উত্তর : শরী‘আতে হাই তোলার পর নির্ধারিত কোন দু‘আ বর্ণিত হয়নি। তবে হাই উঠার সময় সেটা সাধ্যমত প্রতিহত করার চেষ্টা করতে হবে। কেননা হাই শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। হাদীসে এসেছে,
‘হাই তোলা’ হল শয়তানের পক্ষ থেকে। অতএব যখন তোমাদের কারো হাই আসে, তখন সে যেন উহাকে সাধ্যানুযায়ী প্রতিরোধ করে। কেননা যখন তোমাদের কেউ হাই তোলে তখন তাতে শয়তান হাসে’ (সহীহ বুখারী, হা/৬২২৬)।
উক্ত হাদীসে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করার কথা বলা হয়নি। যদি কেউ প্রশ্ন করে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো বলেছেন, হাই আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
‘আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় চাও। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’ (সূরা আল-আ‘রাফ : ২০০)।
এর উত্তর হল- নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা হাই আসে শয়তানের পক্ষ থেকে ও আল্লাহ তা‘আলার আশ্রয় চাইতে বলা এ সবই ঠিক। উল্লিখিত আয়াতে যে نَزْغٌ শব্দ এসেছে। যার অর্থ প্ররোচনা। আর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল- কোন ওয়াজিবকে পরিত্যাগ বা হারাম কাজ করার ব্যাপারে খারাপ মানুষের প্ররোচনা। সুতরাং মানুষ যখন বুঝতে পারবে যে, কোন মানুষ তাকে খারাপ কাজের ব্যাপারে প্ররোচিত করছে, তখন সে
পাঠ করবে। অথচ হাই আসলে কী করতে হবে সে ব্যাপারে সুন্নাতি পদ্ধতি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো বলেই দিয়েছেন।
وَأَمَّا التَّثَاؤُبُ فَإِنَّمَا هُوَ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِذَا تَثَاوَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَثَاءَبَ ضَحِكَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ
‘হাই তোলা’ হল শয়তানের পক্ষ থেকে। অতএব যখন তোমাদের কারো হাই আসে, তখন সে যেন উহাকে সাধ্যানুযায়ী প্রতিরোধ করে। কেননা যখন তোমাদের কেউ হাই তোলে তখন তাতে শয়তান হাসে’ (সহীহ বুখারী, হা/৬২২৬)।
উক্ত হাদীসে শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করার কথা বলা হয়নি। যদি কেউ প্রশ্ন করে, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো বলেছেন, হাই আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
‘আর যদি শয়তানের পক্ষ থেকে কোন প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় চাও। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’ (সূরা আল-আ‘রাফ : ২০০)।
এর উত্তর হল- নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কথা হাই আসে শয়তানের পক্ষ থেকে ও আল্লাহ তা‘আলার আশ্রয় চাইতে বলা এ সবই ঠিক। উল্লিখিত আয়াতে যে نَزْغٌ শব্দ এসেছে। যার অর্থ প্ররোচনা। আর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল- কোন ওয়াজিবকে পরিত্যাগ বা হারাম কাজ করার ব্যাপারে খারাপ মানুষের প্ররোচনা। সুতরাং মানুষ যখন বুঝতে পারবে যে, কোন মানুষ তাকে খারাপ কাজের ব্যাপারে প্ররোচিত করছে, তখন সে
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
পাঠ করবে। অথচ হাই আসলে কী করতে হবে সে ব্যাপারে সুন্নাতি পদ্ধতি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তো বলেই দিয়েছেন।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
Last edited:
