Knowledge Sharer
ilm Seeker
Uploader
Salafi User
- Joined
- Jan 12, 2023
- Threads
- 827
- Comments
- 1,075
- Solutions
- 19
- Reactions
- 11,892
- Thread Author
- #1
জাহান্নামের দরজাসমূহ:
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর নিশ্চয় জাহান্নাম তাদের সকলের প্রতিশ্রুত স্থান। ‘তার সাতটি দরজা রয়েছে। প্রতিটি দরজার জন্য রয়েছে তাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট একটি শ্রেণী।” [সূরা আল-হিজর: ৪৩, ৪৪]
জাহান্নামীরা দরজায় পৌঁছলেই তাদের জন্য তা খুলে দেয়া হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর কাফিরদেরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন জাহান্নামের কাছে এসে পৌঁছবে তখন তার দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে।” [সূরা আল-যুমার: ৭১]
তাদের প্রবেশের পরে দরজা আবার বন্ধ হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“আর যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে তারাই দুর্ভাগা। তাদের উপর থাকবে অবরুদ্ধ আগুন।” [সূরা আল-বালাদ: ১৯-২০]
জাহান্নামের দরজাগুলো সব সময় বন্ধ থাকবে, কোন আনন্দ সেখানে প্রবেশ করবে না আবার সেখানকার কোন দুঃখ কষ্টও বের হবে না। [1]
রমাদান মাসে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রামাযান মাসের প্রথম রাতেই শয়তান ও দুষ্ট জ্বীনদের শৃঙখলাবদ্ধ করে ফেলা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও তখন আর খোলা হয় না; জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও আর বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেনঃ হে কল্যাণকামী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে জাহান্নাম থেকে বহু লোককে মুক্তি দান। প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে।” [2]
[1] তাফসীরে বাগবী: ৪/৪৯১, তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/৫১৬, ৫৪৯।
[2] তিরমিযী: হাদীস নং ৬৮২।
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمَوۡعِدُهُمۡ أَجۡمَعِينَ ٤٣ لَهَا سَبۡعَةُ أَبۡوَٰبٖ لِّكُلِّ بَابٖ مِّنۡهُمۡ جُزۡءٞ مَّقۡسُومٌ ٤٤ ﴾ [الحجر: ٤٣، ٤٤]
“আর নিশ্চয় জাহান্নাম তাদের সকলের প্রতিশ্রুত স্থান। ‘তার সাতটি দরজা রয়েছে। প্রতিটি দরজার জন্য রয়েছে তাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট একটি শ্রেণী।” [সূরা আল-হিজর: ৪৩, ৪৪]
জাহান্নামীরা দরজায় পৌঁছলেই তাদের জন্য তা খুলে দেয়া হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ وَسِيقَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ إِلَىٰ جَهَنَّمَ زُمَرًاۖ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءُوهَا فُتِحَتۡ أَبۡوَٰبُهَا ﴾ [الزمر: ٧١]
“আর কাফিরদেরকে দলে দলে জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। অবশেষে তারা যখন জাহান্নামের কাছে এসে পৌঁছবে তখন তার দরজাগুলো খুলে দেয়া হবে।” [সূরা আল-যুমার: ৭১]
তাদের প্রবেশের পরে দরজা আবার বন্ধ হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿ وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بَِٔايَٰتِنَا هُمۡ أَصۡحَٰبُ ٱلۡمَشَۡٔمَةِ ١٩ عَلَيۡهِمۡ نَارٞ مُّؤۡصَدَةُۢ ٢٠ ﴾ [البلد: ١٩، ٢٠]
“আর যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে তারাই দুর্ভাগা। তাদের উপর থাকবে অবরুদ্ধ আগুন।” [সূরা আল-বালাদ: ১৯-২০]
জাহান্নামের দরজাগুলো সব সময় বন্ধ থাকবে, কোন আনন্দ সেখানে প্রবেশ করবে না আবার সেখানকার কোন দুঃখ কষ্টও বের হবে না। [1]
রমাদান মাসে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ، وَمَرَدَةُ الجِنِّ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ، فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ، وَفُتِّحَتْ أَبْوَابُ الجَنَّةِ، فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ، وَيُنَادِي مُنَادٍ: يَا بَاغِيَ الخَيْرِ أَقْبِلْ، وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ، وَلِلَّهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ، وَذَلكَ كُلُّ لَيْلَةٍ.
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রামাযান মাসের প্রথম রাতেই শয়তান ও দুষ্ট জ্বীনদের শৃঙখলাবদ্ধ করে ফেলা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও তখন আর খোলা হয় না; জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও আর বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেনঃ হে কল্যাণকামী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে জাহান্নাম থেকে বহু লোককে মুক্তি দান। প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে।” [2]
লেখক : সা‘ঈদ ইবন আলী ইবন ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
অনুবাদ: আব্দুল্লাহ আল-মামুন আল-আযহারী
সম্পাদনা: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী
[1] তাফসীরে বাগবী: ৪/৪৯১, তাফসীরে ইবন কাসীর: ৪/৫১৬, ৫৪৯।
[2] তিরমিযী: হাদীস নং ৬৮২।