‘এই কাজের বিনিময় স্বরূপ আপনি যে অর্থ উপার্জন করবেন, তার দ্বারা আপনার লাভবান বা উপকৃত হওয়া দোষনীয় নয়, কারণ আপনি যে বেতন নিয়েছেন তা পাঠদানের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করেছেন এটি জায়েয। তবে পর্দার বিধান লঙ্ঘিত হওয়ায় অবশ্যই গুনাহগার হতে হবে। তাই আপনার জন্য উচিত এই কাজটি ছেড়ে দেয়ার জন্য তাড়াহুড়া করা এবং অন্য একটি হালাল চাকরির সন্ধান করতে থাকা (সূরা আত-ত্বালাক্ব : ২-৪)। যাতে আপনি হারাম ও ফিতনায় পড়া থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন’ (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দামিয়াহ, ১২/১৫৬ পৃ.)। মোটকথা সাধারণভাবে পুরুষ-নারীর সংমিশ্রণ রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করা নারী-পুরুষ কারোর জন্যই জায়েয নয়। কারণ এতে অনেক ধরনের ফিতনার আশংকা রয়েছে (ফাতাওয়া আল-লাজনা আদ-দায়িমাহ, ১৭/৫৩ পৃ.; ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ইবনে উছাইমীন, ৩/১০৩ পৃ.)। তবে বিকল্প না থাকলে বাধ্যগত অবস্থায় সাধ্যমত পর্দার বিধান মেনে পড়াশোনা বা চাকরী করতে পারে (মাজমূঊল ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৩/২১৪ পৃ.; ফাতাওয়া নূরুন আলাদ র্দাব ইবনে উছাইমীন, ১/১০৩ ও ১৩/১২৭ পৃ.)।প্রশ্ন (১২) : নারীদেরকে পড়িয়ে প্রাপ্ত বেতনের অর্থ হালাল হবে কি?,নভেম্বর ২০২৩ - মাসিক আল-ইখলাছ