পরিত্যক্ত সুন্নাহ হলো, রাসূল ﷺ যেগুলো ইবাদত হিসেবে করতেন, কিন্তু মানুষেরা সেটা আমল করে না; সেটাই পরিত্যক্ত সুন্নাহ।
অতএব:
কিছু মানুষ এই ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে থাকে। কোনো বিষয়ে একটা সহীহ হাদীস পেলো এবং লোকদের মাঝে সেটার পরিচিতি দেখতে পেল না, অমনি তারা সেটাকে পরিত্যক্ত সুন্নাহ বলে থাকেন।
রাসূল ﷺ মানবিক চাহিদার ভিত্তিতে কোনটা করলেন, যেটাতে ইবাদতের উদ্দেশ্য ছিল না, আর সালাফগণ কোনটার আমল ছেড়েছেন- এগুলো কোনোটার মাঝেই তার কাছে কোনো পার্থক্য নেই। বরং এমনো দেখতে পাবেন যে, এই হাদীসটা মানসূখ হতে পারে বা মুতাশাবিহ হতে পারে বা মুখাসসাস তথা নির্দিষ্ট হতে পারে অথবা আরো অন্যান্য এরকম অনেক কিছুই হতে পারে- এই বিষয়টা তারা বেমালুম ভুলে যায়!
এজন্যই আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে, কোনো মুসলিম যেন কোনো বিশুদ্ধ হাদীস পাওয়ার সাথে সাথেই সেটাকে পরিত্যক্ত সুন্নাহ দাবি করে না বসে।
আল্লাহ তাওফীক দিন।
অতএব:
- যার সনদ প্রমাণিত নয়, সেটা সুন্নাহ নয়।
- সনদ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও সালাফগণ যেটার আমল করা থেকে বিরত থেকেছেন, সেটা সুন্নাহ নয়।
- সনদ প্রমাণিত, কিন্তু রাসূল ﷺ তা ইবাদত হিসেবে এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য করেননি, সেটাও সুন্নাহ নয়।
- রাসূল ﷺ ইবাদত হিসেবে করেছেন এবং লোকজনও তা পরিত্যাগ করেনি, সেটা পরিত্যক্ত সুন্নাহ নয়।
কিছু মানুষ এই ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে থাকে। কোনো বিষয়ে একটা সহীহ হাদীস পেলো এবং লোকদের মাঝে সেটার পরিচিতি দেখতে পেল না, অমনি তারা সেটাকে পরিত্যক্ত সুন্নাহ বলে থাকেন।
রাসূল ﷺ মানবিক চাহিদার ভিত্তিতে কোনটা করলেন, যেটাতে ইবাদতের উদ্দেশ্য ছিল না, আর সালাফগণ কোনটার আমল ছেড়েছেন- এগুলো কোনোটার মাঝেই তার কাছে কোনো পার্থক্য নেই। বরং এমনো দেখতে পাবেন যে, এই হাদীসটা মানসূখ হতে পারে বা মুতাশাবিহ হতে পারে বা মুখাসসাস তথা নির্দিষ্ট হতে পারে অথবা আরো অন্যান্য এরকম অনেক কিছুই হতে পারে- এই বিষয়টা তারা বেমালুম ভুলে যায়!
এজন্যই আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে, কোনো মুসলিম যেন কোনো বিশুদ্ধ হাদীস পাওয়ার সাথে সাথেই সেটাকে পরিত্যক্ত সুন্নাহ দাবি করে না বসে।
আল্লাহ তাওফীক দিন।
- শায়খ মুহাম্মাদ বিন উমার বাযমূল হাফিযাহুল্লাহ।