প্রশ্ন নফল সালাত

প্রতিদিন ফজরের পর ১০/১২ রাকাত নফল, যোহরের জামাতের আগে ১০/১৪ রাকাত নফল সুন্নাত সহ , যোহরের পর ১০/১৪ রাকাত সুন্নত সহ, মাগরিবের পর ১২ রাকাত সুন্নত সহ আর রাতে এশার পর ১৩ রাকাত সুন্নত সহ কায়েম করা কি বিদআত?
 
রাকআতগুলোকে যদি নিয়মিতভাবে, নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট সংখ্যায়, সুন্নাহর অংশ ভেবে আদায় করা হয়, তবে তা বিদআত হবে।
তাই নির্দিষ্ট করে পড়বেন না। নফল সালাত হিসেবে পড়া যাবে।
ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেছেন:
"যদি কেউ নির্দিষ্ট রাকআত বানিয়ে নেয় এবং নিয়ম বানায়, অথচ রসূল(সাঃ) তা করেননি, তবে তা বিদআত।
তবে, কেউ যদি আজ বেশি পড়ে, কাল কম পড়ে, সংখ্যা নির্ধারণ না করে তবে তা জায়েজ।
(মাজমু' আল-ফাতাওয়া 22/272)

এখানে দুটি বিষয়:
১. ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত কোন নফল সালাত নাই। কেউ যদি ফজরের আগে দু রাকাত সুন্নাত সালাত না পড়ে, সে তা পড়তে পারবে।
ইবনে বা'য(রহঃ) ফতোয়া।
ঠিক একই নিয়ম আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত।
তাহিয়াতুল মসজিদ দু'রাকাত সালাত সুন্নাহ।
২. এশার পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আপনি দুই দুই করে ইচ্ছামতো অসংখ্য রাকাত পড়তে পারবেন, শেষে এক রাকাত পড়বেন।

আল্লাহু আ'লাম।
 
রাকআতগুলোকে যদি নিয়মিতভাবে, নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট সংখ্যায়, সুন্নাহর অংশ ভেবে আদায় করা হয়, তবে তা বিদআত হবে।
তাই নির্দিষ্ট করে পড়বেন না। নফল সালাত হিসেবে পড়া যাবে।
ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেছেন:
"যদি কেউ নির্দিষ্ট রাকআত বানিয়ে নেয় এবং নিয়ম বানায়, অথচ রসূল(সাঃ) তা করেননি, তবে তা বিদআত।
তবে, কেউ যদি আজ বেশি পড়ে, কাল কম পড়ে, সংখ্যা নির্ধারণ না করে তবে তা জায়েজ।
(মাজমু' আল-ফাতাওয়া 22/272)

এখানে দুটি বিষয়:
১. ফজরের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত কোন নফল সালাত নাই। কেউ যদি ফজরের আগে দু রাকাত সুন্নাত সালাত না পড়ে, সে তা পড়তে পারবে।
ইবনে বা'য(রহঃ) ফতোয়া।
ঠিক একই নিয়ম আছরের পর থেকে সূর্যাস্ত।
তাহিয়াতুল মসজিদ দু'রাকাত সালাত সুন্নাহ।
২. এশার পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত আপনি দুই দুই করে ইচ্ছামতো অসংখ্য রাকাত পড়তে পারবেন, শেষে এক রাকাত পড়বেন।

আল্লাহু আ'লাম।
আসসালামু আলাইকুম ভাই, যেহেতু পূর্ব জীবনে সালাতের অনেক ঘাটতি রয়েছে সেই হিসাবে নফল পড়া কি বিদআত এর মধ্যে পড়ে?
 
আসসালামু আলাইকুম ভাই, যেহেতু পূর্ব জীবনে সালাতের অনেক ঘাটতি রয়েছে সেই হিসাবে নফল পড়া কি বিদআত এর মধ্যে পড়ে?
বিদআত হবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নফল সালাত দিয়েছেন এজন্যই যেন মানুষ তার ঘাটতি পূরণ করে নৈকট্যশীল বান্দা হতে পারে। নেক আমলের ওসিলা জায়েয আছে। ওসিলা বিষয়ে এই ফোরামে বই আছে পড়তে পারেন। আপনি নফল সালাত আদায় করবেন আর বলবেন, হে আল্লাহ আপনি আমার এই নফল সালাতের বিনিময়ে আমার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেন । আর হাদীসে তো আছেই যে, বান্দার নফল সালাত দ্বারা ফরজ সালাতের ঘাটতি পূরণ করা হবে। তাই যতখুশি পড়ুন। "সালাতে মুবাশ্শির" বই পড়তে পারেন।
 
Last edited:
বিদআত হবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নফল সালাত দিয়েছেন এজন্যই যেন মানুষ তার ঘাটতি পূরণ করে নৈকট্যশীল বান্দা হতে পারে। নেক আমলের ওসিলা জায়েয আছে। ওসিলা বিষয়ে এই ফোরামে বই আছে পড়তে পারেন। আপনি নফল সালাত আদায় করবেন আর বলবেন, হে আল্লাহ আপনি আমার এই নফল সালাতের বিনিময়ে আমার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেন । আর হাদীসে তো আছেই যে, বান্দার নফল সালাত দ্বারা ফরজ সালাতের ঘাটতি পূরণ করা হবে। তাই যতখুশি পড়ুন। "সালাতে মুবাশ্শির" বই পড়তে পারেন। আলহামদুলিল্লাহ্

বিদআত হবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নফল সালাত দিয়েছেন এজন্যই যেন মানুষ তার ঘাটতি পূরণ করে নৈকট্যশীল বান্দা হতে পারে। নেক আমলের ওসিলা জায়েয আছে। ওসিলা বিষয়ে এই ফোরামে বই আছে পড়তে পারেন। আপনি নফল সালাত আদায় করবেন আর বলবেন, হে আল্লাহ আপনি আমার এই নফল সালাতের বিনিময়ে আমার পূর্বের সকল গুনাহ মাফ করে দেন । আর হাদীসে তো আছেই যে, বান্দার নফল সালাত দ্বারা ফরজ সালাতের ঘাটতি পূরণ করা হবে। তাই যতখুশি পড়ুন। "সালাতে মুবাশ্শির" বই পড়তে পারেন।
জাযাকাল্লাহু খায়রান ভাই আমার
 
আসসালামু আলাইকুম ভাই, যেহেতু পূর্ব জীবনে সালাতের অনেক ঘাটতি রয়েছে সেই হিসাবে নফল পড়া কি বিদআত এর মধ্যে পড়ে?
শায়খ মতিউর রহমান মাদানি হাফি: সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।
ভিডিওটি দেখুন।

 
Back
Top