সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।
Md Atiar Rahaman Halder

প্রশ্ন ফজরের ক্বাজা সলাত সম্পর্কে

Md Atiar Rahaman Halder

Salafi

Salafi User
Threads
62
Comments
84
Reactions
757
Credits
422
আসসালা--মু আলাইকুম

প্রশ্ন– যোহরের ওয়াক্তের পূর্বে যদি ফজরের সলাত ক্বাজা আদায় করি, তাহলে কি ফজরের সুন্নত সলাত আদায় করতে হবে? যদি ফজরের সুন্নত সলাত আদায় করতে হয়, তাহলে নিয়েত কিভাবে করব? সুন্নত সলাতের ক্বাজার নিয়ত করব নাকি শুধু সুন্নতের নিয়ত করব? অনুগ্রহ করে সহি হাদিসের আলোকে জানাবেন।​
 

Habib Bin Tofajjal

If you're in doubt ask الله.

Forum Staff
Moderator
Generous
ilm Seeker
Uploader
Exposer
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
688
Comments
1,213
Solutions
17
Reactions
6,617
Credits
5,415
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

প্রশ্ন : এক ওয়াক্তের সালাত কাজা হলে ফরজের মতো সুন্নতেরও কাজা পড়ে নেওয়া কি উত্তম?

উত্তর : প্রথম কথা হচ্ছে, সালাতের কাজা বলে কিছু নেই। সুতরাং কাজা করার কোনো সিস্টেম সালাতের মধ্যে নেই, এটা ভুল কাজ।

তবে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো কারণে সালাত আদায় করতে ভুলে যান, তাহলে মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেই সালাত আদায় করে নেবেন। সেখানে সুন্নত আদায় করতে হবে, তা বাধ্যতামূলক নয়। সুন্নত আদায় না করেও তিনি শুধু ফরজটা আদায় করলেই যথেষ্ট। তখন আর সুন্নত পড়ার দরকার নেই। শুধু ফরজটা তিনি আদায় করে নেবেন।

উত্তর প্রদানে শাইখ ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ মাদানী।



বিনা ওজরে ইচ্ছাকৃত নামায ছেড়ে দিলে বা সুযোগ ও সময় থাকা সত্ত্বেও না পড়ে অন্য ওয়াক্ত এসে গেলে পাপ তো হবেই; পরন্তু সে নামাযের আর কাযা নেই। পড়লেও তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিনা ওজরে যথাসময়ে নামায না পড়ে অন্য সময়ে কাযা পড়ায় কোন লাভ নেই। বরং যে ব্যক্তি এমন করে ফেলেছে তার উচিৎ, বিশুদ্ধচিত্তে তওবা করা এবং তারপর যথাসময়ে নামায পড়ায় যত্নবান হওয়ার সাথে সাথে নফল নামায বেশী বেশী করে পড়া। (মুহাল্লা, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ ১/২৪১-২৪৩, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ উর্দু ৭৮পৃ:, ১নং টীকা, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ৫/৩০৬, ১৫/৭৭, ১৬/১০৫, ২০/১৭৪, মিশকাত ৬০৩নংহাদীসের আলবানীর টীকা দ্র:)

কেউ অজ্ঞান থাকলে জ্ঞান ফিরার পূর্বের নামায কাযা পড়তে হবে না। কারণ, সে জ্ঞানহীন পাগলের পর্যায়ভুক্ত। আর পাগলের পাপ-পুণ্য কিছু নেই। (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ৩২৮৭ নং, মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ২৬/১২৮, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ ১/২৪১, আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ২/১২৬) ইবনে উমার (রাঃ) অজ্ঞান অবস্থায় কোন নামায ত্যাগ করলে তা আর কাযা পড়তেন না। (আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ, ফিকহুস সুন্নাহ্‌ ১/২৪১)

অবশ্য নামায পড়তে পারত এমন সময়ের পর অজ্ঞান হলে জ্ঞান ফিরার পর সেই সময়ের নামায কাযা পড়া জরুরী। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ২/১২৬-১২৭)

- উপরউক্ত অংশটুকু শাইখ আব্দুল হামীদ ফাইযী আল মাদানী (হাফিঃ)'র স্বালাতে মুবাশ্‌শির বইয়ের কাযা নামাযের বিধিবিধান অধ্যায় থেকে নেওয়া।


আমি সাজেস্ট করবো স্বালাত সম্পর্কে আপনার কিছু জানার থাকলে স্বলাতে মুবাশশির (ﷺ) | Salate Mubasshir - PDF এই বইটি পড়ে নিলেই যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
 
Top