‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : হাদীছে বর্ণিত হয়েছে যে, অচিরেই ফোরাত নদী তার মধ্যস্থিত স্বর্ণভান্ডার উন্মুক্ত করে দিবে। কিন্তু তা গ্রহণ করা যাবে না। হাদীছটির ব্যাখ্যা কি?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,139
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
উত্তর : এটি ক্বিয়ামতের আলামতসমূহের অন্যতম, যা এখনও প্রকাশিত হয়নি। আব্দুল্লাহ ইবনুল হারিছ ইবনু নাওফাল (রহঃ) বলেন, আমি উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)-এর সাথে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় তিনি বললেন, মানুষ বিভিন্নভাবে দুনিয়াবী সম্পদ উপার্জনে ব্যস্ত থাকবে। আমি বললাম, হ্যাঁ, ঠিকই। তখন তিনি বললেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, শীঘ্রই ফোরাত নদী তার গর্ভস্থিত স্বর্ণ পাহাড় বের করে দিবে। এ কথা শুনামাত্রই লোকজন সেদিকে ছুটে যাবে। তখন সেখানকার লোকেরা বলবে, আমরা যদি লোকদেরকে ছেড়ে দেই, তবে তারা সবকিছুই নিয়ে যাবে। ফলে তারা পরস্পরে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং এতে প্রতি একশ’-র মধ্যে নিরানববই জনই নিহত হবে’ (মুসলিম হা/২৮৯৫; আহমাদ হা/২১২৯৭; মিশকাত হা/৫৪৪৩)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, প্রত্যেকে বলবে, আমি এ যুদ্ধে বেঁচে যাব এবং স্বর্ণের পাহাড়টি দখল করে নেব (মুসলিম হা/২৮৯৪; মিশকাত হা/৫৪৪৩)। প্রথম হাদীছে ‘কানযুম মিনায যাহাব’ বলা হয়েছে, যার অর্থ ‘লুক্কায়িত স্বর্ণভান্ডার’। এতে প্রকাশিত হওয়ার পূর্বের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। দ্বিতীয় হাদীছে বলা হয়েছে ‘জাবালুম মিনায যাহাব’ অর্থ ‘স্বর্ণের পাহাড়’। এতে প্রকাশিত হওয়ার পরের অবস্থাকে বুঝানো হয়েছে। রাসূল (ছাঃ) আরেক বর্ণনায় হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, ‘সে সময় যারা উপস্থিত থাকবে তারা যেন তা (স্বর্ণ) থেকে কিছুই গ্রহণ না করে’ (বুখারী হা/৭১১৯; মুসলিম হা/২৮৯৪; মিশকাত হা/৫৪৪২)। কারণ সেখানে পৌঁছতে হ’লে তার নিজের জন্য এবং অপরের জন্য সমূহ ক্ষতির আশংকা রয়েছে (দলীলুল ফালেহীন ৮/৬৪৫; ফাৎহুল বারী ১৩/৮১)
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।
 

Share this page