তারাবীহর নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। বহু হাদীসগ্রন্থে আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) কিয়ামে রামাযানের ব্যাপারে (সকলকে) উৎসাহিত করতেন; কিন্তু তিনি বাধ্যতামূলকরূপে আদেশ দিতেন না। তিনি বলতেন, ‘‘যে ব্যক্তি ঈমান রেখে সওয়াবের আশায় রমাযানের কিয়াম করবে, সে ব্যক্তির পূর্বকৃত পাপসমূহ মাফ হয়ে যাবে।’’[1]
আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘একদা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) মসজিদে নামায পড়লেন। তাঁর অনুসরণ (ইক্তিদা) করে অনেক লোক নামায পড়ল। অতঃপর পরের রাতে নামায পড়লে লোক আরো বেশী হল। তৃতীয় রাতে লোকেরা জমায়েত হলে তিনি বাসা থেকে বের হলেন না। ফজরের সময় তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘‘আমি তোমাদের আগ্রহ লক্ষ্য করেছি। তোমাদের নিকট (নামাযের জন্য) বের হতে আমার কোন বাধা ছিল না। কিন্তু আমি আশঙ্কা করলাম যে, ঐ নামায তোমাদের জন্য ফরয করে দেওয়া হবে।’’ আর এ ঘটনা হল রমাযানের।’[2]
[1] (আহমাদ, মুসনাদ ২/২৮১, ৫২৯, বুখারী ১৯০১, মুসলিম ৭৫৯, সহীহ আবূ দাঊদ ১২২২, সহীহ তিরমিযী, আলবানী ৬৪৮নং)
[2] (বুখারী ২০১২, মুসলিম ৭৬১নং)
রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
শাইখ আব্দুল হামীদ আল-ফাইযী আল-মাদানী