‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: কারো বিরুদ্ধে বদদু‘আ করা বৈধ কি?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,143
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,562
Credits
24,212
উত্তর : কোন মুমিনের জন্য কারো বিরুদ্ধে বদদু‘আ করা ঠিক নয়। আব্দুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلَا اللَّعَّانِ وَلَا الْفَاحِشِ وَلَا الْبَذِىءِ ‘মুমিন ব্যক্তি ঠাট্টা-বিদ্রুপকারী, ভৎর্সনাকারী, অভিশাপ প্রদানকারী, অশ্লীলভাষী ও বদ-স্বভাবের হতে পারে না’ (তিরমিযী, হা/১৯৭৭; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ, হা/৩২০)। তিনি আরো বলেন, إِنِّى لَمْ أُبْعَثْ لَعَّانًا وَإِنَّمَا بُعِثْتُ رَحْمَةً ‘আমি অভিশাপকারী হিসাবে প্রেরিত হইনি। বরং রহমত হিসাবে প্রেরিত হয়েছি’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৯৯; মিশকাত, হা/৫৮১২)। তবে ধর্মীয় কারণে ও জাতীয় স্বার্থে বদদু‘আ করা যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ৭০ জন ছাহাবীকে প্রতারণার মাধ্যমে হত্যাকারী রে‘ল ও যাকওয়ান গোত্রের বিরুদ্ধে বদদু‘আ করেন ও একমাস যাবৎ কুনূতে নাযেলাহ পাঠ করেন (ছহীহ বুখারী, হা/২৮০১)। ইসলামের দাওয়াত সম্বলিত রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চিঠি ইরানের বাদশাহ পারভেয ছিঁড়ে ফেললে তিনি তার বিরুদ্ধেও বদদু‘আ করেছিলেন (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬৯৩; সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৪২৯)।
সূত্র: মাসিক আল-ইখলাছ।
 

Share this page