ফাযায়েলে আমল তাসবিহ, তাহলিল, তাহমিদ ও তাকবির এর মহা বিস্ময়কর ফজিলত সমূহ

Joined
Mar 15, 2025
Threads
19
Comments
20
Reactions
210
১. ‎ সামুরাহ বিন জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ চারটি শ্রেষ্ঠ বাক্য আছে তার যে কোনোটি দিয়ে শুরু করাতে তোমার ক্ষতি নেই, সুবহানাল্লাহ (আল্লাহ মহাপবিত্র), ওয়ালহামদু লিল্লাহ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর) ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু (আল্লাহ ব্যাতিত কোন ইলাহ নাই) এবং ওয়াল্লাহু আকবার (আল্লাহ মহান)। (মুসলিম ৫৪৯৪। সহীহাহ ৩৪৬।সুনানে ইবনে মাজাহ- ৩৮১১ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।)

২. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি বলি- “সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াল হামদু লিল্লা-হি ওয়ালা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার”। অর্থাৎ- “আল্লাহর পবিত্র, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং আল্লাহ ভিন্ন কোন মা‘বূদ নেই, আল্লাহ মহান” পড়া আমার নিকট বেশি প্রিয়- সে সব বিষয়ের চেয়ে, যার উপর সূর্য উদিত হয়। (ই.ফা. ৬৬০২, ই.সে. ৬৬৫৫) (সহিহ মুসলিম,-৬৭৪০ ,হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)

৩. ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ মি'রাজের রাতে আমি ইবরাহীম (আঃ)-এর সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মাদ" আপনার উম্মাতকে আমার সালাম পৌছিয়ে দিন এবং তাদেরকে জানান যে, জান্নাতের যামীন অতীব সুগন্ধি সমৃদ্ধ এবং সেখানকার পানি অত্যন্ত সুস্বাদু। তা একটি সমতল ভূমি এবং তার গাছপালা হল "সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার"। (সহীহাহ (হাঃ ১০৬)। জামে' আত-তিরমিজি/- ৩৪৬২, হাদিসের মান: হাসান হাদিস।)

৪. ‎আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি একটি চারাগাছ রোপণরত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার নিকট দিয়ে যেতে জিজ্ঞেস করলেন : আবূ হুরায়রাহ! কী রোপণ করছো? আমি বললাম, আমার একটি চারা রোপণ করছি। তিনি বলেনঃ আমি কি তোমাকে এমন কিছু রোপণের কথা বলে দিবো না, যা তোমার জন্য এর চেয়েও উত্তম? তিনি বলেন, অবশ্যই, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বলেনঃ তুমি বলো, “ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” (সমস্ত পবিত্রতা আল্লাহর, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ মহান)। প্রতিবারে বিনিময়ে তোমার জন্য জান্নাতে একটি করে গাছ রোপিত হবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৮০৭ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।)

৫. কা‘ব ইবনে উজরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “নামাযান্তে কিছু বাক্য রয়েছে বা কিছু কর্ম রয়েছে, সেগুলি যে পড়বে বা (পাঠ) করবে, সে আদৌ ব্যর্থ হবে না। তা হচ্ছে প্রত্যেক ফরয নামায বাদ ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়া।” (মুসলিম ৫৯৬, তিরমিযী ৩৪১২, নাসায়ী ১৩৪৯ ,রিয়াদুস সলেহিন-১৪২৮ ,হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।)

৬. উম্মু হানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বললাম, হে রাসূলাল্লাহ! আমাকে একটা আমল বলে দিন। কেননা এখন তো আমি বৃদ্ধ হয়ে পড়েছি, দুর্বল হয়ে গেছি এবং আমার দেহও ভারী হয়ে গেছে। তিনি বলেনঃ তুমি শতবার আল্লাহু আকবার, শতবার আলহামদু লিল্লাহ এবং শতবার সুবহানাল্লাহ পড়ো। তা জিনপোষ ও লাগামসহ একশত ঘোড়া আল্লাহর পথে (জিহাদে) দান করার চেয়ে উত্তম, একশত উটের চেয়ে উত্তম এবং একশত গোলাম আজাদ করার চেয়ে উত্তম। (আহমাদ ২৭৭২৩, ২৬৮৪৭। সহীহাহ ১৩১৬। সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৮১০ ,হাদিসের মান: হাসান হাদিস)

৭. ‎ আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত: নবী (সাঃ) একটি গাছের ডাল ধরে নাড়া দিলেন কিন্তু পাতা ঝরলো না। তিনি পুনরায় তা ধরে নাড়া দিলেন কিন্তু এবারও পাতা ঝরলো না। তিনি পুনরায় ডাল ধরে নাড়া দিলে এবার পাতা ঝরলো। তিনি বলেনঃ “সুবহানাল্লাহি ওয়ালহামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” বাক্য গুনাহ ঝরিয়ে দেয়, যেমন গাছ তার পাতাসমূহ ঝরিয়ে দেয়।
(আহমাদ - ১২৫৩৪ আদাবুল মুফরাদ - ৬৩৮, হাদিসের মান: হাসান হাদিস।)

৮. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের কাছে এসে বললেন : তোমরা আত্মরক্ষার জন্য ঢাল গ্রহণ করো । আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! কোন দুশমন উপস্থিত হয়েছে কি? তিনি (সাঃ) বললেন : তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার জন্য ঢাল নিয়ে নাও । তোমরা বলো : “সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি”- কেননা কিয়ামাতের দিন এগুলো তার পাঠকের সামনে, পিছন, ডান ও বাম দিক দিয়ে আসবে, তার জন্য নাজাতকারী হবে এবং এগুলোই তার অবশিষ্ট নেক আমল হিসেবে রয়ে যাবে।(মুস্তাদরাক হাকিম হা/১৯৮৫,বায়হাক্বীর শু'আবুল ঈমান হা/৫৯৮, সহীহ আত-তারগীব হা/১৫৬৭,আহমাদ হা/১৮৩৫৩-তাহক্বীক্ব শুআইব আরনাউত্ব : হাদীস সহীহ লিগাইরিহি ।ইমাম হাকিম বলেন : এই হাদীস মুসলিমের শর্তে সহীহ ।আলবানী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন ।)

৯. ‎নু’মান বিন বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাহমীদের (আলহামদু লিল্লাহ)-এর মাধ্যমে তোমরা আল্লাহর যে মহিমা বর্ণনা কর তা মৌমাছির গুঞ্জনের ন্যায় শব্দ করে আরশের চারপাশে ঘুরতে থাকে। সেগুলো নিজ নিজ প্রেরকের কথা উল্লেখ করতে থাকে। তোমাদের কেউ কি এটা পছন্দ করে না যে, আল্লাহর নিকট অনবরত তার উল্লেখকারী কেউ থাকুক? (আহমাদ ১৭৮৯৮,১৭৯২১, মুখতাসারুল উলু ৩২/২৪।,সুনানে ইবনে মাজাহ - ৩৮০৯, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)



কপি ও শেয়ার করুন:
. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ভাল কাজের পথ দেখাবে, সে তার প্রতি আমলকারীর সমান নেকী পাবে।’’ ( সহীহ মুসলিম ৪৭৯৩, তিরমিযী ২৬৭১, আবূ দাউদ ৫১২৯ মান: সহীহ)
. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক সঠিক পথের দিকে ডাকে তার জন্য সে পথের অনুসারীদের প্রতিদানের সমান প্রতিদান রয়েছে। এতে তাদের প্রতিদান হতে সামান্য ঘাটতি হবে না। (সহীহ মুসলিম--৬৬৯৭,তিরমিযী ২৬৭৪, আবূ দাঊদ ৪৬০৯, দারিমী ৫১৩। ইবনে মাজাহ-২০৬ মান: সহীহ)
 

Attachments

  • AddText_04-12-05.24.50.jpg
    AddText_04-12-05.24.50.jpg
    208.4 KB · Views: 40
Similar threads Most view View more
Back
Top