‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর প্রশ্নঃ বিভিন্ন মৌসুম (মিলাদ, আশুরা) এবং ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হওয়া ও এক সাথে খাওয়া দাওয়া করা কি জায়েয? কুরআন মুখস্থ সমাপ্ত করার পর এমন

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,134
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
34,836
Credits
24,212
উত্তর: নিঃসন্দেহে শরিয়ত অনুমোদিত ঈদ (ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা) বা কোন আনন্দঘন উপলক্ষে আপন ভাইদের, চাচাতো ভাইদের ও আত্মীয়স্বজনের পারস্পারিক দেখাসাক্ষাৎ, একসাথে মিলিত হওয়া আনন্দের আহ্বায়ক, সম্প্রীতি ও ভালবাসা বৃদ্ধির মাধ্যম এবং আত্মীয়-স্বজনের মাঝে সম্পর্ক মজবুতির কারণ। তবে এ ধরণের অনেক পারিবারিক সমাবেশে; এমনকি সেটা আত্মীয়-স্বজন ও চাচা-জেঠাদের সন্তানদের নিয়ে হলেও পুরুষ ও নারীর সংমিশ্রণ ঘটে। কুরআন-সুন্নাহতে দৃষ্টিতে অবনত রাখার যে নির্দেশ এসেছে এবং নারীর সৌন্দর্য প্রদর্শন, নারীর সাথে নিভৃতে অবস্থান, গাইরে মাহরাম নারীর সাথে করমর্দন ইত্যাদি যাবতীয় ফিতনার উৎসগুলোকে হারাম সাব্যস্তকারী যে নিষেধ এসেছে সেটার সাংঘর্ষিক কুপ্রথাগুলো সংঘটিত হয়। আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে এক্ষেত্রে শিথিলতার ভয়াবহতা সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাবধান করেছেন তাঁর এ বাণীতে: "তোমরা নারীদের কাছে প্রবেশ করা থেকে সাবধান"। তখন এক আনসারী ব্যক্তি বলল: ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! حمو (দেবর) এর ব্যাপারে আপনার কী অভিমত? তিনি বললেন: দেবর হচ্ছে মৃত্যু।[সহিহ বুখারী (৪৯৩৪) ও সহিহ মুসলিম (২১৭২)] লাইছ বিন সাদ বলেন: حمو হচ্ছে- স্বামীর ভাই ও এ পর্যায়ের স্বামীর অন্য আত্মীয়স্বজন; যেমন- চাচাতো ভাই।[সহিহ মুসলিম] [পুরুষ ও নারীর সংমিশ্রণ বিষয়ে 1200 নং প্রশ্নোত্তর থেকে জানতে পারেন]


আর মিলাদুন্নবী কিংবা আশুরা কিংবা অন্য কোন দিবস পালন এবং এগুলোকে বিশেষ মওসুম ও উৎসব হিসেবে গ্রহণ করা এ সম্পর্কে ইতিপূর্বে আমরা পরিস্কার করে দিয়েছি যে, ইসলামে ঈদ শুধু দুই দিন: ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা; ঠিক যেভাবে বলেছেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। দেখুন: 5219 নং, 10070 নং ও 13810 নং প্রশ্নোত্তর। আর আশুরা উদযাপন করার বিধান জানতে 4033 নং প্রশ্নোত্তরটি দেখুন।


কেউ একজন কুরআন শরীফ মুখস্থ করার প্রেক্ষিতে খুশি প্রকাশ করা ও তাকে অভিনন্দন জানাতে পরিবারের সবাই একত্রিত হওয়া এতে ইনশা আল্লাহ্‌কোন অসুবিধা নাই। এটি ঈদ উৎসব কিংবা বিদাতী উদযাপনের মধ্যে পড়বে না; যদি না তারা প্রতি বছর নির্দিষ্ট একটি দিনে এটাকে উদযাপনের মাধ্যমে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করেন।


কম বয়সী কেউ কুরআন মুখস্ত শেষ করলে তাকে অভিনন্দন জানানোটা আরো বেশি প্রাধান্য পায়; যেহেতু তাকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন, মুখস্থকে পাকাপোক্ত করার প্রতি তার মনোবলেকে মজবুত করা এবং সে যেন অবহেলা না করে ও ভুলে না যায়।


আল্লাহ্‌ই সর্বজ্ঞ।


সূত্র: islamqa.info
 

Share this page