কথাটি স্বীয় জায়গায় সঠিক হ’লেও প্রয়োগক্ষেত্রটি সঠিক নয়। এর ভিত্তিতে কোন একটি নির্দিষ্ট মাযহাবকে অন্ধভাবে অনুসরণ সাব্যস্ত করা অবান্তর। বরং শারঈ বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং পবিত্র কুরআন ও সহীহ আলোকে মাসআলা প্রদানকারী নির্ভরযোগ্য বিদ্বানদের দলীলভিত্তিক ফৎওয়া অনুসরণ করতে হবে। আর ফৎওয়া গ্রহণের ক্ষেত্রে সকল স্তরের মানুষের জন্য যরূরী হ’ল, দলীল জেনে নেওয়া। সাহাবীগণ একটি বিষয়ে একাধিক সাহাবীর কাছে জানতেন (আবুদাঊদ হা/৪৬৯৯, ৩৬৪১ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১১৫, ২১২) এবং পরস্পরের নিকট দলীলও চাইতেন (তিরমিযী হা/৩০০০ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩৫৫৪)।
তবে দলীল বুঝার ক্ষমতা না থাকলে যিনি যিদ ও হঠকারিতা থেকে মুক্ত এবং যিনি পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীস অনুযায়ী ফৎওয়া দেন, সেরূপ যোগ্য ও আল্লাহভীরু আলেমের নিকট থেকে ফৎওয়া গ্রহণ করতে হবে (নাহ্ল ১৬/৪৩-৪৪) এবং তদনুযায়ী আমল করতে হবে। যদি কোন আলেম ইচ্ছাকৃতভাবে দলীলবিহীন ফৎওয়া দেন, তাহ’লে তার দায়িত্ব তার উপরেই (আবুদাঊদ হা/৩৬৫৭ প্রভৃতি; মিশকাত হা/২৪২)।
উল্লেখ্য যে, কুরআন-হাদীসের হালাল-হারাম ও স্পষ্ট বিধান সমূহ সকলের জন্য সহজবোধ্য। কেবল অস্পষ্ট ও গূঢ় বিষয়গুলির জন্য যোগ্য আলেমের প্রয়োজন হয়। এজন্য মাযহাব নির্বিশেষে যেকোন বা একাধিক আলেমের নিকট থেকে মাসআলা জেনে নিবেন। যেভাবে সাহাবায়ে কেরাম করতেন। এটিকে মেডিকেলের বই ও ওপেনহার্ট সার্জারীর সাথে তুলনা করা নিতান্তই অন্যায়।
তবে দলীল বুঝার ক্ষমতা না থাকলে যিনি যিদ ও হঠকারিতা থেকে মুক্ত এবং যিনি পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীস অনুযায়ী ফৎওয়া দেন, সেরূপ যোগ্য ও আল্লাহভীরু আলেমের নিকট থেকে ফৎওয়া গ্রহণ করতে হবে (নাহ্ল ১৬/৪৩-৪৪) এবং তদনুযায়ী আমল করতে হবে। যদি কোন আলেম ইচ্ছাকৃতভাবে দলীলবিহীন ফৎওয়া দেন, তাহ’লে তার দায়িত্ব তার উপরেই (আবুদাঊদ হা/৩৬৫৭ প্রভৃতি; মিশকাত হা/২৪২)।
উল্লেখ্য যে, কুরআন-হাদীসের হালাল-হারাম ও স্পষ্ট বিধান সমূহ সকলের জন্য সহজবোধ্য। কেবল অস্পষ্ট ও গূঢ় বিষয়গুলির জন্য যোগ্য আলেমের প্রয়োজন হয়। এজন্য মাযহাব নির্বিশেষে যেকোন বা একাধিক আলেমের নিকট থেকে মাসআলা জেনে নিবেন। যেভাবে সাহাবায়ে কেরাম করতেন। এটিকে মেডিকেলের বই ও ওপেনহার্ট সার্জারীর সাথে তুলনা করা নিতান্তই অন্যায়।
সূত্র: আত-তাহরীক।
Last edited: