- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 647
- Comments
- 790
- Reactions
- 6,877
- Thread Author
- #1
হাদীস : আবু মাসলামাহ সা'ঈদ ইবন ইয়াযীদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস ইবন মালিককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি জুতো পরিধান করে সালাত পড়তেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। [বুখারী: ৩৮৬; মুসলিম: ৫৫৫ ]
হাদীসের শিক্ষা :
(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীগণ জুতা নিয়েই সালাত আদায় করতেন। এ ব্যাপারে আরো অনেক হাদীস পাওয়া যায় যাতে জুতা নিয়ে সালাত আদায়ে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। সুনানে আবু দাউদে বলা হয়েছে, “ইয়াহুদীদের বিরোধিতা কর, তারা তাদের জুতা ও মোজায় সালাত পড়ে না।” অনুরূপভাবে আবু দাউদ আরো বর্ণনা করেন, “তোমাদের কেউ যখন মসজিদে আসে তখন যেন সে তার জুতা দেখে নেয়, যদি তাতে ময়লা কিংবা কষ্টকর কিছু দেখতে পায় সে যেন তা মুছে ফেলে এবং তাতে সালাত আদায় করে।” অনুরূপভাবে অপর হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুতা-সহ সালাত আদায় করছিলেন, হঠাৎ তিনি তা খুলে ফেললেন, সাথে সাথে সাহাবায়ে কেরামও তা খুলে ফেললেন। সালাতের পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুতা খোলার কারণ ব্যাখ্যা করলেন, জিবরীল তাঁকে জানিয়েছেন যে, তাতে ময়লা ছিল।
(২) এ হাদীস অনুযায়ী আমল করতে হলে তখনকার পরিবেশ পরিস্থিতি চিন্তা করতে হবে। সুতরাং যদি কোথাও সে অবস্থা পাওয়া যায় যে, মসজিদে কার্পেট কিংবা টাইলস করা হয়নি। তখন এ সুন্নাত জীবিত করা যাবে। এ ব্যাপারে তখন বিরোধিতা পাওয়া গেলে কাজটি যে সুন্নাত তা বুঝিয়ে দিতে হবে।
(৩) কোনো সুন্নাত প্রবর্তন করতে গেলে পরিবেশ ও পরিস্থিতি চিন্তা করা অবশ্যই প্রয়োজন। যদি কোথাও তার কারণে এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে যার কারণে বড় ফিতনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তখন সে সুন্নাত প্রতিস্থাপনে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। তবে সেটার অজুহাত দিয়ে সুন্নাত পরিত্যাগ করা যাবে না।
(৪) এ হাদীস দ্বারা আরো বুঝা যায় যে, মুসলিমরা মসজিদের সৌন্দর্যের চেয়ে সাজদাহ'র সৌন্দর্যে বিশ্বাসী জাতি ছিল। তারা সার্বক্ষণিক জিহাদের প্রস্তুতির কারণে জুতা পরিধান করে থাকতেন। আরামপ্রিয়তা ও ইবাদাতখানার চাকচিক্য আমাদেরকে মৌলিক কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
— উমদাতুল আহকাম (১ম খন্ড), অনুবাদ ও ব্যাখ্যা : ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া; সবুজপত্র পাবলিকেশন্স
হাদীসের শিক্ষা :
(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবীগণ জুতা নিয়েই সালাত আদায় করতেন। এ ব্যাপারে আরো অনেক হাদীস পাওয়া যায় যাতে জুতা নিয়ে সালাত আদায়ে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। সুনানে আবু দাউদে বলা হয়েছে, “ইয়াহুদীদের বিরোধিতা কর, তারা তাদের জুতা ও মোজায় সালাত পড়ে না।” অনুরূপভাবে আবু দাউদ আরো বর্ণনা করেন, “তোমাদের কেউ যখন মসজিদে আসে তখন যেন সে তার জুতা দেখে নেয়, যদি তাতে ময়লা কিংবা কষ্টকর কিছু দেখতে পায় সে যেন তা মুছে ফেলে এবং তাতে সালাত আদায় করে।” অনুরূপভাবে অপর হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুতা-সহ সালাত আদায় করছিলেন, হঠাৎ তিনি তা খুলে ফেললেন, সাথে সাথে সাহাবায়ে কেরামও তা খুলে ফেললেন। সালাতের পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুতা খোলার কারণ ব্যাখ্যা করলেন, জিবরীল তাঁকে জানিয়েছেন যে, তাতে ময়লা ছিল।
(২) এ হাদীস অনুযায়ী আমল করতে হলে তখনকার পরিবেশ পরিস্থিতি চিন্তা করতে হবে। সুতরাং যদি কোথাও সে অবস্থা পাওয়া যায় যে, মসজিদে কার্পেট কিংবা টাইলস করা হয়নি। তখন এ সুন্নাত জীবিত করা যাবে। এ ব্যাপারে তখন বিরোধিতা পাওয়া গেলে কাজটি যে সুন্নাত তা বুঝিয়ে দিতে হবে।
(৩) কোনো সুন্নাত প্রবর্তন করতে গেলে পরিবেশ ও পরিস্থিতি চিন্তা করা অবশ্যই প্রয়োজন। যদি কোথাও তার কারণে এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে যার কারণে বড় ফিতনা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তখন সে সুন্নাত প্রতিস্থাপনে কৌশল অবলম্বন করতে হবে। তবে সেটার অজুহাত দিয়ে সুন্নাত পরিত্যাগ করা যাবে না।
(৪) এ হাদীস দ্বারা আরো বুঝা যায় যে, মুসলিমরা মসজিদের সৌন্দর্যের চেয়ে সাজদাহ'র সৌন্দর্যে বিশ্বাসী জাতি ছিল। তারা সার্বক্ষণিক জিহাদের প্রস্তুতির কারণে জুতা পরিধান করে থাকতেন। আরামপ্রিয়তা ও ইবাদাতখানার চাকচিক্য আমাদেরকে মৌলিক কাজ থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
— উমদাতুল আহকাম (১ম খন্ড), অনুবাদ ও ব্যাখ্যা : ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া; সবুজপত্র পাবলিকেশন্স