমন আমরা যদি একজন বিদআতীকে পাই, যে আরবীভাষা যেমন বালাগাত, নাহু ও সরফে পারদর্শী, তাহলে আমরা কি তার কাছে যাবো এবং সে যে জ্ঞানে পারদর্শী সে জ্ঞান তার থেকে অর্জন করব না-কি তাকে বর্জন করব? শাইখ বকর আবূ যাইদের কথা থেকে বোঝা যায়, আমরা তার কাছে যাবো না। কারণ, এর ফলে দুটি ক্ষতি অবশ্যসম্ভাবী:
ㅤ
• প্রথম ক্ষতি: বিদআতী ধোঁকায় পড়বে এবং নিজের ব্যাপারে মনে করবে যে, সে হকের ওপর রয়েছে।
ㅤ
• দ্বিতীয় ক্ষতি: মানুষেরা ধোঁকায় পড়বে। মানুষ ও ছাত্ররা তার কাছে দলে দলে ছুটে আসবে এবং তার থেকে জ্ঞানার্জন করবে। আর সাধারণ ব্যক্তি ব্যাকরণশাস্ত্র ও আকীদাশাস্ত্রের মাঝে পার্থক্য করতে সক্ষম নয়।
ㅤ
তাই আমরা মনে করি, মানুষেরা যে-কোনো অবস্থায় বিদআতী ও প্রবৃত্তিপূজারীদের কাছে যাবে না; এমনকী যদি বিদআতীদের ছাড়া আরবীভাষা, বালাগাত, আরবী ব্যাকরণ ইত্যাদিতে ভালো শিক্ষক নাও পায়।
ㅤ
আশা করা যায়, এর মাধ্যমে আল্লাহ তার জন্য কল্যাণ রাখবেন। কারণ, আমরা যদি তাদের কাছে যাতায়াত করি, তাহলে নিঃসন্দেহে তারা নিজেরা ধোঁকায় পড়বে এবং জনসাধারণ ধোঁকায় পড়বে।[2]
ㅤ
তবে শাইখ ফাওযান তাদের থেকে আকীদা সংশ্লিষ্ট বিষয় নয় এমন জ্ঞান অর্জন করার ছাড় দিয়েছেন।[3]
ㅤ
[1] সুনানুদ দারিমী, ৩৯৭
[2] শারহু হিলইয়াতি তলিবিল ইলম, পৃ. ১৩৮
[3] আল-আজবিবাতুল মুফীদা আন আসআলাতিল মানাহিজিল জাদীদা, পৃ. ১৬৫
ㅤ
▣ মানহাজুস সালাফ
• মূল: যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহি.)
• সংকলন, অনুবাদ ও টীকা: আব্দুল্লাহ মাহমুদ
• সম্পাদনা: শাইখ ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
• প্রকাশনায়: বিলিভার্স ভিশন
ㅤ
শীঘ্রই প্রকাশিতব্য ইনশাআল্লাহ।
• মূল: যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রাহি.)
• সংকলন, অনুবাদ ও টীকা: আব্দুল্লাহ মাহমুদ
• সম্পাদনা: শাইখ ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী
• প্রকাশনায়: বিলিভার্স ভিশন
ㅤ
শীঘ্রই প্রকাশিতব্য ইনশাআল্লাহ।