উত্তরঃ যেহেতু পুরুষ মহিলার তুলনায় জ্ঞানে পাকা, ক্রোধের সময় বেশী ধৈর্যশীল। নচেৎ স্ত্রীর হাতেও তালাক থাকলে সামান্য ঝামেলাতেই সে ‘তোমাকে তালাক’ বলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে থাকত।
যেমন অনেক মহিলা সামান্য কিছু হলেই রেগে বলে বসে, ‘আমাকে তালাক দাও’, ‘আমি তোমার ভাত খাব না’ ইত্যাদি।
স্বামীর নিকট থেকে কখন তালাক নেওয়া বৈধ এবং কখন ওয়াজেব?
♦ যখন স্বামী এমন কাজ করবে, যা কবীরা গোনাহ এবং তা কুফরী নয়, বুঝানোর পরও মানতে চাইবে না, তখন তালাক নেওয়া বৈধ। যেমন ব্যভিচার, মদ্যপান ইত্যাদি।
কিন্তু সে কাজ করার ফলে মানুষ ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়, তার সাথে সংসার করা বৈধ নয়। তউবা না করলে সে ক্ষত্রে তালাক নেওয়া ওয়াজেব।
যেমন মাযার যাওয়া, শিরক করা, দ্বীন, আল্লাহ বা তার রাসুলকে গালি দেওয়া, নামায ত্যাগ করা ইত্যাদি।
৫৮৯ (ইবনে উষাইমীন)
তালাক সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ন মাসলা মাসায়েল, ইসলামিক জিজ্ঞাসা ও জবাব, ইসলামিক প্রশ্নোত্তর।