Doing Automated Jobs
প্রশ্ন : আমরা ছয় ঘন্টা কাজ করে যোহরের স্বলাত পড়ি, স্বলাতে একজন ধূমপায়ী ও হুক্কা পানকারী ইমামতি করে এবং তাদের কারো কারো চুল লম্বা করে রাখা (মুখানফিস) তার ইমামতির হুকুম কি? তার পিছনে কি স্বলাত হবে? অনুগ্রহ করে এ সম্পর্কে আমাদেরকে কিছু বলুন।
উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্।
হ্যাঁ, তার পিছনে স্বলাত হয়ে যাবে, কিন্তু উত্তম হলো আপনাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ভাল ক্বেরাত পাঠ করতে পারে ও দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান রাখে তার ইমামতি করা। কেননা নবী(ﷺ) বলেছেন:
«يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللهِ»
“কোন জনগোষ্ঠীর ইমাম হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যে কুরআন ভাল পাঠ করতে পারে”।
এখানে ‘ভালোভাবে কুরআন পাঠকারী’র অর্থ: ‘ভালোভাবে কুরআন পাঠকারী এবং তার অর্থ অনুযায়ী আমলকারী’, কিন্তু যদি ভালোভাবে কুরআন পড়ে কিন্তু আমল করে না তাহলে তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।
আর যদি তাদের মধ্যে ভাল ক্বারী থাকা সত্ত্বেও অন্য কেউ ইমামতি করে তবে তা উচিত কাজ হবে না, যেমনটি পূর্বের হাদীসে বলা হয়েছে। আর ইমাম আহমদ ‘রিসালা সুন্নিয়া’ নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন: ‘যে ব্যক্তি এমন জনগোষ্ঠীর ইমামতি করবে যাদের মধ্যে তার চেয়ে ভাল লোক আছে; তবে তারা সবসময় অধঃগামী হবে।’ অর্থাৎ ধীরে ধীরে তাদের অধঃপতন হবে। কাজেই উত্তম হলো আপনাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পরহেজগার, জ্ঞানী এবং ক্বারী তার ইমামতি করা। যদি মেনে নেয়া যায় যে, ধূমপায়ী, দাড়ি মুণ্ডনকারী বা হুক্কা পানকারী বা যার মাথার চুল অযাচিতভাবে ছেড়ে দিয়েছে সে যদি সামনে গিয়ে ইমামতি করে তবে স্বলাত সহীহ হয়ে যাবে, পূনরায় তা আদায় করতে হবে না, কারণ সে মুসলিম, কিন্তু তা অসম্পূর্ণ হবে। আল্লাহই ভাল জানেন। (ফাতাওয়া ইবনে হুমাইদ পৃ : ১২৭-১২৮)
আল্লাহ্ সবচেয়ে ভালো জানেন।
সংকলন: আমের সালেহ আলাওয়ী নাজী
সূত্র: ইসলামহাউজ।
উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ্।
হ্যাঁ, তার পিছনে স্বলাত হয়ে যাবে, কিন্তু উত্তম হলো আপনাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ভাল ক্বেরাত পাঠ করতে পারে ও দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞান রাখে তার ইমামতি করা। কেননা নবী(ﷺ) বলেছেন:
«يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللهِ»
“কোন জনগোষ্ঠীর ইমাম হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যে কুরআন ভাল পাঠ করতে পারে”।
এখানে ‘ভালোভাবে কুরআন পাঠকারী’র অর্থ: ‘ভালোভাবে কুরআন পাঠকারী এবং তার অর্থ অনুযায়ী আমলকারী’, কিন্তু যদি ভালোভাবে কুরআন পড়ে কিন্তু আমল করে না তাহলে তার মধ্যে কোনো কল্যাণ নেই।
আর যদি তাদের মধ্যে ভাল ক্বারী থাকা সত্ত্বেও অন্য কেউ ইমামতি করে তবে তা উচিত কাজ হবে না, যেমনটি পূর্বের হাদীসে বলা হয়েছে। আর ইমাম আহমদ ‘রিসালা সুন্নিয়া’ নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন: ‘যে ব্যক্তি এমন জনগোষ্ঠীর ইমামতি করবে যাদের মধ্যে তার চেয়ে ভাল লোক আছে; তবে তারা সবসময় অধঃগামী হবে।’ অর্থাৎ ধীরে ধীরে তাদের অধঃপতন হবে। কাজেই উত্তম হলো আপনাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পরহেজগার, জ্ঞানী এবং ক্বারী তার ইমামতি করা। যদি মেনে নেয়া যায় যে, ধূমপায়ী, দাড়ি মুণ্ডনকারী বা হুক্কা পানকারী বা যার মাথার চুল অযাচিতভাবে ছেড়ে দিয়েছে সে যদি সামনে গিয়ে ইমামতি করে তবে স্বলাত সহীহ হয়ে যাবে, পূনরায় তা আদায় করতে হবে না, কারণ সে মুসলিম, কিন্তু তা অসম্পূর্ণ হবে। আল্লাহই ভাল জানেন। (ফাতাওয়া ইবনে হুমাইদ পৃ : ১২৭-১২৮)
আল্লাহ্ সবচেয়ে ভালো জানেন।
সংকলন: আমের সালেহ আলাওয়ী নাজী
সূত্র: ইসলামহাউজ।