Doing Automated Jobs
উত্তর: ওযু ভঙ্গের কারণ ৬ টি যা নিম্নরূপঃ ১. পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু নির্গত হওয়া। চাই তা পেশাব, পায়খানা, বীর্য, বায়ু বা মযী বা অন্যকিছু হোক- বের হলেই তা ওযু ভঙ্গের কারণ হিসেবে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে প্রশ্নের কোন অবকাশনেই। কিন্তু বীর্য যদি উত্তেজনার সাথে বের হয়, তবে সকলের জানা যে, তখন গোসল ওয়াজিব হবে। কিন্তু মযী বের হলে লজ্জাসস্থান ধৌত করে শুধু ওযু করলেই চলবে। ২. নিদ্রা যদি এমন অধিক পরিমাণে হয়, যাতে ওযু ভঙ্গ হয়েছে কিনা অনুভুতি না থাকে, তবে তা ওযু ভঙ্গের কারণ। কিন্তু নিদ্রা অল্প পরিমাণে হলে ওযু ভঙ্গ হবে না। চাই চিৎ হয়ে শুয়ে নিদ্রা যাক বা হেলান ছাড়া বসে বা হেলান দিয়ে বসে নিদ্রাযাক। মোট কথা অন্তরের অনুভুতি উপস্থিত থাকা। ৩. লজ্জাস্থান খালি হাতে স্পর্শ করলে ওযু ভেঙ্গে যাবে ৪. মহিলাদের হায়েজ নেফাসের রক্ত বের হলে ৫. উটের গোশত ভক্ষণ করা। জাবের বিন সামুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা কি ছাগলের গোশত খেয়ে ওযু করব? তিনি বললেন, যদি ইচ্ছা হয় তাহলে করতে পার (না করলেও চলবে)।. বলা হল, আমরা উটের গোশত খেয়ে কি ওযু করব? তিনি বললেন,“হ্যাঁ”। ৬. ইসলাম থেকে বের হয়ে গেলে অর্থাৎ মুরতাদ হয়ে গেলে [ কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে ইস্লামি ফিকাহ ১/৮৬৮] আমাদের সমাজে প্রচলিত কিছু ভ্রান্ত বা বানায়াট কারণ যার পক্ষে কোন দলিল নেই, তা করলে ওযু ভংগ হয়নাঃ ১) আয়নাতে নিজের চেহারা দেখলে ওযু ভাংবেনা। ২) হাটুর উপরে কাপড় উঠে গেলে বা কাপড় চেঞ্জ করলে ওযু ভাংবেনা। ৩) বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে ওযু ভাংবেনা। ৪) নারীরা মাথায় কাপড় না দিয়েও ওযু করতে পারবে, তবে পরপুরুষের সামনে হলে ঢেকে রাখতে হবে। ৫) টিভি দেখলে বা নারীরা পরপুরুষকে বা পরুপুরুষ নারীকে দেখলে ওযু ভাংবেনা। তবে হারাম কোনো কিছু দেখলে বা দৃষ্টিপাত হয়ে থাকলে অবশ্যই গুনাহ হবে, কিন্তু এতে ওযু ভাংবেনা। ৬)শরীরের যেকোনো স্থান থেকে কম হোক আর বেশি হোক রক্ত বের হলে ওযু নষ্ট হবেনা। [বুখারী, ২৯ পৃষ্ঠা।] ৭) বমি হলে, নামাযের ভেতরে বা বাইরে উচ্চস্বরে হাসলে, মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিলে বা বহন করলে ওযু ভেঙ্গে যায়না।