‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : সাংগঠনিক নিয়মে আমাকে ইহতিসাব রাখতে হয় এবং উর্ধ্বতন দায়িত্বশীলকে দেখাতে হয়। এটি কি রিয়া তথা লোক দেখানো আমলের অন্তর্ভুক্ত হবে?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,138
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
উত্তর : ‘ইহতিসাব’ (اَلْإحْتِسَابُ) অর্থ আল্লাহর নিকটে ছওয়াব কামনা করা। মুমিনগণ তাদের সকল সৎকর্মে স্রেফ আল্লাহর নিকটে ছওয়াব ও পুরস্কার আশা করে। আর ছওয়াব কামনা ব্যতীত আল্লাহর নিকটে বান্দার কোন আমলই কবুল হয় না। সংগঠনে ‘ইহতিসাব’ রাখার উদ্দেশ্য হ’ল অধিক সৎকর্মের মাধ্যমে অধিক ছওয়াবের আকাঙ্ক্ষা করা এবং দুনিয়াবী জবাবদিহিতার মাধ্যমে আখেরাতে জবাবদিহিতার অনুভূতি তীব্রতর করা। ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ বান্দাকে বলবেন, ‘তুমি তোমার আমলনামা পাঠ কর। আজ তুমি নিজেই নিজের হিসাবের জন্য যথেষ্ট’ (বনু ইস্রাঈল ১৭/১৪ আয়াত)। ওমর (রাঃ) বলেন, তোমরা আল্লাহর নিকট হিসাব দেওয়ার আগে নিজেদের হিসাব গ্রহণ কর’ (তিরমিযী হা/২৪৫৯, মওকূফ)। নিজের আমলের হিসাব সংরক্ষণের মাধ্যমে একদিকে যেমন নিজেই নিজের আমলগত উন্নতি-অবনতির হিসাব গ্রহণ করা যায়, তেমনি ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলকে তা দেখানোর মাধ্যমে অন্য মুমিনের আয়নায় নিজেকে সংশোধন ও সুপরামর্শ লাভের সুযোগ পাওয়া যায়। অধিক নেক আমলের জন্য কেউ যদি প্রশংসারও পাত্র হন তাতেও কোন দোষ নেই। কেননা একদা আবূ যর গিফারী (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন, যে ব্যক্তি সৎকর্ম করে এবং লোকেরা তার প্রশংসা করে তার বিষয়ে আপনার মতামত কি? জবাবে রাসূল (ছাঃ) বললেন, এটি হ’ল মুমিনের জন্য আগাম সুসংবাদ (মুসলিম হা/২৬৪২, মিশকাত হা/৫৩১৭)। তবে যদি কেউ এর মাধ্যমে রিয়া ও শ্রুতি কামনা করেন, তবে তিনি নেকী থেকে মাহরূম হবেন এবং গুনাহগার হবেন।
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।
 

Share this page