- Joined
- Mar 16, 2023
- Threads
- 4
- Comments
- 4
- Reactions
- 65
- Thread Author
- #1
যেসকল মুসলিম; মুসলিমদের পুনর্জাগরণ চায়, তাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব হচ্ছে, সঠিক তাওহীদ বোঝা। তারা আমাদেরকে ওহাবী বলছে বা পশ্চাদপদী বলছে, তাতে আমরা কিছুই মনে করি না। এমন দুর্নাম ছড়ানোর কথা আমাদের রব আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন এবং আমাদের নবীর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
مَا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِنْ قَبْلِكَ
আপনাকে তাই বলা হবে যা আপনার
পূর্বের রাসূলদের বলা হয়েছিল।(সূরা ফুস সিলাত:৪৩)
আমরা কুরআন ও হাদীস থেকে জানি, রাসূলুল্লাহকে প্রেরণ করা হলে কাফিররা তাঁকে জাদুকর, কবি ও মিথ্যুক আখ্যা দেয়। আমরা যারা এই যুগে আছি আমাদেরকে আর কী-ই বা বলা হচ্ছে। সঠিক ইসলাম আঁকড়ে ধরার তাওফীক প্রদান করে আল্লাহ আমাদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। তাই আমাদের ব্যাপারে যা-ই বলা হোক না কেন, তা রাসূলুল্লাহ -এর তুলনায় অতি তুচ্ছ। কারণ, তিনি আল্লাহর কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বমর্যাদাবান ছিলেন। তাছাড়া তাঁকে বলা হয়েছে মিথ্যুক ও জাদুকর। এসব তো আমাদেরকে বলা হয় না। আমাদেরকে তারা বলে ওহাবী। ওহাবী মানে কী? আল্লাহ তার ওপর রহম করুন যিনি বলেছেন, ‘আহমাদের অনুসরণ করা যদি হয় ওহাবী, তাহলে আমি স্বীকার করছি যে, আমি ওহাবী।’
তাদের অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ দেখুন, তারা আমাদেরকে দোষারোপ করতে নাম দেয় ওহাবী। অথচ বাস্তবতা হলো, আভিধানিক অর্থে এটি প্রশংসামূলক শব্দ। কারণ, ওহাবী বলা হয় আল্লাহর দিকে সম্পৃক্ত করে। কেননা ‘আল- ওয়াহহাব’ আল্লাহর একটি নাম। যদি বলা হয়, অমুক ওয়ালীউল্লাহ বা আল্লাহর ওয়ালী, তাহলে তা প্রশংসামূলক শব্দ না কি নিন্দামূলক? তা প্রশংসামূলক। অনুরূপ ওহাবী প্রশংসামূলক শব্দ। আল্লাহ তাআলা এদের অন্তরকে মুছে ও নিভিয়ে দিয়েছেন। ফলে তারা যা বলে, তা অনুধাবন করার ক্ষমতা রাখে না।
তারা মনে করে, ওহাবী বলা হয় (মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব) নাজদীর দিকে সম্পৃক্ত করে। যে-নাজদী তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে এসেছিলেন এবং সুন্নাতে মুহাম্মাদী পরিপন্থি নির্মিত কবরকে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন। আপনারা সবাই জানেন, তার নাম ছিল মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব। কিন্তু তারা দেখলো যে, তার নাম মুহাম্মাদের দিকে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে যদি ‘মুহাম্মাদী’ বলা হয়, তাহলে তা প্রশংসামূলক হয়ে যাবে। তাই তারা তার পিতা আবদুল ওয়াহহাব-এর দিকে সম্পৃক্ত করে ওহাবী বলা শুরু করে। অথচ তারা বুঝতে পারলো না যে, ‘মুহাম্মাদী' বলার তুলনায় আমাদেরকে ‘ওহাবী’ বলাতে আরো বেশি প্রশংসা হয়ে যায়। কারণ, তা আল্লাহর ওয়াহহাব নামের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। ইমাম শাফিয়ী বলেছেন, ‘যদি মুহাম্মাদের পরিবারকে ভালোবাসা রাফিযী হয়, তাহলে হে মানব ও জিন জাতি শুনে রেখো, আমি রাফিযী।' ইমাম শাফিয়ীর এ কথার ওপর ভিত্তি করে বর্তমান যুগের এক কবি বলেছেন, ‘আহমাদের অনুসরণ করা যদি হয় ওহাবী, তাহলে আমি স্বীকার করছি যে, আমি ওহাবী।' কাজেই যে মুসলিমদেরকে আল্লাহ তাআলা হকের অনুসরণ করার তাওফীক দিয়েছেন, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে এসব লোকের এমন কথায় প্রভাবিত না হওয়া।
আমাদের পূর্বের সৎবান্দাদেরকে যা বলা হয়েছে আমাদেরকেও তাই বলা হবে। তারা আমাদের আদর্শ।
বই: মানহাজুস সালাফ/পৃষ্ঠা: ৩১৩-৩১৫
লেখক: মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী (রাহি:)
مَا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِنْ قَبْلِكَ
আপনাকে তাই বলা হবে যা আপনার
পূর্বের রাসূলদের বলা হয়েছিল।(সূরা ফুস সিলাত:৪৩)
আমরা কুরআন ও হাদীস থেকে জানি, রাসূলুল্লাহকে প্রেরণ করা হলে কাফিররা তাঁকে জাদুকর, কবি ও মিথ্যুক আখ্যা দেয়। আমরা যারা এই যুগে আছি আমাদেরকে আর কী-ই বা বলা হচ্ছে। সঠিক ইসলাম আঁকড়ে ধরার তাওফীক প্রদান করে আল্লাহ আমাদের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। তাই আমাদের ব্যাপারে যা-ই বলা হোক না কেন, তা রাসূলুল্লাহ -এর তুলনায় অতি তুচ্ছ। কারণ, তিনি আল্লাহর কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বমর্যাদাবান ছিলেন। তাছাড়া তাঁকে বলা হয়েছে মিথ্যুক ও জাদুকর। এসব তো আমাদেরকে বলা হয় না। আমাদেরকে তারা বলে ওহাবী। ওহাবী মানে কী? আল্লাহ তার ওপর রহম করুন যিনি বলেছেন, ‘আহমাদের অনুসরণ করা যদি হয় ওহাবী, তাহলে আমি স্বীকার করছি যে, আমি ওহাবী।’
তাদের অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ দেখুন, তারা আমাদেরকে দোষারোপ করতে নাম দেয় ওহাবী। অথচ বাস্তবতা হলো, আভিধানিক অর্থে এটি প্রশংসামূলক শব্দ। কারণ, ওহাবী বলা হয় আল্লাহর দিকে সম্পৃক্ত করে। কেননা ‘আল- ওয়াহহাব’ আল্লাহর একটি নাম। যদি বলা হয়, অমুক ওয়ালীউল্লাহ বা আল্লাহর ওয়ালী, তাহলে তা প্রশংসামূলক শব্দ না কি নিন্দামূলক? তা প্রশংসামূলক। অনুরূপ ওহাবী প্রশংসামূলক শব্দ। আল্লাহ তাআলা এদের অন্তরকে মুছে ও নিভিয়ে দিয়েছেন। ফলে তারা যা বলে, তা অনুধাবন করার ক্ষমতা রাখে না।
তারা মনে করে, ওহাবী বলা হয় (মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব) নাজদীর দিকে সম্পৃক্ত করে। যে-নাজদী তাওহীদের দাওয়াত নিয়ে এসেছিলেন এবং সুন্নাতে মুহাম্মাদী পরিপন্থি নির্মিত কবরকে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন। আপনারা সবাই জানেন, তার নাম ছিল মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব। কিন্তু তারা দেখলো যে, তার নাম মুহাম্মাদের দিকে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে যদি ‘মুহাম্মাদী’ বলা হয়, তাহলে তা প্রশংসামূলক হয়ে যাবে। তাই তারা তার পিতা আবদুল ওয়াহহাব-এর দিকে সম্পৃক্ত করে ওহাবী বলা শুরু করে। অথচ তারা বুঝতে পারলো না যে, ‘মুহাম্মাদী' বলার তুলনায় আমাদেরকে ‘ওহাবী’ বলাতে আরো বেশি প্রশংসা হয়ে যায়। কারণ, তা আল্লাহর ওয়াহহাব নামের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। ইমাম শাফিয়ী বলেছেন, ‘যদি মুহাম্মাদের পরিবারকে ভালোবাসা রাফিযী হয়, তাহলে হে মানব ও জিন জাতি শুনে রেখো, আমি রাফিযী।' ইমাম শাফিয়ীর এ কথার ওপর ভিত্তি করে বর্তমান যুগের এক কবি বলেছেন, ‘আহমাদের অনুসরণ করা যদি হয় ওহাবী, তাহলে আমি স্বীকার করছি যে, আমি ওহাবী।' কাজেই যে মুসলিমদেরকে আল্লাহ তাআলা হকের অনুসরণ করার তাওফীক দিয়েছেন, তাদের দায়িত্ব হচ্ছে এসব লোকের এমন কথায় প্রভাবিত না হওয়া।
আমাদের পূর্বের সৎবান্দাদেরকে যা বলা হয়েছে আমাদেরকেও তাই বলা হবে। তারা আমাদের আদর্শ।
বই: মানহাজুস সালাফ/পৃষ্ঠা: ৩১৩-৩১৫
লেখক: মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন আলবানী (রাহি:)