Salafi
Salafi User
- Joined
- Dec 31, 2024
- Threads
- 20
- Comments
- 28
- Reactions
- 243
- Thread Author
- #1
لَا يُسْـَٔلُ عَمَّا يَفْعَلُ وَهُمْ يُسْـَٔلُوْنَ
তিনি যা করেন সে ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করা যাবে না; বরং তাদেরকেই প্রশ্ন করা হবে।
Al-Anbiya 21:23
الله الصمد
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী।
(সূরা ইখলাছ-১১২/২)
কিন্তু আপনি যদি হিদায়েতের আকাঙ্ক্ষি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর আপনি পাবেন। আপনি যদি ঈমান বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর কিছু নিদর্শন দেখতে চান তাহলে আপনি সেই নিদর্শন পেতে পারেন যেমনটি ইব্রাহীম আঃ আল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন-وَاِذۡ قَالَ اِبۡرٰہٖمُ رَبِّ اَرِنِیۡ کَیۡفَ تُحۡیِ الۡمَوۡتٰی ؕ قَالَ اَوَلَمۡ تُؤۡمِنۡ ؕ قَالَ بَلٰی وَلٰکِنۡ لِّیَطۡمَئِنَّ قَلۡبِیۡ ؕ
আর যখন ইবরাহীম বলল ‘হে, আমার রব, আমাকে দেখান, কিভাবে আপনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তিনি বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করনি’? সে বলল, ‘অবশ্যই হ্যাঁ, কিন্তু আমার অন্তর যাতে প্রশান্ত হয়’।(সূরা বাকারাহ-২/২৬০)
এছাড়া ঈসা আঃ এর অনুসারী যখন বলেছিলেন-
اِذۡ قَالَ الۡحَوَارِیُّوۡنَ یٰعِیۡسَی ابۡنَ مَرۡیَمَ ہَلۡ یَسۡتَطِیۡعُ رَبُّکَ اَنۡ یُّنَزِّلَ عَلَیۡنَا مَآئِدَۃً مِّنَ السَّمَآءِ ؕ قَالَ اتَّقُوا اللّٰہَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ
যখন হাওয়ারীগণ বলেছিল, ‘হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা, তোমার রব কি পারে আমাদের উপর আসমান থেকে খাবারপূর্ণ দস্তরখান নাযিল করতে?’ সে বলেছিল, ‘আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যদি তোমরা মুমিন হও’। (সূরা মায়িদাহ-৫/১১২)
قَالُوۡا نُرِیۡدُ اَنۡ نَّاۡکُلَ مِنۡہَا وَتَطۡمَئِنَّ قُلُوۡبُنَا وَنَعۡلَمَ اَنۡ قَدۡ صَدَقۡتَنَا وَنَکُوۡنَ عَلَیۡہَا مِنَ الشّٰہِدِیۡنَ
তারা বলল, ‘আমরা তা থেকে খেতে চাই। আর আমাদের হৃদয় প্রশান্ত হবে এবং আমরা জানব যে, তুমি আমাদেরকে সত্যই বলেছ, আর আমরা এ ব্যাপারে সাক্ষীদের অন্তর্ভুক্ত হব।’ (সূরা মায়িদাহ- ৫/১১৩)
উক্ত আয়াতদ্বয় দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে ঈমানদার ব্যক্তি তার ঈমান বৃদ্ধির জন্য হিদায়েতের নিদর্শনগুলো অনুসন্ধান করতে পার কিন্তু তাতে থাকবে না কোন সংশয় বা বিদ্বেষ।
অপরদিকে আপনি যদি বিদ্বেষ দিয়েই আপনার প্রশ্ন শুরু করেন তাহলে আপনার জন্য শুরুর দুটি আয়াতই যথেষ্ট। আল্লাহ আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে অমুখাপেক্ষী বরং আপনাকেই প্রশ্ন করা হবে। আর আল্লাহ যেহেতু আপনার প্রশ্নের অমুখাপেক্ষী তাই উনার বান্দা হিসেবে আমিও আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে অমুখাপেক্ষী হব যদি না আপনি হিদায়েতের আকাঙ্ক্ষি হয়ে প্রশ্নটি করে থাকেন। এইক্ষেত্রে আপনাকে স্বাগতম আপনি প্রশ্ন উপস্থাপন করুন এবং আপনার অন্তরকে হিদায়েতের দিকে উন্মুক্ত করে দিন।
وَمَا قَدَرُوا اللّٰہَ حَقَّ قَدۡرِہٖۤ اِذۡ قَالُوۡا مَاۤ اَنۡزَلَ اللّٰہُ عَلٰی بَشَرٍ مِّنۡ شَیۡءٍ ؕ قُلۡ مَنۡ اَنۡزَلَ الۡکِتٰبَ الَّذِیۡ جَآءَ بِہٖ مُوۡسٰی نُوۡرًا وَّہُدًی لِّلنَّاسِ
আর তারা আল্লাহকে যথার্থ সম্মান দেয়নি, যখন তারা বলছে, আল্লাহ কোন মানুষের উপর কিছুই নাযিল করেননি। বল, ‘কে নাযিল করেছে সে কিতাব, যা মূসা নিয়ে এসেছে মানুষের জন্য আলো ও পথনির্দেশস্বরূপ। (সূরা আন'আম-৬/৯১)
আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুক। আমাদের হিদায়ত দান করুক এবং সেই হিদায়েতের উপর ইস্তিকাম রাখুক জান্নাতে পৌঁছার আগ পর্যন্ত।
الله أعلم