‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

প্রশ্নোত্তর তাদের দেশে ফজরের নামায ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে পড়া হয়; এমতাবস্থায় তারা কী করবে?

FORUM BOT

Doing Automated Jobs

Threads
4,135
Comments
4,353
Solutions
1
Reactions
37,503
Credits
24,212
প্রশ্ন: চাক্ষুস দলিল-প্রমাণের ভিত্তিতে আমাদের একীন হচ্ছে যে, আমাদের দেশের নামাযের সময়সূচীতে বড় ধরণের ভুল আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ভুল হচ্ছে- ফজরের নামাযের আযান নির্ধারিত সময় তথা সুবহে সাদিক থেকে দেরীতে দেয়া (অর্থাৎ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে আযান দেয়া হয়)। এমতাবস্থায় নফল নামাযের নিয়তে আমরা জামাআতের সাথে নামায পড়ি; এরপর আমাদের নিজ ঘরে কিংবা মসজিদের বাইরে পুনরায় আযান দিই এবং সুন্নত নামায ও ফরয নামায আদায় করি। যে বিষয়টি আমরা জানতে চাই সেটি হচ্ছে- ১। আমাদের এ কাজটি সঠিক কিনা? ২। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস “অচিরেই তোমরা এমন কিছু লোক পাবে যারা যথাসময়ে নামায পড়াবে না। যদি তোমরা তাদেরকে পাও তাহলে তোমরা নিজেদের ঘরে সঠিক সময়ে নামায আদায় করে নিবে। তারপর তাদের নামায আদায় করবে; নফল নামাযের নিয়তে” এ বাণী কি আমরা যথাযথভাবে বুঝতে পেরেছি যে, ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য আমরা জামাতের সাথে নামায পড়ি এবং পরে পুনরায় নামায আদায় করি? ৩। আলেমদের মধ্যে কেউ কি এমন কথা বলেছেন যে, “যদি আপনি এমন কোন ইমামের পিছনে নামায পড়েন যিনি বিশ্বাস করেন যে, শরিয়ত নির্ধারিত সময় প্রবেশ করেছে তাহলে আপনার নামায শুদ্ধ” যদিও আপনার কাছে এমন দলিল থাকে যা ইমামের অভিমতের বিপরীত? ৪। ফজরের আযানের ব্যাপারে চূড়ান্ত অভিমত কোনটি? ফজরের আযান কি অন্ধকার থাকতে দিতে হবে, নাকি আকাশ ফর্সা হওয়ার পর, নাকি আড়াআড়িভাবে লালিমা দেখা যাওয়ার পর, নাকি অন্য কিছু? ৫। এই হলো আমাদের অবস্থা। আপনারা আমাদের ভুল শুধরে দিবেন; আল্লাহ আপনাদেরকে মোবারকময় করুন। আমাদের জন্য যা কল্যাণকর আপনারা আমাদেরকে সেটা অবহিত করবেন। আমরা আল্লাহর নিকট প্রত্যাশা করি, আপনারা দ্রুততম সময়ে জবাব দিবেন। আল্লাহই হচ্ছেন উত্তম সহায়। আল্লাহ আপনাদেরকে তাওফিক দিন। আপনাদের আমলগুলোতে বরকত দিন।

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ।


এই প্রশ্নটি আমি আমার শাইখ আব্দুর রহমান আল-বার্‌রাক এর নিকট উপস্থাপন করেছি। তিনি বলেন: প্রশ্নে যা উল্লেখ করা হয়েছে যে, নামায নির্ধারিত সময়ের আগে আদায় করা হয় তাহলে তাদের গৃহীত পদক্ষেপ ও কিয়াস সঠিক। তারা সাধারণ মানুষের সাথে নামায পড়বে; এরপর যথাসময়ে আবার নামায আদায় করবে। আর যদি ব্যাপারটি ধারণা নির্ভর হয় কিংবা কোন ব্যক্তির তাকলীদের পরিপ্রেক্ষিতে হয়; ইলম নির্ভর না হয় তাহলে তারা সাধারণ মুসলমানদের সাথে নামায আদায় করবে।[সমাপ্ত]


আপনাদের জন্য উপদেশ হচ্ছে- আপনারা নির্ভরযোগ্য আলেমদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করুন; যে কমিটি ফজরের নামাযের ওয়াক্ত সুনির্দিষ্ট করবে, সে ওয়াক্তটি সাধারণ মানুষকে অবহিত করবে এবং কোন ভুল থাকলে সেটা শোধরানোর জন্য চেষ্টা করবে।


সুত্রঃ ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব
 

Share this page