‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

তাওহীদ এর পরিচয় কী এবং তাওহীদ কত প্রকার ও কী কী বর্ণনা করুন?

উত্তর: তাওহীদ হলো: আল্লাহকেই এককভাবে ইবাদাত করা।

আর তাওহীদ তিন প্রকার:

(১) প্রতিপালন এবং রক্ষনাবেক্ষন ও কর্তৃত্বে একত্ববাদ। আর তা হলো; ভালভাবে জেনে এবং বুঝে দৃঢ় বিশ্বাস করা যে আল্লাহই একক সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা এবং বিশ্বজগতের সার্বভৌম পরিচালক। এ প্রকারের তাওহীদ (সৃষ্টিকর্তা থেকে সৃষ্টির জন্য) তৎকালীন মুশরিকরাও স্বীকার করতো, তাই বলে তারা কিন্তু ইসলামের গণ্ডির মধ্যে প্রবেশ করতে পারে নি বা মুসলিম হতে পারে নি। আল্লাহ বলেন:

وَلَئِن سَأَلۡتَهُم مَّنۡ خَلَقَهُمۡ لَيَقُولُنَّ ٱللَّهُۖ [الزخرف: ٨٧]​

‘‘যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস কর কে তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তারা অবশ্যই বলবে ‘‘আল্লাহ’’। (সূরা আয-যুখরুফ: ৮৭)

আল্লাহর তাওহীদ বা একত্ববাদ খণ্ডিতরূপে বিশ্বাস করলে গ্রহণযোগ্য হয় না, কারণ আল্লাহ অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অতুলনীয় একক সত্তা।

(২) নাম ও গুণের তাওহীদ বা একত্ববাদ হলো; স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত সর্বোচ্চ মহত্ব মর্যাদাসম্পন্ন আল্লাহর যে সব নাম-গুণের উল্লেখ কুরআন ও হাদীসে এসেছে সেগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করা। আর তা হতে হবে কুরআন ও সহীহ হাদীসে যেভাবে আছে সেভাবেই। এ প্রকারের তাওহীদ কিছু সংখ্যক মুশরিকরা স্বীকার করে এবং অন্যরা অস্বীকার করে অজ্ঞতাবশত ও স্বেচ্ছাচারী একগুঁয়েমীর কারণে।

(৩) আল্লাহর ইবাদাতে তাওহীদ বা একত্ববাদ; আর তা হলো, একনিষ্ঠভাবে (খালেছভাবে) শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগী করা, তাঁর কোনো শরীক (অংশীদার) নেই। সর্বপ্রকারের ইবাদাত-বন্দেগী একমাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য। যেমন: ভালোবাসা, ভয়, ভীতি, আশা-আকাঙ্খা, নির্ভরশীলতা-ভরসা, দো‘আ-প্রার্থনা এবং আরো অন্যান্য ইবাদাত যা মুশরিক সম্প্রদায় কেবল আল্লাহর জন্য করতে অস্বীকার তথা অমান্য করে থাকে।[1]




[1] আল-জামে‘উল ফরিদ পৃষ্ঠা: ১০

 

Share this page