‼️ পোস্টটি সুন্দরভাবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন।‼️

আকিদা জ্যোতিষীর কাছে গমনকারী মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Threads
811
Comments
955
Reactions
8,999
Credits
4,100
প্রথম প্রকার: জ্যোতিষীর কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করে; কিন্তু তাকে বিশ্বাস করে না। এটি হারাম। এর শাস্তি হচ্ছে চল্লিশ দিনের নামায কবুল না হওয়া। এ মর্মে সহিহ মুসলিমে (২২৩০) সাব্যস্ত হয়েছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি কোন গণকের কাছে এসে তাকে কোন কিছু সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল তার চল্লিশ দিনের নামায কবুল হবে না”।

দ্বিতীয় প্রকার: কোন জ্যোতিষীর কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করে এবং সে যা বলেছে তা বিশ্বাস করে। এটি আল্লাহ্‌র সাথে কুফরী। কেননা এ ব্যক্তি জ্যোতিষীকে তার গায়েবের জ্ঞানের দাবীতে বিশ্বাস করেছে। কোন মানুষকে তার গায়েবের জ্ঞান জানার দাবীতে বিশ্বাস করা মানে আল্লাহ্‌র এ বাণীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা:
قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللَّهُ

অর্থ: বলুন, আসমান ও জমিনে যারা রয়েছে তাদের কেউ গায়েব জানে না; আল্লাহ্‌ ব্যতীত। [সূরা নামল, আয়াত: ৬৫] এ কারণে সহিহ হাদিসে এসেছে: “যে ব্যক্তি কোন জ্যোতিষীর কাছে এসে তার কথায় বিশ্বাস করল সে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর যা নাযিল হয়েছে সেটাকে অস্বীকার করল”।

তৃতীয় প্রকার: কোন জ্যোতিষীর কাছে এসে তাকে জিজ্ঞেস করা; যাতে করে মানুষকে তার অবস্থা জানাতে পারে এবং জানাতে পারে যে, এটি জ্যোতিষীপনা, বিভ্রান্তি ও গোমরাহী। এতে কোন অসুবিধা নাই। এর দলিল হলো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে সায়্যাদের কাছে এসেছেন এবং তিনি নিজের মনে যা আছে সেটা তার কাছে গোপন রেখেছেন। এরপর তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তিনি কী গোপন রেখেছেন? তখন সে বলল: আদ্‌দুখ। সে বুঝাতে চেয়েছে: আদ্‌দুখান (ধোঁয়া)।

– সৌদি স্থায়ী ফতোয়া কমিটি ও সর্বোচ্চ উলামা পরিষদের সাবেক সদস্য শাইখ ইবনে উসাইমিন, মাজজমুউ ফাতাওয়া ওয়া রাসায়িল, (২/১৮৪)
 
COMMENTS ARE BELOW

Share this page