যা লেখা হয়েছে, তা কি দুয়ার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব?
উত্তরঃ সন্দেহ নাই যে, ভাগ্যের লিখন পরিবর্তনে দুয়ার প্রভাব রয়েছে। তবে জেনে রাখা দরকার, এই পরিবর্তনটাও পূর্বে থেকে লেখা আছে যে, দুয়ার মাধ্যমে অমুকের ভাগ্যের পরিবর্তন করা হবে।
এই ধারণা যেন না হয় যে, আপনি ভাগ্যের কোন অলিখিত বস্ত পরিবর্তনের জন্যে দুয়া করছেন। সুতরাং দুয়া করবেন, এটাও পূর্ব থেকে লেখা আছে। আর দুয়ার মাধ্যমে যা অর্জিত হবে, তাও লিখিত আছে। এই জন্যই আমরা দেখতে পাই যে, রোগীকে ঝাড়-ফুঁক করা হলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠে। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কোন একদিকে একদল সৈনিক প্রেরণ করলেন। সেখানে তাঁরা একটি কাফের গোত্রের নিকটে মেহমান হিসাবে উপস্থিত হলে গোত্রের লোকেরা মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। রাতের বেলা সেই গোত্রের নেতাকে বিষাক্ত সাপে দংশন করল। তাকে ঝাড়-ফুঁক করার জন্য কবিরাজ অনুসন্ধান করা হল। কিন্তু কোন কবিরাজ পাওয়া গেলনা। অবশেষে লোকেরা সাহাবীদের নিকট এসে কবিরাজ অন্বেষণ করল।
একজন সাহাবী বললেন, আমি ঝাড়-ফুঁক করতে রাজি আছি, তবে আমাকে এরজন্যে বিনিময় দিতে হবে। তারা ঝাড়-ফুঁকের বিনিময়ে একশটি ছাগল দিতে রাজি হলে উক্ত সাহাবী রোগীকে সূরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়-ফুঁক করলেন। ফলে রোগী এমনভাবে সুস্থ হয়ে উঠল, মনে হয় যেন রশির বাঁধন হতে মুক্ত করা হল।
উক্ত হাদীস থেকে দেখা যাচ্ছে যে, রোগ মুক্তির জন্য ঝাড়-ফুঁক যথেষ্ট কার্যকর। অনুরূপভাবে, দুয়ার প্রভাব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দুয়া ছাড়া অন্য কিছু মানুষের তাকদীর (বা ভাগ্যের) পরিবর্তন ঘটাতে পারে না, উত্তম আচরণ ছাড়া অন্য কিছু মানুষের হায়াত বৃদ্ধি করতে পারে না। আর মানুষের পাপের কারণে তাকে রিযক হতে বঞ্চিত রাখা হয়।” সুনানে ইবনে মাজাহ, মিশকাতঃ ৪৯২৫।
তবে দুয়ার দ্বারা ভাগ্যের পরিবর্তন হয়না; বরং ভাগ্যে এটাও লেখা রয়েছে যে, সেই ব্যক্তি দুয়া করবে, অতঃপর তার ভাগ্যের পরিবর্তন করা হবে। সব কিছুই সংঘটিত হয় ভাগ্যের লিখন অনুযায়ী।
মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহ, ‘ফতোয়া আরকানুল ইসলাম’, ঈমান অধ্যায়।
অধ্যায়ঃ তাক্বদীর, ঈমানের ষষ্ঠ রুকন
উত্তরঃ সন্দেহ নাই যে, ভাগ্যের লিখন পরিবর্তনে দুয়ার প্রভাব রয়েছে। তবে জেনে রাখা দরকার, এই পরিবর্তনটাও পূর্বে থেকে লেখা আছে যে, দুয়ার মাধ্যমে অমুকের ভাগ্যের পরিবর্তন করা হবে।
এই ধারণা যেন না হয় যে, আপনি ভাগ্যের কোন অলিখিত বস্ত পরিবর্তনের জন্যে দুয়া করছেন। সুতরাং দুয়া করবেন, এটাও পূর্ব থেকে লেখা আছে। আর দুয়ার মাধ্যমে যা অর্জিত হবে, তাও লিখিত আছে। এই জন্যই আমরা দেখতে পাই যে, রোগীকে ঝাড়-ফুঁক করা হলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠে। নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কোন একদিকে একদল সৈনিক প্রেরণ করলেন। সেখানে তাঁরা একটি কাফের গোত্রের নিকটে মেহমান হিসাবে উপস্থিত হলে গোত্রের লোকেরা মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। রাতের বেলা সেই গোত্রের নেতাকে বিষাক্ত সাপে দংশন করল। তাকে ঝাড়-ফুঁক করার জন্য কবিরাজ অনুসন্ধান করা হল। কিন্তু কোন কবিরাজ পাওয়া গেলনা। অবশেষে লোকেরা সাহাবীদের নিকট এসে কবিরাজ অন্বেষণ করল।
একজন সাহাবী বললেন, আমি ঝাড়-ফুঁক করতে রাজি আছি, তবে আমাকে এরজন্যে বিনিময় দিতে হবে। তারা ঝাড়-ফুঁকের বিনিময়ে একশটি ছাগল দিতে রাজি হলে উক্ত সাহাবী রোগীকে সূরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়-ফুঁক করলেন। ফলে রোগী এমনভাবে সুস্থ হয়ে উঠল, মনে হয় যেন রশির বাঁধন হতে মুক্ত করা হল।
উক্ত হাদীস থেকে দেখা যাচ্ছে যে, রোগ মুক্তির জন্য ঝাড়-ফুঁক যথেষ্ট কার্যকর। অনুরূপভাবে, দুয়ার প্রভাব রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দুয়া ছাড়া অন্য কিছু মানুষের তাকদীর (বা ভাগ্যের) পরিবর্তন ঘটাতে পারে না, উত্তম আচরণ ছাড়া অন্য কিছু মানুষের হায়াত বৃদ্ধি করতে পারে না। আর মানুষের পাপের কারণে তাকে রিযক হতে বঞ্চিত রাখা হয়।” সুনানে ইবনে মাজাহ, মিশকাতঃ ৪৯২৫।
তবে দুয়ার দ্বারা ভাগ্যের পরিবর্তন হয়না; বরং ভাগ্যে এটাও লেখা রয়েছে যে, সেই ব্যক্তি দুয়া করবে, অতঃপর তার ভাগ্যের পরিবর্তন করা হবে। সব কিছুই সংঘটিত হয় ভাগ্যের লিখন অনুযায়ী।
মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন রাহিমাহুল্লাহ, ‘ফতোয়া আরকানুল ইসলাম’, ঈমান অধ্যায়।
অধ্যায়ঃ তাক্বদীর, ঈমানের ষষ্ঠ রুকন