Knowledge Sharer
ilm Seeker
Uploader
Salafi User
- Joined
- Jan 12, 2023
- Threads
- 864
- Comments
- 1,113
- Solutions
- 20
- Reactions
- 13,043
- Thread Author
- #1
হাম্বলী মাযহাবের প্রসিদ্ধ মত হলো, নারীর দুই হাত তার মুখমণ্ডলের মতোই পরপুরুষের সামনে খোলা রাখা যাবে না। রাসূল (ﷺ) এ-এর যুগে নারীরা এমনটিই করেছেন। তার প্রমাণ হলো, রাসূল (ﷺ) ইহরাম অবস্থায় নারীদেরকে নিকাব এবং দুই হাতে মোজা পরতে নিষেধ করেছেন।" সুতরাং ঐ সময় নারীদের মধ্যে দুই হাতে মোজা পরার প্রচলন না থাকলে রাসূল (ﷺ) তাদেরকে ইহরাম অবস্থায় মোজা পরতে নিষেধ করতেন না।
নারীদের উচিত, আল্লাহকে ভয় করা এবং পরপুরুষের সামনে শরীরের এমন কিছু প্রকাশ না করা, যাতে ফেতনা সৃষ্টি হয়। সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ নারীগণ রাসূল-এর স্ত্রীদেরকে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ বলেন,
'তোমরা নিজ ঘরে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন জাহেলী যুগের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না' (আল-আহযাব, ৩৩/৩৩)। তিনি আরও বলেন,
'যখন তোমরা তাদের নিকট থেকে কিছু চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাও। এটি তোমাদের অন্তর এবং তাদের অন্তরসমূহ পবিত্র রাখার উত্তম উপায়' (আল-আহযাব, ৩৩/৫৩)।
এখন কেউ যদি বলে, এ আয়াতগুলো রাসূল-এর স্ত্রীদের জন্য খাছ, তাহলে তার জবাবে আমরা বলব, অন্তর পবিত্র করা, হৃদয় পরিচ্ছন্ন করা রাসূল (ﷺ) -এর স্ত্রীগণ-সহ সকল নারীদের নিকট থেকে কাম্য। আর পর্দার মাধ্যমে যদি নারী-পুরুষ সকলের অন্তর পবিত্র হয়, তাহলে বুঝা যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে রাসূল (ﷺ) -এর স্ত্রী এবং অন্য নারীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
কেউ কেউ মনে করে, পর্দা হচ্ছে মুখমণ্ডল ছাড়া শরীরের বাকী অংশ ঢেকে রাখা। কিন্তু সঠিক কথা হলো, নারীদের মুখমণ্ডল ঢাকাও অপরিহার্য। এটি শারঈ দলীল এবং বাস্তব যুক্তি দ্বারাও সাব্যস্ত। কারণ মুখমণ্ডল ফেতনা এবং জৈবিক আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টির মূল মাধ্যম। কেউ এ কথা অস্বীকার করতে পারবে না যে, একজন পুরুষের প্রথম চাওয়া হচ্ছে, নারীর সুন্দর মুখমণ্ডল।
অতএব, নারীদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা, শালীনতা বজায় রাখা, ফেতনার আশঙ্কা থেকে দূরে থাকা, মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা, যাতে যে-কোনো প্রকার ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকা যায়।
নারীদের উচিত, আল্লাহকে ভয় করা এবং পরপুরুষের সামনে শরীরের এমন কিছু প্রকাশ না করা, যাতে ফেতনা সৃষ্টি হয়। সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ নারীগণ রাসূল-এর স্ত্রীদেরকে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
'তোমরা নিজ ঘরে অবস্থান করবে এবং প্রাচীন জাহেলী যুগের মতো নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না' (আল-আহযাব, ৩৩/৩৩)। তিনি আরও বলেন,
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
'যখন তোমরা তাদের নিকট থেকে কিছু চাইবে, তখন পর্দার আড়াল থেকে চাও। এটি তোমাদের অন্তর এবং তাদের অন্তরসমূহ পবিত্র রাখার উত্তম উপায়' (আল-আহযাব, ৩৩/৫৩)।
এখন কেউ যদি বলে, এ আয়াতগুলো রাসূল-এর স্ত্রীদের জন্য খাছ, তাহলে তার জবাবে আমরা বলব, অন্তর পবিত্র করা, হৃদয় পরিচ্ছন্ন করা রাসূল (ﷺ) -এর স্ত্রীগণ-সহ সকল নারীদের নিকট থেকে কাম্য। আর পর্দার মাধ্যমে যদি নারী-পুরুষ সকলের অন্তর পবিত্র হয়, তাহলে বুঝা যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে রাসূল (ﷺ) -এর স্ত্রী এবং অন্য নারীদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
কেউ কেউ মনে করে, পর্দা হচ্ছে মুখমণ্ডল ছাড়া শরীরের বাকী অংশ ঢেকে রাখা। কিন্তু সঠিক কথা হলো, নারীদের মুখমণ্ডল ঢাকাও অপরিহার্য। এটি শারঈ দলীল এবং বাস্তব যুক্তি দ্বারাও সাব্যস্ত। কারণ মুখমণ্ডল ফেতনা এবং জৈবিক আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টির মূল মাধ্যম। কেউ এ কথা অস্বীকার করতে পারবে না যে, একজন পুরুষের প্রথম চাওয়া হচ্ছে, নারীর সুন্দর মুখমণ্ডল।
অতএব, নারীদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা, শালীনতা বজায় রাখা, ফেতনার আশঙ্কা থেকে দূরে থাকা, মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা, যাতে যে-কোনো প্রকার ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে নিরাপদে থাকা যায়।
মুসলিম পরিবার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
মূল : শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছলেহ আল-উছায়মীন
-অনুবাদ : ড. আব্দুল্লাহিল কাফী মাদানী
মূল : শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে ছলেহ আল-উছায়মীন
-অনুবাদ : ড. আব্দুল্লাহিল কাফী মাদানী
নারীদের কথা আওরাতের )عورة( অন্তর্ভুক্ত নয় এবং পুরুষদের সাথে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তা বলাও তাদের জন্য অবৈধ নয়। তবে কেউ যদি নরম স্বরে, কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলে, যাতে ফেতনা সৃষ্টির আশঙ্কা হয়, তাহলে এটি হারাম। মহান আল্লাহ বলেন,
'তোমরা পরপুরুষের সাথে কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলো না, কারণ এতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয়। বরং তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে' (আল-আহযাব, ৩৩/৩২)।
মহান আল্লাহ এখানে বলেননি, তোমরা পুরুষের সাথে কথা বলো না; বরং বলেছেন, 'তোমরা পরপুরুষের সাথে কোমল কন্ঠে কথা বলো না'।...
فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا
'তোমরা পরপুরুষের সাথে কোমল কন্ঠে এমনভাবে কথা বলো না, কারণ এতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয়। বরং তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে' (আল-আহযাব, ৩৩/৩২)।
মহান আল্লাহ এখানে বলেননি, তোমরা পুরুষের সাথে কথা বলো না; বরং বলেছেন, 'তোমরা পরপুরুষের সাথে কোমল কন্ঠে কথা বলো না'।...
- Abu Abdullah
- Replies: 0
- Forum: মহিলা অঙ্গন