নফল সিয়াম প্রয়োজনে ভেঙ্গে ফেলা যায়। উম্মু হানী (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন ফাতেমা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) এসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বাম পাশে বসলেন, আর উম্মু হানী (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বসলেন তাঁর ডান পাশে। বর্ণনাকারী বলেন, এক দাসী এক পাত্রে পানীয় এনে তাকে দিলে তিনি তা থেকে কিছু পান করার পর উম্মু হানীর দিকে পাত্রটি এগিয়ে দিলেন এবং তিনি তা থেকে পান করলেন।
উম্মু হানী (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন,
‘হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি যে এখন ইফতার করলাম। আমি তো সিয়াম রেখেছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এগুলো ক্বাযা করতে চাও? তিনি বললেন, না। তিনি বললেন, যদি তা নফল সিয়াম হয়, তাহলে কোন ক্ষতি নেই’ (আবূ দাঊদ, হা/২৪৫৬; মিশকাত, হা/২০৭৯, সনদ সহীহ)।
তবে অপ্রয়োজনে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে নিয়মিত সিয়াম ভঙ্গ করলে অবশ্যই গুনাহগার হবে। এজন্য আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে কিন্তু কোন কাফফারা দিতে হবে না। কেননা নফল সিয়ামের কোন কাফফারা নেই। তবে ক্বাযা আদায় করে নেয়া যেতে পারে (ঐ)।
উম্মু হানী (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বললেন,
يَا رَسُوْلَ اللهِ لَقَدْ أَفْطَرْتُ وَكُنْتُ صَائِمَةً فَقَالَ لَهَا أَكُنْتِ تَقْضِيْنَ شَيْئًا قَالَتْ لَا قَالَ فَلَا يَضُرُّكِ إِنْ كَانَ تَطَوُّعًا
‘হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আমি যে এখন ইফতার করলাম। আমি তো সিয়াম রেখেছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি এগুলো ক্বাযা করতে চাও? তিনি বললেন, না। তিনি বললেন, যদি তা নফল সিয়াম হয়, তাহলে কোন ক্ষতি নেই’ (আবূ দাঊদ, হা/২৪৫৬; মিশকাত, হা/২০৭৯, সনদ সহীহ)।
তবে অপ্রয়োজনে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে নিয়মিত সিয়াম ভঙ্গ করলে অবশ্যই গুনাহগার হবে। এজন্য আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে কিন্তু কোন কাফফারা দিতে হবে না। কেননা নফল সিয়ামের কোন কাফফারা নেই। তবে ক্বাযা আদায় করে নেয়া যেতে পারে (ঐ)।
সূত্র: আল-ইখলাছ।
Last edited: