- Joined
- Feb 18, 2023
- Threads
- 5
- Comments
- 12
- Reactions
- 59
- Thread Author
- #1
প্রশ্ন: সম্মানিত শায়েখ, দাওয়াতের প্রয়োজনের জন্য-বিশেষত সুফিদের সাথে যারা দেশে অনেক বেড়ে গিয়েছে এবং সঠিক আকিদাধারীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাদের সাথে বসা কি জায়েজ? আমাদের দয়া করে জানান। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
উত্তর: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।
মূলতঃ বিদআতিদের (দ্বীনে সংযোজন-বিয়োজনকারীদের) সাথে ওঠাবসা জায়েজ নয়। কারণ এতে তাদের বাতিল কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দেওয়া হয় এবং তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। তবে যদি এর পেছনে কোনো শরয়ি উপকার থাকে, যেমন: তাদের জবাব দেওয়া বা তাদের বাতিল কর্মকাণ্ড প্রকাশ করে দেওয়া তাহলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এটি শুধুমাত্র সেই ব্যক্তি করতে পারে, যার গভীর ইলম (জ্ঞান) রয়েছে এবং যারা তাদের ভুল যুক্তি খণ্ডন করতে সক্ষম।
যেমন: ইবনে আব্বাস রা. খারিজিদের সাথে মোনাজারা (তর্ক-বিতর্ক) করেছিলেন এবং শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াও বিদআতিদের সাথে মোনাজারা করেছেন।
তবে সাধারণ মানুষ এ ধরনের কাজে প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ এতে তারা তাদের ভুল যুক্তি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।
তাই তাদের সাথে বসা বা তাদের কথা শোনা শরয়ি মুনাফার উপর নির্ভর করে। যদি এতে কোনো মুনাফা না থাকে তবে তাদের কথা শোনা বা তাদের সাথে বসা উচিত নয়। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন,
"আর যখন তুমি তাদেরকে দেখতে পাবে যারা আমার আয়াতসমূহ নিয়ে তর্ক করছে, তখন তুমি তাদের থেকে ফিরে যাও যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় লিপ্ত হয়। আর যদি শয়তান তোমাকে ভুলিয়ে দেয়, তবে স্মরণ হওয়ার পর তুমি তাদের জালিম সম্প্রদায়ের সাথে বসবে না।" [সূরা আনআম: ৬৮]
ইমাম হাসান রহ. বলেছেন,
"বিদআতিদের সাথে উঠাবসা করো না, তাদের সাথে তর্ক করো না এবং তাদের কথা শুনো না।"
(ইমাম লালাকাই কর্তৃক বর্ণিত)
আল্লাহু আলাম
উত্তর: সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।
মূলতঃ বিদআতিদের (দ্বীনে সংযোজন-বিয়োজনকারীদের) সাথে ওঠাবসা জায়েজ নয়। কারণ এতে তাদের বাতিল কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দেওয়া হয় এবং তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। তবে যদি এর পেছনে কোনো শরয়ি উপকার থাকে, যেমন: তাদের জবাব দেওয়া বা তাদের বাতিল কর্মকাণ্ড প্রকাশ করে দেওয়া তাহলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে এটি শুধুমাত্র সেই ব্যক্তি করতে পারে, যার গভীর ইলম (জ্ঞান) রয়েছে এবং যারা তাদের ভুল যুক্তি খণ্ডন করতে সক্ষম।
যেমন: ইবনে আব্বাস রা. খারিজিদের সাথে মোনাজারা (তর্ক-বিতর্ক) করেছিলেন এবং শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াও বিদআতিদের সাথে মোনাজারা করেছেন।
তবে সাধারণ মানুষ এ ধরনের কাজে প্রবেশ করতে পারবে না। কারণ এতে তারা তাদের ভুল যুক্তি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে।
তাই তাদের সাথে বসা বা তাদের কথা শোনা শরয়ি মুনাফার উপর নির্ভর করে। যদি এতে কোনো মুনাফা না থাকে তবে তাদের কথা শোনা বা তাদের সাথে বসা উচিত নয়। এ বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَىٰ مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
"আর যখন তুমি তাদেরকে দেখতে পাবে যারা আমার আয়াতসমূহ নিয়ে তর্ক করছে, তখন তুমি তাদের থেকে ফিরে যাও যতক্ষণ না তারা অন্য কথায় লিপ্ত হয়। আর যদি শয়তান তোমাকে ভুলিয়ে দেয়, তবে স্মরণ হওয়ার পর তুমি তাদের জালিম সম্প্রদায়ের সাথে বসবে না।" [সূরা আনআম: ৬৮]
ইমাম হাসান রহ. বলেছেন,
يقول الحسن رحمه الله يقول: لا تجالسوا أهل الأهواء ولا تجادلوهم ولا تسمعوا منهم
"বিদআতিদের সাথে উঠাবসা করো না, তাদের সাথে তর্ক করো না এবং তাদের কথা শুনো না।"
(ইমাম লালাকাই কর্তৃক বর্ণিত)
আল্লাহু আলাম
সোর্স: ইসলাম ওয়েব
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল