সুরের বৈচিত্র্যও অভিনব!
আসুন কল্পনা করি সব মানুষের গলার স্বর একই রকম, সুরও এক ধরনের।
আপনাকে পাশের রুম থেকে কেউ ডাকল, আপনি বুঝতে পারবেন না, সে আপনার মা নাকি বাবা? নাকি আপনার ৭ বছরের সন্তান নাকি আপনার ৪০ বছরের ভাই?
আপনার গলার আওয়াজ বিক্রেতার আওয়াজের মতোই। হঠাৎ আরেকজন ক্রেতা ঢুকে একটা পণ্যের ব্যাপারে জানতে চাইল। সেও আপনার মতো আওয়াজে কথা বলল। বিক্রেতা আপনার মতো স্বরে উত্তর দিলো। দূর থেকে দোকানের মালিকও চিৎকার করল। একই সময়ে এক বাচ্চার মা দোকানের বাহির থেকে বাচ্চাকে ডাকল। বাচ্চা বিরক্তির সাথে জবাব দিলো। সব আওয়াজ একটা অন্যটার সাথে গুলিয়ে যাচ্ছে। আপনি বুঝতেই পারছেন না কে কথাটা বলছে।
জীবন তার গভীরতা হারিয়ে বসবে। আমরাও অনেকাংশে জীবনের বুঝ হারিয়ে ফেলব। আমাদের জীবনে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে। অনুভূতিগুলো এলোমেলো হয়ে যাবে। যে মানুষটা নতুন বিয়ে করল, তার স্ত্রীর গলার আওয়াজ যদি বন্ধুদের কিংবা মসজিদের ইমামের কিংবা গোত্রের প্রধানের কিংবা অফিসের প্রধানের মতো হয়, তাহলে স্ত্রীর গলা শুনে কি তার হৃদয়ে ভালোবাসার অনুভূতি সৃষ্টি হবে? খুবই বিরক্তিকর পরিস্থিতি দেখা যাবে তখন। দম বন্ধ হয়ে আসার মতো।
প্রথম মানুষটা সৃষ্টি করার আগে স্রষ্টা এই সকল সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা জানতেন। তাই প্রত্যেকের গলায় এক বিশেষ স্বর দিয়েছেন। এক ভিন্ন সুর দিয়েছেন। আলাদা ব্যক্তিত্ব প্রদান করেছেন। যার মাধ্যমে নারীর কণ্ঠ গভীর ও উয় হয়, আর পুরুষের কণ্ঠ শক্ত ও কর্কশ হয়। মায়ের কণ্ঠ তার হৃদয়ের মতোই দরদি হয়, আর শিশুর কণ্ঠ তার দুই চোখের দৃষ্টির মতোই নিষ্পাপ হয়!
আপনি আওয়াজ শুনেই বুঝতে পারেন অমুকের ছেলে তমুক আপনাকে ডাকছে। হ্যাঁ, কারণ তার আওয়াজে এমন বিশেষত্ব রয়েছে যেটা তার পূর্ণ নামের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে, যেটা তার চেহারার আকৃতির সাথে মিলে যায়, যেটা তার প্রতি আপনার অনুভূতিকে তুলে ধরে।
– তিনিই আমার রব, চতুর্থ খন্ড, লেখক: শাইখ আলি জাবির আল ফাইফি, ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ মজুমদার, সমকালীন প্রকাশন
আসুন কল্পনা করি সব মানুষের গলার স্বর একই রকম, সুরও এক ধরনের।
আপনাকে পাশের রুম থেকে কেউ ডাকল, আপনি বুঝতে পারবেন না, সে আপনার মা নাকি বাবা? নাকি আপনার ৭ বছরের সন্তান নাকি আপনার ৪০ বছরের ভাই?
আপনার গলার আওয়াজ বিক্রেতার আওয়াজের মতোই। হঠাৎ আরেকজন ক্রেতা ঢুকে একটা পণ্যের ব্যাপারে জানতে চাইল। সেও আপনার মতো আওয়াজে কথা বলল। বিক্রেতা আপনার মতো স্বরে উত্তর দিলো। দূর থেকে দোকানের মালিকও চিৎকার করল। একই সময়ে এক বাচ্চার মা দোকানের বাহির থেকে বাচ্চাকে ডাকল। বাচ্চা বিরক্তির সাথে জবাব দিলো। সব আওয়াজ একটা অন্যটার সাথে গুলিয়ে যাচ্ছে। আপনি বুঝতেই পারছেন না কে কথাটা বলছে।
জীবন তার গভীরতা হারিয়ে বসবে। আমরাও অনেকাংশে জীবনের বুঝ হারিয়ে ফেলব। আমাদের জীবনে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে। অনুভূতিগুলো এলোমেলো হয়ে যাবে। যে মানুষটা নতুন বিয়ে করল, তার স্ত্রীর গলার আওয়াজ যদি বন্ধুদের কিংবা মসজিদের ইমামের কিংবা গোত্রের প্রধানের কিংবা অফিসের প্রধানের মতো হয়, তাহলে স্ত্রীর গলা শুনে কি তার হৃদয়ে ভালোবাসার অনুভূতি সৃষ্টি হবে? খুবই বিরক্তিকর পরিস্থিতি দেখা যাবে তখন। দম বন্ধ হয়ে আসার মতো।
প্রথম মানুষটা সৃষ্টি করার আগে স্রষ্টা এই সকল সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা জানতেন। তাই প্রত্যেকের গলায় এক বিশেষ স্বর দিয়েছেন। এক ভিন্ন সুর দিয়েছেন। আলাদা ব্যক্তিত্ব প্রদান করেছেন। যার মাধ্যমে নারীর কণ্ঠ গভীর ও উয় হয়, আর পুরুষের কণ্ঠ শক্ত ও কর্কশ হয়। মায়ের কণ্ঠ তার হৃদয়ের মতোই দরদি হয়, আর শিশুর কণ্ঠ তার দুই চোখের দৃষ্টির মতোই নিষ্পাপ হয়!
আপনি আওয়াজ শুনেই বুঝতে পারেন অমুকের ছেলে তমুক আপনাকে ডাকছে। হ্যাঁ, কারণ তার আওয়াজে এমন বিশেষত্ব রয়েছে যেটা তার পূর্ণ নামের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে, যেটা তার চেহারার আকৃতির সাথে মিলে যায়, যেটা তার প্রতি আপনার অনুভূতিকে তুলে ধরে।
– তিনিই আমার রব, চতুর্থ খন্ড, লেখক: শাইখ আলি জাবির আল ফাইফি, ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ মজুমদার, সমকালীন প্রকাশন