সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: (৫০৩) তাওয়াফ-সা‘ঈতে কি বিশেষ কোনো দো‘আ আছে?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,138
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,741
Credits
24,212
উত্তর: হজ-উমরার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দো‘আ নেই। মানুষ জানা যে কোনো দো‘আ পাঠ করতে পারবে। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত দো‘আসমূহ পাঠ করা উত্তম। বিশেষ করে রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে এ দো‘আ পাঠ করা সুন্নাত: رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ “রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাতাঁও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ্, ওয়াক্বিনা আযাবান্নার।” অনুরূপভাবে সাফা-মারওয়ায় ও ‘আরাফার দিবসের প্রমাণিত দো‘আ পাঠ করতে পারে। সুন্নাত থেকে প্রমাণিত যে সকল দো‘আ জানা আছে তাই পাঠ করা উচিৎ। কিন্তু জানা না থাকলে তার মাথায় যে দো‘আই আসে তাই পাঠ করা যাবে। কেননা এ দো‘আ পাঠ করা ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত নয়; বরং তা মুস্তাহাব।

এ উপলক্ষে আমি বলতে চাই, হজ-উমরার জন্য ছোট ছোট পুস্তিকা হাজীদের হাতে দেখা যায়। তাতে তাওয়াফ-সা‘ঈর প্রত্যেক চক্করের জন্য ভিন্ন ভিন্ন দো‘আ নির্দিষ্ট করা থাকে। এটা বিদ‘আত। এতে নিশ্চিতভাবে অনেক ধরনের বিপদ আছে। যেমন,

১) যারা এটা পাঠ করে, তারা ধারণা করে যে, বইয়ের দো‘আগুলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত। অথচ তা সাব্যস্ত নয়।

২) তারা এ দো‘আর প্রত্যেকটি শব্দ পাঠ করা ইবাদত মনে করে।

৩) কোনো মর্ম বা অর্থ না বুঝেই তা পাঠ করে।

৪) প্রত্যেক চক্করের জন্য আলাদা আলাদা দো‘আ নির্দিষ্ট করে।

৫) ভীড়ের কারণে চক্কর পূর্ণ হওয়ার আগেই দো‘আ পড়া শেষ হয়ে গেলে চুপ করে থাকে।

৬) আর দো‘আ শেষ হওয়ার আগে চক্কর শেষ হয়ে গেলে দো‘আ পড়া ছেড়ে দেয়। এ বিদ‘আতী আমলের কারণে এতগুলো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।

অনুরূপভাবে মাক্বামে ইবরাহীমের কাছে পাঠ করার জন্য ঐ বইয়ে যে দো‘আ পাওয়া যায়, তাও বিদ‘আত। কেননা তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত নয়। বরং তিনি সেখানে গিয়ে পাঠ করেছেন, وَٱتَّخِذُواْ مِن مَّقَامِ إِبۡرَٰهِ‍ۧمَ مُصَلّٗى “তোমরা মাক্বামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থান হিসেবে গ্রহণ কর।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১২৫] এবং তিনি এর পিছনে দু’রাকাত সালাত আদায় করেছেন। অতএব, যারা এখানে এসে অতিরিক্ত দো‘আ পাঠ করে এবং অন্যান্য মুসল্লী ও তাওয়াফকারীদের মনোযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, তাদের এ কাজ দু’টি কারণে গর্হিত ও বিদ‘আত:

(ক) এ সমস্ত দো‘আ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত না হওয়ার কারণে তা বিদ‘আত।

(খ) যারা মাক্বামে ইবরাহীমের পিছনে সালাত আদায় করে তাদের সালাতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম। লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।
 
Top