যে ব্যক্তি নামায ফরয হওয়ার কথা অস্বীকার করে এবং ইচ্ছাকৃত তা ত্যাগ করে সে ব্যক্তি উলামাদের সর্বসম্মতভাবে কাফের। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অবহেলায় অলসতার দরুন নামায ত্যাগ করে, সে ব্যক্তিও উলামাদের শুদ্ধ মতানুসারে কাফের। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘মানুষ এবং কুফর ও শির্কের মাঝে (অন্তরাল) নামায ত্যাগ।’’[1] তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের মাঝে ও ওদের মাঝে চুক্তিই হল নামায। যে ব্যক্তি তা পরিত্যাগ করে সে কাফের।’’[2]
এখানে কাফের বা কুফর বলতে সেই কুফরকে বুঝানো হয়েছে, যা মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) নামাযকে মুমিন ও কাফেরদের মাঝে অন্তরাল বলে চিহিÁত করেছেন। আর এ কথা বিদিত যে, কুফরীর মিল্লত ইসলামী মিল্লাত থেকে ভিন্নতর। সুতরাং যে ব্যক্তি ঐ চুক্তি পালন না করবে সে কাফেরদের একজন।[3]
আব্দুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব উকাইলী বলেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) -এর সাহাবাবৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরী মনে করতেন না।’[4]
বলা বাহুল্য, যে ব্যক্তি কাফের প্রতীয়মান হবে সে ব্যক্তির রোযা ও সকল প্রকার ইবাদত পন্ড হয়ে যাবে। কারণ, মহান আল্লাহ বলেন,
অর্থাৎ, তারা যদি শির্ক করত, তাহলে তাদের কৃতকর্ম পন্ড হয়ে যেত। (কুরআনুল কারীম ৬/৮৮)
তদনুরূপ সেই সকল রোযাদার যারা কেবল রমাযান মাসে নামায পড়ে এবং বাকী ১১ মাস নামায পড়ে না, তারা আসলে আল্লাহকে ধোকা দেয়। কত নিকৃষ্ট সেই জাতি, যে জাতি নিজ পালনকর্তা আল্লাহকে কেবল রমাযান মাসেই চিনে; অন্য মাসে চিনে না। এই শ্রেণীর লোকেদের অরমাযানে নামায না পড়ার কারণেই রোযাও শুদ্ধ হবে না।
তবে তারা রোযা ছাড়তে আদিষ্ট বা উপদিষ্ট নয়। কেননা, রোযা রাখলে তাদের জন্য মঙ্গলেরই আশা করা যায়। এতে তারা দ্বীনের নৈকট্য পেতে প্রয়াস পাবে। তাদের হৃদয়ে যে আল্লাহভীতিটুকু আছে তার মাঝেই আশা করা যায় যে, তারা তওবা করে ১২ মাস নামায পড়াও ধরবে।[5]
এখানে কাফের বা কুফর বলতে সেই কুফরকে বুঝানো হয়েছে, যা মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) নামাযকে মুমিন ও কাফেরদের মাঝে অন্তরাল বলে চিহিÁত করেছেন। আর এ কথা বিদিত যে, কুফরীর মিল্লত ইসলামী মিল্লাত থেকে ভিন্নতর। সুতরাং যে ব্যক্তি ঐ চুক্তি পালন না করবে সে কাফেরদের একজন।[3]
আব্দুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব উকাইলী বলেন, ‘নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) -এর সাহাবাবৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরী মনে করতেন না।’[4]
বলা বাহুল্য, যে ব্যক্তি কাফের প্রতীয়মান হবে সে ব্যক্তির রোযা ও সকল প্রকার ইবাদত পন্ড হয়ে যাবে। কারণ, মহান আল্লাহ বলেন,
(وَلَوْ أَشْرَكُوْا لَحَبِطَ عَنْهُمْ مَّا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ)
অর্থাৎ, তারা যদি শির্ক করত, তাহলে তাদের কৃতকর্ম পন্ড হয়ে যেত। (কুরআনুল কারীম ৬/৮৮)
তদনুরূপ সেই সকল রোযাদার যারা কেবল রমাযান মাসে নামায পড়ে এবং বাকী ১১ মাস নামায পড়ে না, তারা আসলে আল্লাহকে ধোকা দেয়। কত নিকৃষ্ট সেই জাতি, যে জাতি নিজ পালনকর্তা আল্লাহকে কেবল রমাযান মাসেই চিনে; অন্য মাসে চিনে না। এই শ্রেণীর লোকেদের অরমাযানে নামায না পড়ার কারণেই রোযাও শুদ্ধ হবে না।
তবে তারা রোযা ছাড়তে আদিষ্ট বা উপদিষ্ট নয়। কেননা, রোযা রাখলে তাদের জন্য মঙ্গলেরই আশা করা যায়। এতে তারা দ্বীনের নৈকট্য পেতে প্রয়াস পাবে। তাদের হৃদয়ে যে আল্লাহভীতিটুকু আছে তার মাঝেই আশা করা যায় যে, তারা তওবা করে ১২ মাস নামায পড়াও ধরবে।[5]
[1] (মুসলিম ৮২নং)
[2] (আহমাদ, মুসনাদ, তিরমিযী ২৬২১, ইবনে মাজাহ ১০৭৯নং, হাকেম, মুস্তাদ্রাক, ইবনে হিববান, সহীহ, সহীহ তারগীব, আলবানী ৫৬১নং)
[3] (ইবনে উষাইমীন, হুকমু তারিকিস সক্ষলাহ, ইবনে উষাইমীন ৯পৃঃ)
[4] (তিরমিযী ২৬২২, হাকেম, মুস্তাদ্রাক, সহীহ তারগীব, আলবানী ৫৬২নং)
[5] (স্থায়ী উলামা কমিটি, ফাসিঃ মুসনিদ ২৮-২৯পৃঃ)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী