• আসসালামু আলাইকুম, খুব শীঘ্রই আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন আপনারা প্রবেশ করতে পারবেন না। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সালাত ফরয নামাযের পর দোয়া করার হুকুম

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Top Active User
Threads
870
Comments
1,022
Reactions
9,741
Credits
4,384
সৌদি স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্রে এসেছে:

ফরয নামাযের পর হাত তুলে দোয়া করা সুন্নত নয়; চাই সেটা ইমাম একাকী করুক, কিংবা মুক্তাদি একাকী করুক কিংবা উভয়ে সম্মিলিতভাবে করুক। বরং সেটা বিদাত। কেননা এমন কোন আমল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কিংবা তাঁর সাহাবীবর্গ থেকে উদ্ধৃত হয়নি। পক্ষান্তরে, হাত না তুলে দোয়া করতে কোন অসুবিধা নেই। যেহেতু এই মর্মে কিছু হাদিস উদ্ধৃত আছে।[ফাতাওয়াল লাজনানদ দায়িমা (৭/১০৩)]

স্থায়ী কমিটিকে আরও জিজ্ঞেস করা হয় যে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের শেষে দুই হাত তুলে দোয়া করা কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত আছে; নাকি নেই? যদি সাব্যস্ত না থাকে তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের শেষে দুই হাত তুলে দোয়া করা কি জায়েয হবে; নাকি হবে না? জবাবে তারা বলেন: আমাদের জানা মতে, ফরয নামাযের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়া করার জন্য হাত তুলেছেন মর্মে কিছু সাব্যস্ত হয়নি। ফরয নামাযের সালামের পরে হাতদ্বয় তোলা সুন্নাহ বিরোধী।”[ফাতাওয়াল লাজনানহ (৭/১০৪)]

কমিটি আরও অবহিত করে যে: “পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের শেষে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সুন্নত নামাযগুলোর শেষে নিয়মিত সম্মিলিতভাবে উচ্চস্বরে দোয়া করা গর্হিত বিদাত। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কিংবা তাঁর সাহাবীবর্গ থেকে এই মর্মে কোন কিছু সাব্যস্ত হয়নি। যে ব্যক্তি ফরয নামাযগুলোর শেষে কিংবা সুন্নত নামাযগুলোর শেষে সম্মিলিতভাবে দোয়া করে এক্ষেত্রে সে ব্যক্তি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের বিরোধী। উপরন্তু যে ব্যক্তি তার সাথে মতভেদ করেছে এবং তার মত আমল করছে না তাকে কাফের বলা কিংবা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অনুসারী না বলা তার অজ্ঞতা, পথভ্রষ্টতা ও বাস্তবতাকে পরিবর্তন।
ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা (১/৩১৯)

আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।

সূত্র: ইসলাম কিউএ. ইনফো, ফতোয়া নং ২১৯৭৬
 
COMMENTS ARE BELOW
Top