কোনো মন্দব্যক্তি মারা গেলে অনেকেই তার ব্যাপারে মন্তব্য করেন যে, ‘জাহান্নামীটা আজ মারা গেল’ বা ‘সে বুঝবে জাহান্নামের ঠেলা’ কিংবা ‘সে একজন জাহান্নামী’ অথবা ‘বুঝছে, এখন কবরে কেমন শাস্তি হয়’। অপরপক্ষে কোনো ভালো মানুষ মারা গেলে বলা হয়, ‘সে জান্নাতী’ বা ‘সে জান্নাত পাবে’ ইত্যাদি।
কারো জান্নাতে যাওয়া বা জাহান্নামে যাওয়া অদৃশ্যের বিষয়। মানুষ তা জানে না। তাই কারো পক্ষেই দৃঢ়ভাবে বলা সম্ভব নয়, অমুক ব্যক্তি জান্নাতী বা জাহান্নামী। এ কারণে দুনিয়ার সবচেয়ে পাপিষ্ঠ মুসলিম ব্যক্তিটিও মারা গেলে বলা যাবে না সে জাহান্নামী। আবার দুনিয়ার সবচেয়ে নেককার মুসলিম ব্যক্তিটিও মারা গেলে বলা যাবে না, সে জান্নাতী। কারণ, জান্নাত বা জাহান্নামে যাওয়া মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তের আমলের ওপরও নির্ভর করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
একজন ব্যক্তি সারাজীবন জান্নাতের আমল করে যায়; এমনকি তার মাঝে আর জান্নাতের মাঝে এক হাত দূরত্ব থাকে। এমন সময় সে এমন কাজ করে ফেলে যার কারণে সে জাহান্নামে চলে যায়। অপরপক্ষে আরেকজন ব্যক্তি সারাজীবন জাহান্নামের আমল করে যায়; এমনকি তার মাঝে আর জাহান্নামের মাঝে এক হাত দূরত্ব থাকে। এমন সময় সে এমন কাজ করে ফেলে যার কারণে সে জান্নাতে চলে যায়। [সহীহুল বুখারী, ৩২০৮; সহীহ মুসলিম, ৩৬৪৩]
‘অমুক শহীদ’ বাক্যে আমরা দেখেছি যে, নির্দিষ্টভাবে কাউকে শহীদ বলা যাবে না। কারণ, আমরা কারো নিয়তের কথা জানি না। তাছাড়া আমরা জানি যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা যুদ্ধে নিহত ব্যক্তি, ক্বারী ও দানবীরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন; যাদেরকে দুনিয়াবাসী জান্নাতী মনে করত। অপরপক্ষে আমরা এমন ঘটনা জানি, যাদেরকে দুনিয়ার মানুষ জাহান্নামী বলে জানত, যেমন একশোজন হত্যাকরী, সেই জিনাকারি মহিলা যে কুকুরকে পানি পান করিয়েছিল, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দেবেন।
এ কারণে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত একমত যে, নির্দিষ্টভাবে কাউকে জান্নাতী বা জাহান্নামী বলা যাবে না। তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নির্দিষ্টভাবে কাউকে জান্নাতী বা জাহান্নামী ঘোষণা দিলে শুধু তাদেরকেই বলা যাবে।
--- বই: যেসব কথা বলতে মানা, লেখক: উস্তাদ আব্দুল্লাহ মাহমুদ; আযান প্রকাশনী
কারো জান্নাতে যাওয়া বা জাহান্নামে যাওয়া অদৃশ্যের বিষয়। মানুষ তা জানে না। তাই কারো পক্ষেই দৃঢ়ভাবে বলা সম্ভব নয়, অমুক ব্যক্তি জান্নাতী বা জাহান্নামী। এ কারণে দুনিয়ার সবচেয়ে পাপিষ্ঠ মুসলিম ব্যক্তিটিও মারা গেলে বলা যাবে না সে জাহান্নামী। আবার দুনিয়ার সবচেয়ে নেককার মুসলিম ব্যক্তিটিও মারা গেলে বলা যাবে না, সে জান্নাতী। কারণ, জান্নাত বা জাহান্নামে যাওয়া মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তের আমলের ওপরও নির্ভর করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
একজন ব্যক্তি সারাজীবন জান্নাতের আমল করে যায়; এমনকি তার মাঝে আর জান্নাতের মাঝে এক হাত দূরত্ব থাকে। এমন সময় সে এমন কাজ করে ফেলে যার কারণে সে জাহান্নামে চলে যায়। অপরপক্ষে আরেকজন ব্যক্তি সারাজীবন জাহান্নামের আমল করে যায়; এমনকি তার মাঝে আর জাহান্নামের মাঝে এক হাত দূরত্ব থাকে। এমন সময় সে এমন কাজ করে ফেলে যার কারণে সে জান্নাতে চলে যায়। [সহীহুল বুখারী, ৩২০৮; সহীহ মুসলিম, ৩৬৪৩]
‘অমুক শহীদ’ বাক্যে আমরা দেখেছি যে, নির্দিষ্টভাবে কাউকে শহীদ বলা যাবে না। কারণ, আমরা কারো নিয়তের কথা জানি না। তাছাড়া আমরা জানি যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা যুদ্ধে নিহত ব্যক্তি, ক্বারী ও দানবীরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন; যাদেরকে দুনিয়াবাসী জান্নাতী মনে করত। অপরপক্ষে আমরা এমন ঘটনা জানি, যাদেরকে দুনিয়ার মানুষ জাহান্নামী বলে জানত, যেমন একশোজন হত্যাকরী, সেই জিনাকারি মহিলা যে কুকুরকে পানি পান করিয়েছিল, আল্লাহ তাদেরকে জান্নাতে দেবেন।
এ কারণে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআত একমত যে, নির্দিষ্টভাবে কাউকে জান্নাতী বা জাহান্নামী বলা যাবে না। তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নির্দিষ্টভাবে কাউকে জান্নাতী বা জাহান্নামী ঘোষণা দিলে শুধু তাদেরকেই বলা যাবে।
--- বই: যেসব কথা বলতে মানা, লেখক: উস্তাদ আব্দুল্লাহ মাহমুদ; আযান প্রকাশনী