‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: (৪৯২) জনৈক ব্যক্তি হজ আদায় করার ক্ষেত্রে ভুলে লিপ্ত হয়েছে। ভুলের কাফফারা দেওয়ার জন্য তার কাছে তেমন কিছু ছিল না। সে দেশে ফেরত চলে গেছে। উক্ত কা

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,135
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
উত্তর: হজ পালনকারী কি ভুল করেছেন তা নির্দিষ্টভাবে অবশ্যই জানতে হবে। যদি কোনো ওয়াজিব পরিত্যাগ করে থাকে, তবে ফিদইয়া হিসেবে মক্কাতে একটি কুরবানী করতে হবে। মক্কা ছাড়া অন্য কোথাও প্রদান করলে জায়েয হবে না। কেননা তা হজের সাথে সম্পৃক্ত।

কিন্তু যদি ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কোনো কাজ ইচ্ছাকৃতভাবে করে থাকে, তবে নিম্নলিখিত তিনটি পদ্ধতির যে কোনো একটি অবলম্বন করতে পারে:

ক) একটি ছাগল যবেহ করে মক্কার হারাম এলাকার ফকীরদের মাঝে বন্টন করে দিবে। অথবা

খ) ছয়জন মিসকীনকে খাদ্য দিবে। প্রত্যেককে অর্ধ ছা’ (প্রায় সোয়া কেজী) পরিমাণ খাদ্য দিবে। আর তা মক্কায় হতে হবে অথবা যে স্থানে ঐ নিষিদ্ধ কাজ করা হয়েছে সেখানে। অথবা

গ) তিন দিন সাওম রাখবে। এ তিনটি সাওম মক্কা বা যে কোনো স্থানে রাখতে পারে তবে নিষিদ্ধ কাজটি যদি হজের প্রথম হালালের আগে স্ত্রী সহবাস হয়, তবে ওয়াজিব হচ্ছে- নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত হওয়ার স্থানে অথবা মক্কায় একটি উট যবেহ করবে এবং ফকীরদের মাঝে বিতরণ করে দিবে।

অথবা নিষিদ্ধ কাজটি যদি কোনো প্রাণী শিকার করা হয়, তবে ওয়াজিব হচ্ছে- তার অনুরূপ প্রাণী যবেহ করা অথবা ছয়জন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করা বা তিনটি সিয়াম পালন করা। সিয়াম পালন যে কোনো স্থানে করা যায়। কিন্তু খাদ্য দান বা কুরবানী যবেহ করা অবশ্যই মক্কার হারাম এলাকার মধ্যে হতে হবে। কেননা আল্লাহ বলেন, “হাদঈ কা‘বা ঘর পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিবে।” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৯৫]

অন্য মানুষকে দায়িত্ব দিয়ে উক্ত কাফফারা আদায় করা জায়েয আছে। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর অবশিষ্ট কুরবানীগুলো যবেহ করার জন্য আলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

সূত্র: ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম। লেখক: শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)।
 

Share this page