• আসসালামু আলাইকুম, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন মেইনটেনেন্স মুডে থাকবে। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

সালাত নামাযে খতমের দুআয় শরীক হওয়া

Abu Abdullah

Knowledge Sharer

ilm Seeker
Uploader
Salafi User
Threads
745
Comments
997
Solutions
19
Reactions
10,263
Credits
6,307
ইমাম নামাযে কুরআন খতমের দুআ করলে মুক্তাদীও সে দুআতে শরীক হয়ে ‘আমীন-আমীন’ বলতে পারে। যদিও নামাযের মধ্যে কুরআন-খতমের মুনাজাত করার ব্যাপারে সুন্নাহ থেকে কোন দলীল নেই, তবুও যেহেতু মুসলিমদের কিছু আয়েম্মায়ে কেরাম তা করা মুস্তাহাব বলেছেন এবং তা হল একটি বৈধ ইজতিহাদী অভিমত, আর তা ভুল হলেও হতে পারে; কিন্তু তা হারাম কিছু নয়, সেহেতু সে কাজে ইমামের অনুসরণ করায় কোন বাধা নেই। যেমন ইমাম দুআ করলে সে দুআ বিদআত মনে করে অথবা সুন্নাহতে নেই বলে ঐ নামায ত্যাগ করে বেরিয়ে যাওয়া কারো জন্য উচিৎ নয়। কারণ, তাতে জামাআতের মাঝে অনৈক্য ও পারস্পরিক বিদ্বেষ পরিদৃষ্ট হবে। আর এ কাজ হবে আয়েম্মায়ে কেরামদের আমলের প্রতিকূল। যেমন ইমাম আহমাদ (রঃ) ফজরের নামাযে কুনূত পড়াকে মুস্তাহাব মনে করতেন না; বরং তা বিদআত মনে করতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি বলতেন, ‘যদি তুমি এমন ইমামের পশ্চাতে ফজরের নামায পড় যে কুনূত পড়ে, তাহলে তুমি তার কুনূতেও তার অনুসরণ কর এবং তার দুআয় আমীন বল।’ আর তা হল জামাআতের মাঝে সংহতি ও ঐক্য বজায় রাখার জন্য; যাতে একে অপরের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ না করে।[1]


[1] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৪/৮৬-৮৭, সামানিয়া ওয়া আরবাঊন সুআলান ফিস্-সিয়াম ৫৯-৬০পৃঃ)


রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী​
 
Top