ইমাম শাফেয়ী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘আমি যখন বাল্য বয়সে লেখা-পড়া শুরু করি, তখন আমার অবস্থা স্বচ্ছল ছিল না। (উল্লেখ্য যে, তখন তাঁর বয়স ছিল তের বছরের চেয়ে কম) তিনি বলেন, তখন আমি বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে গিয়ে এক পৃষ্ঠা লেখা কাগজ চেয়ে এনে তার অপর পৃষ্ঠায় লিখতাম। ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন, আমি যখন মক্তবের ছাত্র ছিলাম, তখন আমি শুনতাম, মাননীয় শিক্ষক ছাত্রদের পড়াচ্ছেন। তিনি যা পড়াতেন তা শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে যেত। আমি ছিলাম এতিম। শিক্ষককে পারিশ্রমিক দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার মায়ের ছিল না। তবুও মাননীয় শিক্ষক আমার প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন যে, তার দরস দান শেষে চলে যাওয়ার পর আমি ছাত্রদেরকে পড়া বলে দিতাম। অথচ তারা পূর্বে থেকে লিখতে থাকত। আর শিক্ষকের লেখানো শেষ করার আগেই আমার লেখা সবটুকু মুখস্থ হয়ে যেত। একদিন তিনি আমাকে বললেন, তোমার নিকট থেকে কোনো পারিশ্রমিক গ্রহণ করা আমার জন্য উচিত হবে না। এরপর মক্তব থেকে বের হয়ে মাটির চাঁড়া, খেজুরের ডালের গোড়ার দিকের চ্যাপ্টা অংশ, উটের বাহুর গোড়ার চ্যাপ্টা হাঁড় কুড়িয়ে নিতাম এবং তাতে হাদীস লিখতাম। আর সরকারী দপ্তরে গিয়ে সেখান থেকে এক পৃষ্ঠায় লেখা কাগজ চেয়ে এনে তাতে লিখতাম। এরপর সেগুলো কলসিতে ভরে রাখতাম। এভাবে আমি মায়ের অনেকগুলো কলসি ভর্তি করে ফেলি।’
– বায়হাকী, মানাকিবুশ শাফেয়ী : ১/৯৫; কাযী ইয়ায, তারতীবুল মাদারিক : ৩/১৭৫; ইয়াকুত হামাবী, মু‘জামুল উদাবা : ৬/২৩৯৫
– বায়হাকী, মানাকিবুশ শাফেয়ী : ১/৯৫; কাযী ইয়ায, তারতীবুল মাদারিক : ৩/১৭৫; ইয়াকুত হামাবী, মু‘জামুল উদাবা : ৬/২৩৯৫