জান্নাতের দরজ আটটি:
‘উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের যে ব্যক্তি পূর্ণ রূপে ওযু করবে অতঃপর এই দু’আ পাঠ করবে,
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল” তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতের প্রবেশ করতে পারবে।” [1]
“উতবা ইবন গাযওয়ান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা সম্পর্কে বলেন, “জান্নাতের দরজাসমূহের একটি দরজার দুটি চৌকাটের দূরত্ব চল্লিশ বছরের দূরত্বের সমান। অচিরেই তার উপর এমন একটি দিন আসবে সেদিন মানুষের ভিড়ের কারণে জান্নাতের দরজাগুলো লোকারণ্য থাকবে।” [2]
সাহাল ইবন স‘আদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতে আটটি দরজা আছে, তাতে রাইয়ান নামে একটি দরজা আছে, রোজাদার ব্যতীত কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না।” [3]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্নিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর পথে জোড়া জোড়া ব্যয় করবে তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে ডাকা হবে, হে আল্লাহর বান্দা! এটাই উত্তম। অতএব যে সালাত আদায়কারী, তাকে সালাতের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে, যে সিয়াম পালনকারী, তাকে রাইয়ান নামক দরজা থেকে ডাকা হবে। যে সা’দকা দানকারী তাকে সা’দকার দরজা থেকে ডাকা হবে। এরপর আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কুরবান হোক, যাকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে তার কোন প্রয়োজন নেই, তবে কি এমন কেউ থাকবে যাকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, আমি আশা করি তুমি তাঁদের মধ্যে হবে।”[4]
[1] মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪।
[2] মুসলিম: হাদিস নং ২৯৬৭।
[3] বুখারী, হাদীস নং ৩৫৫৭।
[4] বুখারী, হাদীস নং ১৮৯৭।
عن عمر بن الخطاب عن النبي قال: « مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ - أَوْ فَيُسْبِغُ - الْوَضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ: أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ إِلَّا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ ».
‘উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের যে ব্যক্তি পূর্ণ রূপে ওযু করবে অতঃপর এই দু’আ পাঠ করবে,
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসুল” তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে যাবে এবং যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতের প্রবেশ করতে পারবে।” [1]
وعن عتبة بن غزوان في حديثه في الدنيا والجنة والنار قال: « وَلَقَدْ ذُكِرَ لَنَا أَنَّ مَا بَيْنَ مِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ مَسِيرَةُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، وَلَيَأْتِيَنَّ عَلَيْهَا يَوْمٌ وَهُوَ كَظِيظٌ مِنَ الزِّحَامِ ».
“উতবা ইবন গাযওয়ান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা সম্পর্কে বলেন, “জান্নাতের দরজাসমূহের একটি দরজার দুটি চৌকাটের দূরত্ব চল্লিশ বছরের দূরত্বের সমান। অচিরেই তার উপর এমন একটি দিন আসবে সেদিন মানুষের ভিড়ের কারণে জান্নাতের দরজাগুলো লোকারণ্য থাকবে।” [2]
عن سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «فِي الجَنَّةِ ثَمَانِيَةُ أَبْوَابٍ، فِيهَا بَابٌ يُسَمَّى الرَّيَّانَ، لاَ يَدْخُلُهُ إِلَّا الصَّائِمُونَ»
সাহাল ইবন স‘আদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “জান্নাতে আটটি দরজা আছে, তাতে রাইয়ান নামে একটি দরজা আছে, রোজাদার ব্যতীত কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না।” [3]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " مَنْ أَنْفَقَ زَوْجَيْنِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، نُودِيَ مِنْ أَبْوَابِ الجَنَّةِ: يَا عَبْدَ اللَّهِ هَذَا خَيْرٌ، فَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّلاَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّلاَةِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الجِهَادِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الجِهَادِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصِّيَامِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الرَّيَّانِ، وَمَنْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الصَّدَقَةِ دُعِيَ مِنْ بَابِ الصَّدَقَةِ "، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا عَلَى مَنْ دُعِيَ مِنْ تِلْكَ الأَبْوَابِ مِنْ ضَرُورَةٍ، فَهَلْ يُدْعَى أَحَدٌ مِنْ تِلْكَ الأَبْوَابِ كُلِّهَا، قَالَ: «نَعَمْ وَأَرْجُو أَنْ تَكُونَ مِنْهُمْ»
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্নিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে কেউ আল্লাহর পথে জোড়া জোড়া ব্যয় করবে তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে ডাকা হবে, হে আল্লাহর বান্দা! এটাই উত্তম। অতএব যে সালাত আদায়কারী, তাকে সালাতের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে, যে সিয়াম পালনকারী, তাকে রাইয়ান নামক দরজা থেকে ডাকা হবে। যে সা’দকা দানকারী তাকে সা’দকার দরজা থেকে ডাকা হবে। এরপর আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বললেন, ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনার জন্য আমার পিতা-মাতা কুরবান হোক, যাকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে তার কোন প্রয়োজন নেই, তবে কি এমন কেউ থাকবে যাকে সব দরজা থেকে ডাকা হবে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, আমি আশা করি তুমি তাঁদের মধ্যে হবে।”[4]
লেখক : সা‘ঈদ ইবন আলী ইবন ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
[1] মুসলিম, হাদীস নং ২৩৪।
[2] মুসলিম: হাদিস নং ২৯৬৭।
[3] বুখারী, হাদীস নং ৩৫৫৭।
[4] বুখারী, হাদীস নং ১৮৯৭।