‘ছালাতুয যাওয়াল’ বা বা সূর্য ঢলে পড়ার ছালাত মূলতঃ ৪ রাক‘আত বিশিষ্ট নফল ছালাত। আব্দুল্লাহ ইবনুস সায়েব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সূর্য ঢলার পর হ’তে যোহরের পূর্ব পর্যন্ত ৪ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন এবং বলতেন, এ সময় আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়।
আমার একান্ত ইচ্ছা, এ সময় আমার কোন সৎকর্ম আল্লাহর দরবারে পৌঁছাক (তিরমিযী হা/৪৭৮; আহমাদ হা/২৩৫৯৭; মিশকাত হা/১১৬৯)। অন্য হাদীছে আবু আইয়ূব আনছারী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) সূর্য ঢলে পড়লে ৪ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি সূর্য হেলে গেলে (গুরুত্বের সঙ্গে) ৪ রাক‘আত ছালাত আদায় করেন কেন? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, সূর্য ঢলার পর আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয় এবং যোহরের সময় পর্যন্ত তা খোলা থাকে। আমি চাই এ সময় আমার কোন ভালো কাজ আকাশে পৌঁছাক।
আমি বললাম, এর প্রতি রাক‘আতেই কি ক্বিরাআত পড়তে হয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, ২ রাক‘আতের পর সালাম ফিরাতে হয় কি? তিনি বললেন, না (তিরমিযী, মুখতাছারুশ শামায়েল হা/২৪৯; আহমাদ হা/২৩৫৭৯; ছহীহুল জামে‘ হা/১৫৩২)। একদল বিদ্বানের মতে এই ছালাত ছিল যোহরের পূর্বের ৪ রাক‘আত সুন্নাত ছালাত (মানাভী, ফায়যুল ক্বাদীর ১/৪৬৭)। তবে ইবনুল ক্বাইয়িম, ইরাক্বী ও মুবারকপুরী সহ কতিপয় বিদ্বানের মতে এটি স্বতন্ত্র ছালাত, যাকে ‘ছালাতুয যাওয়াল’ বা সূর্য ঢলে পড়ার ছালাত বলা হয়। এটি যোহরের ছালাতের পূর্বের চার রাক‘আত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ নয় (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/২৯৮-৯৯; মির‘আতুল মাফাতীহ ৪/১৪৬; আওনুল মা‘বুদ ৪/১০৪; তোহফাহ ২/৪৭৯)। অতএব কেউ চাইলে নফল ছালাত হিসাবে এটি আদায় করতে পারে।
আত তাহরীক
আমার একান্ত ইচ্ছা, এ সময় আমার কোন সৎকর্ম আল্লাহর দরবারে পৌঁছাক (তিরমিযী হা/৪৭৮; আহমাদ হা/২৩৫৯৭; মিশকাত হা/১১৬৯)। অন্য হাদীছে আবু আইয়ূব আনছারী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) সূর্য ঢলে পড়লে ৪ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি সূর্য হেলে গেলে (গুরুত্বের সঙ্গে) ৪ রাক‘আত ছালাত আদায় করেন কেন? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, সূর্য ঢলার পর আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয় এবং যোহরের সময় পর্যন্ত তা খোলা থাকে। আমি চাই এ সময় আমার কোন ভালো কাজ আকাশে পৌঁছাক।
আমি বললাম, এর প্রতি রাক‘আতেই কি ক্বিরাআত পড়তে হয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, ২ রাক‘আতের পর সালাম ফিরাতে হয় কি? তিনি বললেন, না (তিরমিযী, মুখতাছারুশ শামায়েল হা/২৪৯; আহমাদ হা/২৩৫৭৯; ছহীহুল জামে‘ হা/১৫৩২)। একদল বিদ্বানের মতে এই ছালাত ছিল যোহরের পূর্বের ৪ রাক‘আত সুন্নাত ছালাত (মানাভী, ফায়যুল ক্বাদীর ১/৪৬৭)। তবে ইবনুল ক্বাইয়িম, ইরাক্বী ও মুবারকপুরী সহ কতিপয় বিদ্বানের মতে এটি স্বতন্ত্র ছালাত, যাকে ‘ছালাতুয যাওয়াল’ বা সূর্য ঢলে পড়ার ছালাত বলা হয়। এটি যোহরের ছালাতের পূর্বের চার রাক‘আত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ নয় (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ১/২৯৮-৯৯; মির‘আতুল মাফাতীহ ৪/১৪৬; আওনুল মা‘বুদ ৪/১০৪; তোহফাহ ২/৪৭৯)। অতএব কেউ চাইলে নফল ছালাত হিসাবে এটি আদায় করতে পারে।
আত তাহরীক