Doing Automated Jobs
উত্তর : উক্ত খানায় অংশগ্রহণ করা যাবে না। কেননা মৃত ব্যক্তির নামে খানার আয়োজন করা বিদ‘আত। এ ধরনের কোন প্রথা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈদের যুগে চালু ছিল না (তিরমিযী, হা/৯৯৮; তুহফাতুল আহওয়াযী, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৬৬-৬৭)। তাছাড়া শরী‘আতে তার কোন অনুমোদনও নেই। জারীর ইবনু আব্দুল্লাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, আমরা এই ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করতাম যে, মৃতের বাড়ীতে একত্রিত হওয়া ও সেখানে খাদ্য গ্রহণ করা শোকে বিলাপ করার অন্তর্ভুক্ত। এটা হারাম (মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৯০৪; সনদ ছহীহ, আলবানী, আহকামুজ জানায়েয, পৃ. ১৬৭)। তবে কেউ যদি মৃতের নামে খানা-পিনার ব্যবস্থা করতেই চান তাহলে তা করবে অসহায় ফকীর-মিসকীনদের জন্য। কেননা মৃত ব্যক্তির নামে যেটা প্রদান করা হয়, তা ছাদাক্বাহ। আর ছাদাক্বাহ সবাই খেতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর ছাদাক্বাহ ফরয করেছেন, যা তাদের ধনীদের নিকট হতে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হবে (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৯৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১৯; মিশকাত, হা/১৭৭২)। উল্লেখ্য যে, মৃত ব্যক্তির জন্য খানা-পিনার আয়োজন না করে বরং তার কল্যাণ ও নেকীর জন্য তার নামে টাকা-পয়সা দান করাই উত্তম হবে। আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, ‘জনৈক ব্যক্তি নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলল, আমার মা হঠাৎ মারা গেছেন। আমার ধারণা যে, তিনি কথা বলার সুযোগ পেলে দান করে যেতেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান করি, তবে কি তিনি নেকী পাবেন? নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৩৮৮; ছহীহ মুসলিম, হা/১০০৪; মিশকাত, হা/১৯৫০)।
সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।
সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।