‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

ঝাড়-ফুঁক কাকে বলে এবং তার হুকুম কী?

ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি; ‘‘অবৈধ বা ভ্রান্ত ঝাড়-ফুঁক, তাবিজ, কবয এবং স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ভালোবাসা বজায় রাখার জন্য কোনো বস্ত্র ব্যবহার করা এসবই শির্ক’’। (মুসনাদে আহমাদ, আবু-দাউদ)

অনুরূপভাবে আব্দুল্লাহ ইবনে উকাইম রাদিয়াল্লাহ আনহু হতে মারফু সূত্রে বর্ণিত আছে ‘‘যে ব্যক্তি কোথাও তাবীয কবয ঝুলানো বা বাধলো তাকে ওগুলোর জিম্মায় সোপর্দ করা হবে’’। (আহমাদ, তিরমিযি) ঝাড়-ফুঁক কাকে বলে এবং তার হুকুম কী?

উত্তর: ঝাড়-ফুঁক যাকে আরবীতে ‘রুকা’ বলা হয়, যা ‘রুকিয়া’ শব্দের বহুবচন। রুকিয়া হলো; ঝাড়-ফুঁক ব্যবহার করে জ্বর, বিষাক্ত কিছুর দংশন, বেহুশ হওয়া ইত্যাদি রোগ ব্যাধি নিরাময় বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ কাজকে অপরিহার্য ঝাড়-ফুঁকমন্ত্র হিসেবে অভিহিত। আর তা দু প্রকার:

[১] জায়েয:- যে ঝাড়-ফুক শির্ক মুক্ত তা তিনটি শর্তে জায়েয হবে; যথা: (ক) শরীয়তসম্মত আরবী বাক্য দ্বারা বোধগম্য অথবা বৈধ দো‘আর সঠিক ভাবার্থ পাঠ দ্বারা।

(খ) আল্লাহর কালাম, আল্লাহর নাম ও গুণ দ্বারা অথবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসে উল্লিখিত বাক্য দ্বারা।

(গ) দৃঢ় বিশ্বাস থাকতে হবে যে, ঝাড়-ফুঁকের বিশেষ (স্বতন্ত্র) কোনো প্রভাব নেই বরং সবই আল্লাহর সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির প্রভাবাধীন।

[২] পূর্বোক্ত পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোনো পন্থার ঝাড়-ফুঁক করা নাজায়েয। মানুষের উপকার ও কল্যাণের জন্য ঝাড়-ফুঁক চিকিৎসাকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া এবং বিনিময়ে কিছু (অর্থ) নেয়া জায়েয। তবে জাদু-টোনা, সাধু-সন্নাসী, গনক, ও বিদআতীদের সর্বপ্রকার বাজে কর্মকাণ্ড, কুসংস্কার এবং বিভ্রান্তি থেকে দূরে থাকতে হবে। টেপরেকর্ডার, মাইক এবং টেলিফোনের মাধ্যমে ঝাড়-ফুঁক করা যাবে না। কেননা বৈধ উপায়ে ঝাড়-ফুঁক করা ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত; যে কোনো কাজ-কর্ম, ইবাদাত বন্দেগী শরীয়ত নির্ধারিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরামের পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা অপরিহার্য। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবাদের অনুসরণের মধ্যে বহুবিধ কল্যাণ নিহিত, তথা: মহান আল্লাহর সাথে অন্য কিছুর শরীক না হওয়ার উপায় এবং দীন ইসলামে কোনো প্রকার বিদআতের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ করাও সম্ভব হয়। সর্বাবস্থায় মহান আল্লাহ রাববুল আলামীনের প্রশংসা করা ঈমানদারদের একান্ত কর্তব্য।
 

Share this page