ইবনুল ক্বাইয়্যীম ই'লামুল মুওয়াক্কিঈন গ্রন্থে (২/৩৯৫) বলেছেন: যদি সুন্নাহ মানুষের আমলের দিকে তাকিয়ে পরিত্যাগ করা হয়, তাহলে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহ অকার্যকর হয়ে পড়বে। সুন্নাহ এর রীতিগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, সুন্নাহ এর নিদর্শনগুলো মুছে যাবে। কত আমল আছে, যেগুলো যুগের পরিবর্তনে স্পষ্ট সুন্নাহ এর বিপরীতে প্রচলিত হয়ে এখন পর্যন্ত বিদ্যমান। প্রতিটি মূহুর্তেই একেকটি সুন্নাহ পরিত্যাগ করে তার বিপরীত আমল চর্চা করা হচ্ছে। যেই নীতির উপর আমল ধারাবাহিকতা লাভ করছে, তুমি সামান্য পরিমাণ এমন কিছু সুন্নাহ পাবে, যেগুলোর উপরে অবহেলা করে আমল করা হয়। তুমি অবহেলাকৃত ও যেগুলো সামষ্টিক বিচাবে কার্যকরী করা হয় না, এমন সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরো। সে যদি সেই অনুসারে আমল করে, তাহলে মানুষ বলবে, সুন্নাহটি পরিত্যাগ করা হয়েছে। সহীহ সুন্নাহ এর বিপরীতে যত আমল আছে, কোনোটিই বর্ণনাভিত্তিক নয়, বরং এগুলো সবই ইজতেহাদী। আর ইজতেহাদ যখনই সুন্নাহ এর বিপরীতে যাবে, তখনই তা প্রত্যাখ্যাত হবে।
ইবনু হাযম আল-মুহাল্লা গ্রন্থে (৫/৬৬১) বলেছেন: শায হলো সত্যের বিরোধিতা করা। তাই যে ব্যক্তি কোনো মাসআলায় সত্যের বিরোধীতা করল, সে উক্ত মাসআলায় শায। চাই তারা পুরো পৃথিবীবাসী হোক অথবা পৃথিবীবাসীর আংশিকই হোক। আর জামা'আত ও সঠিক দল হলো যারা হক্বের অনুসারী, যদিও তাদের সংখ্যা পৃথিবীতে একজনই হোক না কেন, সেই একটি জামা'আত, সেই একটি দল। আবূ বকর আর খাদীজা – যখন ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তখন তারা দুইজনেই একটি জামা'আত ছিলেন, আর তারা উভয়ে ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত আর সকলেই শায ও বিচ্ছিন্ন মতের অনুসারী ছিল।