হাদীসে যেসব খাদ্য দ্রব্য দ্বারা যাকাতুল ফিতর দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে-
১) খেজুর
২) কিশমিশ
৩) পনির
৪) যব
৫) ভুট্টা
যাকাতুল ফিতরকে কেবল এসব নির্দিষ্ট খাদ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; বরং মুসলিমগণ যা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে, তা থেকে যাকাতুল ফিতর প্রদান করবে। এর দলীল হলো আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেছেন,
এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, মুসলিমদের সাধারণ খাদ্য দ্বারা যাকাতুল ফিতর আদায় করা জায়েয। জ্ঞাতব্য যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব খাদ্য দ্বারা যাকাতুল ফিতর আদায় করা ফরয করেছিলেন; কারণ সে যুগে এগুলোই মদীনাবাসীর খাদ্য ছিল। অতএব অঞ্চলভেদে চাল, ডাল, গম, আলু প্রভৃতি খাদ্য দ্রব্য দ্বারা যাকাতুল ফিতর আদায় করা জায়েয। এটাই আলেমদের বিশুদ্ধ অভিমত। ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ এ অভিমতকে পছন্দ করেছেন।
সুতরাং হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হলো যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্য দিয়ে যাকাতুল ফিতর আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম খাদ্য দিয়েই যাকাতুল ফিতর আদায় করতেন। যদিও সেসময় অর্থ ছিল, কিন্তু অর্থ দিয়ে যাকাতুল ফিতর আদায়ের কোনো দৃষ্টান্ত তাদের মধ্যে পাওয়া যায় না। তাই যাকাতুল ফিতর অর্থ দিয়ে নয়, খাদ্য দিয়েই আদায় করতে হবে। এছাড়া হাদীস দ্বারা এটাও সাব্যস্ত হয়েছে যে, যাকাতুল ফিতরের একটি হিকমত হলো- মিসকীনদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করা।
যদি কোনো অঞ্চলে খাদ্য না পাওয়া যায় কিংবা সেখানে খাদ্য পৌঁছানো সম্ভব না হয়, তাহলে হয়তোবা খাদ্য কেনার জন্য অর্থ প্রদানের বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন দেখা দিবে। অতএব খাদ্য থাকাবস্থায় যাকাতুল ফিতর খাদ্য দিয়ে প্রদান করাটাই সঙ্গত। কেননা অর্থ প্রদান করলে তা অন্যান্য কাজেও ব্যয় হতে পারে, যা এর উদ্দেশ্য বহির্ভুত।
কেউ যদি খাদ্য থাকা সত্ত্বেও অর্থ দিয়ে যাকাতুল ফিতর আদায় করতে চান, তাহলে একদল আলেমের মতে তা জায়েয; কেননা অর্থ দিয়ে তো খাদ্য কেনা যায়। কিন্তু বহু মুহাক্কিক আলেমের মতে যাকাতুল ফিতর অর্থ দিয়ে আদায় করা জায়েয নয় এবং তাদের কারো কারো মতে অর্থ দিয়ে যাকাতুল ফিতর আদায় করলে তা আদায় হবে না। কারণ এটা একটি ইবাদাত, যা খাদ্য দিয়ে আদায়ের জন্য শরীয়ত নির্দেশনা দিয়েছে।
১) খেজুর
২) কিশমিশ
৩) পনির
৪) যব
৫) ভুট্টা
যাকাতুল ফিতরকে কেবল এসব নির্দিষ্ট খাদ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; বরং মুসলিমগণ যা খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে, তা থেকে যাকাতুল ফিতর প্রদান করবে। এর দলীল হলো আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেছেন,
«كُنَّا نُخْرِجُ إِذْ كَانَ فِينَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الْفِطْرِ، عَنْ كُلِّ صَغِيرٍ، وَكَبِيرٍ، حُرٍّ أَوْ مَمْلُوكٍ، صَاعًا مِنْ طَعَامٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ أَقِطٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ زَبِيبٍ».
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় আমরা ছোট, বড়, স্বাধীন, কৃতদাস প্রত্যেকের পক্ষ হতে এক সা‘ খাদ্য অথবা এক সা‘ পনির অথবা এক সা‘ যব অথবা এক সা‘ খেজুর অথবা এক সা‘ কিসমিস দ্বারা যাকাতুল ফিতর আদায় করতাম।” - [সহীহ মুসলিম, হা/২১৭৪]এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, মুসলিমদের সাধারণ খাদ্য দ্বারা যাকাতুল ফিতর আদায় করা জায়েয। জ্ঞাতব্য যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব খাদ্য দ্বারা যাকাতুল ফিতর আদায় করা ফরয করেছিলেন; কারণ সে যুগে এগুলোই মদীনাবাসীর খাদ্য ছিল। অতএব অঞ্চলভেদে চাল, ডাল, গম, আলু প্রভৃতি খাদ্য দ্রব্য দ্বারা যাকাতুল ফিতর আদায় করা জায়েয। এটাই আলেমদের বিশুদ্ধ অভিমত। ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ এ অভিমতকে পছন্দ করেছেন।
সুতরাং হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হলো যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্য দিয়ে যাকাতুল ফিতর আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম খাদ্য দিয়েই যাকাতুল ফিতর আদায় করতেন। যদিও সেসময় অর্থ ছিল, কিন্তু অর্থ দিয়ে যাকাতুল ফিতর আদায়ের কোনো দৃষ্টান্ত তাদের মধ্যে পাওয়া যায় না। তাই যাকাতুল ফিতর অর্থ দিয়ে নয়, খাদ্য দিয়েই আদায় করতে হবে। এছাড়া হাদীস দ্বারা এটাও সাব্যস্ত হয়েছে যে, যাকাতুল ফিতরের একটি হিকমত হলো- মিসকীনদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করা।
যদি কোনো অঞ্চলে খাদ্য না পাওয়া যায় কিংবা সেখানে খাদ্য পৌঁছানো সম্ভব না হয়, তাহলে হয়তোবা খাদ্য কেনার জন্য অর্থ প্রদানের বিকল্প ব্যবস্থার প্রয়োজন দেখা দিবে। অতএব খাদ্য থাকাবস্থায় যাকাতুল ফিতর খাদ্য দিয়ে প্রদান করাটাই সঙ্গত। কেননা অর্থ প্রদান করলে তা অন্যান্য কাজেও ব্যয় হতে পারে, যা এর উদ্দেশ্য বহির্ভুত।
কেউ যদি খাদ্য থাকা সত্ত্বেও অর্থ দিয়ে যাকাতুল ফিতর আদায় করতে চান, তাহলে একদল আলেমের মতে তা জায়েয; কেননা অর্থ দিয়ে তো খাদ্য কেনা যায়। কিন্তু বহু মুহাক্কিক আলেমের মতে যাকাতুল ফিতর অর্থ দিয়ে আদায় করা জায়েয নয় এবং তাদের কারো কারো মতে অর্থ দিয়ে যাকাতুল ফিতর আদায় করলে তা আদায় হবে না। কারণ এটা একটি ইবাদাত, যা খাদ্য দিয়ে আদায়ের জন্য শরীয়ত নির্দেশনা দিয়েছে।
- লেখক: ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী