‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্নঃ হারাম খেলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত ইবাদত কবুল হয় না?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,143
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,583
Credits
24,212
আপনার জিজ্ঞাসা ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব ইসলামিক প্রশ্নোত্তর উত্তরঃ একজন জানতে চেয়েছেন, তিনি একজন হুজুরের মুখে শুনেছেন যে, এক লোকমা হারাম খাবার পেটে গেলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত কোন আমল কবুল হয় না। তাহলে তার প্রশ্ন হল, যদি কোন কারণে হারাম ভক্ষণ করা হয়, তাহলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত যে নামায পড়া হবে, এসব কি কোনোটিই কবুল হবে না? চল্লিশ দিন পর তা আবার আদায় করতে হবে? উত্তর: হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ আয়াত “হে মানবসমাজ, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষণ কর।” [সূরা বাকারা-১৬৮] আয়াতটি তিলাওয়াত করা হল। তখন সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস রা. দাঁড়ালেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি আমার জন্য দুআ করুন যেন আল্লাহ আমাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়া [দুআ করলে সাথে সাথে কবুল হয় এমন] বানিয়ে দেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সাদ! তুমি তোমার খাবারকে পবিত্র রাখো, [হালাল ভক্ষণ কর] তুমি মুস্তাজাবুত দাওয়া হয়ে যাবে। যে সত্তার হাতে মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রাণ তাঁর কসম! নিশ্চয় কোনো বান্দার পেটে যদি হারাম এক লোকমরা খাবারও প্রবেশ করে, তাহলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার আমল কবুল হয় না। আর ব্যক্তির যে মাংসপিন্ড হারাম সম্পদ বা সুদের টাকায় বৃদ্ধি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামই উত্তম। [আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৪৯৫, আততারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-২৬৬০] বর্ণিত এ হাদীসটি নিতান্ত দুর্বল। কিন্তু সতর্কতা হিসেবে উক্ত হাদীস অনুপাতে সদা সজাগ থাকা উচিত। যেন কোনোমতেই কারো পেটে হারাম খাদ্য প্রবেশ না করে। এ আমলের দুই অবস্থা। যথা, ১. আমলের দায়িত্বমুক্ত হওয়া। ২. আল্লাহর কাছে উক্ত আমল মকবুল হওয়া। হারাম ভক্ষণকারীর আমল চল্লিশ দিন পর্যন্ত কবুল হয় না অর্থ হল, তার আমলটি আল্লাহর দরবারে সওয়াবের অধিকারী হয় না। কিন্তু আদায় করার দ্বারা উক্ত ব্যক্তি দায়িত্বমুক্ত ঠিকই হয়ে যাবে। তাই পরবর্তীতে আর উক্ত আমলকে পুনরায় আদায় করতে হবে না।
 

Share this page