সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : কোন দলকে সাপোর্ট না করে শুধু বিনোদনের জন্য ফুটবল, ক্রিকেট বা অন্যান্য খেলা দেখা যাবে কি?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,136
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,509
Credits
24,212
উত্তর : যাবে না। কারণ ফুটবল বা ক্রিকেট ম্যাচ দেখাতে বিবিধ সমস্যা রয়েছে। যেমন, অধিকাংশ ম্যাচ জুয়া এবং হারাম চুক্তির সাথে সম্পৃক্ত। তাছাড়া এর মধ্যে পর্দাহীনতা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা এবং বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার রয়েছে এবং এর মধ্যে সময়ের অনর্থক অপচয় রয়েছে। নিজের মস্তিষ্ককে এমন অনর্থক কাজে ব্যস্ত না রেখে, এমন কাজে ব্যস্ত রাখা উচিত যা উভয় জগতের জন্যই অধিক কল্যাণকর হবে। তাই কোন মুসলিম নারী-পুরুষের জন্যই নিজেকে এমন কাজে ব্যস্ত রাখা জায়েয নয় (ইসলাম সাওয়াল ওয়া জাওয়াব, ফৎওয়া নং-১৪৬৮৪৪)।
সঊদী আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটি বলেন, ‘এমন ক্রিকেট বা ফুটবল ম্যাচ যেগুলো অর্থ অথবা পুরস্কারের জন্য খেলা হয়ে থাকে, সেগুলো হারাম। এগুলো হারাম জুয়ার অন্তর্ভুক্ত। কারণ শরী‘আত অনুমোদিত খেলা ছাড়া অন্য যেকোন খেলার জন্য বিনিময় বা পুরস্কার গ্রহণ করা নাজায়েয। আর ইসলাম অনুমোদিত খেলাগুলো হচ্ছে- ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা, উটের দৌড় প্রতিযোগিতা এবং তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা। সুতরাং জেনেশুনে এ ধরনের পুরস্কার গ্রহণের খেলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা এবং দেখা উভয়ই হারাম। কেননা এ ধরনের খেলায় উপস্থিত হওয়াটা তাকে সমর্থন করার শামিল’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৫তম খণ্ড, পৃ. ২৩৮, ফৎওয়া নং-১৮৯৫১)। শায়খ উছায়মীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এগুলো সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। সংকীর্ণ পোশাক পরিধান করে অথবা উরু উন্মুক্ত করে খেলাধুলা করা জায়েয নয়। অতএব তা দেখাও নাজায়েয’। অতঃপর তিনি দলীল হিসাবে নিম্নের হাদীছটি উপস্থাপন করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) হতে বর্ণিত, নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ তা‘আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। (১). তার আয়ুস্কাল সম্পর্কে, সে তার জীবনকাল কোথায় অতিবাহিত করেছে? (২). তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কী কাজে তা বিনাশ করেছে? (৩) ও (৪). তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথায় হতে তা উপার্জন করেছে এবং কোন্ কোন্ খাতে তা খরচ করেছে? এবং (৫). সে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কী কী আমল করেছে’? (তিরমিযী, হা/২৪১৬; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৯৪৬; ফাতাওয়া ইসলামিয়্যা, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৪৩১)।
সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।
 
Top