‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : আমার পিতাসহ অনেক মানুষকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করতে দেখায় সবসময় আমি মৃত্যুচিন্তায় মগ্ন থাকি। ফলে আমার সার্বিক জীবন দারুণভাবে ক্ষতিগ্

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর : সুখী হওয়ার একমাত্র উপায় হ’ল তাক্বদীর ও তাওয়াক্কুল। অর্থাৎ সর্বাবস্থায় আল্লাহর ফয়ছালা তথা তাক্বদীরকে মেনে নিতে হবে এবং বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহর সিদ্ধান্তের মধ্যে অবশ্যই কল্যাণ রয়েছে। অতঃপর সকল কাজে আল্লাহর উপর ভরসা করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি বল, আল্লাহ আমাদের ভাগ্যে যা লিখে রেখেছেন, তা ব্যতীত কিছুই আমাদের নিকট পৌঁছবে না। তিনিই আমাদের অভিভাবক। আর আল্লাহর উপরেই মুমিনদের ভরসা করা উচিত’ (তওবা ৯/৫১)। তাছাড়া অধিক যিকর-আযকার ও ফরয ইবাদতের পাশাপাশি নফল ছালাত আদায় করতে হবে। কেননা ‘রাসূল (ছাঃ) যখন সংকটে পড়তেন, তখন ছালাতে দাঁড়িয়ে যেতেন’ (আবুদাঊদ হা/১৩১৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৭০৩)। আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে। আর তা অবশ্যই কঠিন কাজ, তবে বিনীত বান্দাগণ ব্যতীত (বাক্বারাহ ২/৪৫)। তাছাড়া রাসূল (ছাঃ) বিপদের সময় নিম্নের দো‘আটি পাঠ করতেন, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহুল ‘আযীমুল হালীম; লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাববুল ‘আরশিল ‘আযীম; লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাববুস সামাওয়াতে ওয়া রাববুল ‘আরযে রাববুল ‘আরশিল কারীম (সালাফগণ এটিকে ‘দো‘আউল কারব’ বা বিপদের দো‘আ বলতেন) (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/২৪১৭ ‘বিভিন্ন সময়ের দো‘আ’ অনুচ্ছেদ)। বিপদকালে রাসূল (ছাঃ) নিম্নের দো‘আটিও পড়তেন, ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূম, বিরহমাতিকা আস্তাগীছ (হে চিরঞ্জীব! হে সবকিছুর ধারক! আমি তোমার রহমত কামনা করছি) (তিরমিযী হা/৩৫২৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৭৭৭)
সূত্র: মাসিক আত-তাহরীক।
 

Share this page