বিদআত বদনজর ও হিংসা থেকে বাঁচার জন্য বহুল বিস্তৃত তিরস্কারযোগ্য বিদয়াতসমূহ

Joined
Feb 23, 2023
Threads
367
Comments
419
Reactions
2,143
কুনজর ও হিংসা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের বিদয়াত চালু করেছে এবং তারা বিশ্বাস করে যে, এসব বিদয়াত কুনজরের ও হিংসুকের অনিষ্ট দূর করে। এসব বিদয়াত হলো:

১. তাবিজ-কবচ: এ তাবিজ আরবরা তাদের শিশুদের গলায় বেঁধে দিত তাদেরকে কুনজরের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। এটা এক ধরনের শিরক্। কারণ এক হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

مَنْ تَعَلَّقَ تَمِيمَةً فَقَدْ أَشْرَكَ​

"যে ব্যক্তি গলায় তাবিজ পরল, সে শিরক্ করল।"

২. যেসব তাবিজে কুরআন ও হাদীস ব্যতিত অন্য কোনো কথা রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করাও শিরক্। ছে সোড়িতে প্রাণীর খোলস ঝুলানো, যেগুলো আসে সমুদ্র থেকে, ব্যবহার করা হয় কুনজরের বিপরীতে সুরক্ষার জন্য। হার অর্ধচন্দ্র অথবা প্রাণীর দাঁত ও হাড়ের আকারে নীল রঙের তসবিহ ও ধাতব গুটি সজ্জিত নেকলেস রাখা।

৫. ঘোড়া অথবা গাধার ক্ষুর টানানো অথবা বাড়ির দরজায় তামার তৈরি মাঝখানে চোখ অলা হাত রাখা, বাহনের জন্য ব্যবহৃত প্রাণীর ঘাড়ের চারদিকে এবং গাড়িতে এটা লাগানো।

৬. নীল পুতি দিয়ে সজ্জিত আংটি পরিধান করা, এবং এতে কিছু কথা লেখা থাকে কুনজর থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য।

৭. বাড়িতে ও খামারে বিভিন্ন প্রাণীর কঙ্কাল ঝুলিয়ে রাখা।

৮. বরযাত্রী মেহমানদের গায়ে লবণ ছিটিয়ে দেয়া, বিভিন্ন দেশে এ কাজটি করা হয় বর ও কনেকে কুনজরের প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য।

৯. অদ্ভুত কিছু শব্দ ও বাক্য এ বিশ্বাসে ব্যবহার করা যে, এগুলো কুনজরের কুপ্রভাব দূর করবে, যেমন বলা: খামছা ও খুমাইশ'(আরবি শব্দ খামছা মানে হল-পাঁচ; আর খুমাইশ মানে হল হাতের মতো দেখতে এক ধরনের অলঙ্কার, যা বদনজর ও হিংসার প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য তাবিজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।) অথবা ইমছিকুল খাশাব (কাঠ স্পষ্ট করা)-এ সব শব্দ এসেছে হিন্দু ধর্ম থেকে। কারণ হিন্দুরা কাঠকে পবিত্র মনে করে এবং তাদের ধারণা এ কাঠ তাদেরকে বিভিন্ন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

১০. গাড়িতে কিছু কথা লিখে রাখা, যেমন: "আ'ইনাল হুসুদ ফিহা উ'দ (হিংসুকের চোখে লাঠি) ইত্যাদি।

১১. ধুপ অসুস্থ ব্যক্তিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এমন বিশ্বাস করা।

এগুলো তিরষ্কারযোগ্য কিছু বিদয়াত বা নব্যপ্রবর্তন, আর সাধারণ মানুষ মনে করে এগুলো পালন করলে বা মেনে চললে কুনজর ও মানুষের হিংসা থেকে বাঁচা যাবে।



বই: জিন এবং জিনকেন্দ্রিক অসুস্থতা।​
 
Back
Top