Doing Automated Jobs
প্রশ্নঃ গুনাহকারী কি কোন গুনাহের কারণে বেঈমান হয়ে যাবে?
উত্তর: যে শির্ক করবে সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে। অর্থাৎ বেঈমান হয়ে যাবে। তবে অন্যান্য বড় বা ছোট গুনাহ হলে ঈমানের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে না বরং সে মুমিন থাকবে বটে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ মুমিন নয়। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ»
‘‘যেনাকারী যখন যেনা করে তখন সে মুমিন থাকে না’’। (সহীহ আল-বুখারী, ২৪৭৫) অর্থাৎ তার ঈমান পূর্ণাঙ্গ থাকে না।
শির্ক ব্যতীত অন্যান্য ছোট বড় গুনাহকারী কাফের নয় এবং জাহান্নাম তার স্থায়ী নিবাস হবে না। যেমন; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«شَفَاعَتِي لِأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي»
‘‘আমার উম্মাতের মধ্যে যারা কবীরা গুনাহ করবে, তারাও আমার শাফা‘আতের (সুপারিশ) অন্তর্ভুক্ত’’। (আবুদাউদ, ৪৭৩৯)
বুখারী বর্ণিত অন্য এক হাদীসে আছে:
«يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنَ النَّارِ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَدْخُلُونَ الجَنَّةَ، يُسَمَّوْنَ الجَهَنَّمِيِّينَ»
‘‘আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নাম থেকে জাহান্নামী একদল গুনাহগার লোককে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুপারিশে বের করে আনবেন অতঃপর তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। লোকেরা তাদেরকে জাহান্নামী বলে সম্বোধন করবে।’’ (বুখারী, ৬৫৬৬)
তবে গুনাহগারের শাস্তি আল্লাহ ইচ্ছাধীন, তিনি ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ দিবেন কিংবা শাস্তি ভোগ করাবেন। মহামহিয়ান আল্লাহ বলেন:
﴿ لِّلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُۖ فَيَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ ٢٨٤ ﴾ [البقرة: ٢٨٤]
‘‘আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর। তোমাদের মনের মধ্যে যা আছে তা যদি প্রকাশ কর অথবা গোপন রাখ, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নিবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা শাস্তি দিবেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান’’। (সূরা আল -বাকারাহ: ২৮৪)
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী
উত্তর: যে শির্ক করবে সে ঈমানের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে। অর্থাৎ বেঈমান হয়ে যাবে। তবে অন্যান্য বড় বা ছোট গুনাহ হলে ঈমানের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে যাবে না বরং সে মুমিন থাকবে বটে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ মুমিন নয়। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ»
‘‘যেনাকারী যখন যেনা করে তখন সে মুমিন থাকে না’’। (সহীহ আল-বুখারী, ২৪৭৫) অর্থাৎ তার ঈমান পূর্ণাঙ্গ থাকে না।
শির্ক ব্যতীত অন্যান্য ছোট বড় গুনাহকারী কাফের নয় এবং জাহান্নাম তার স্থায়ী নিবাস হবে না। যেমন; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
«شَفَاعَتِي لِأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي»
‘‘আমার উম্মাতের মধ্যে যারা কবীরা গুনাহ করবে, তারাও আমার শাফা‘আতের (সুপারিশ) অন্তর্ভুক্ত’’। (আবুদাউদ, ৪৭৩৯)
বুখারী বর্ণিত অন্য এক হাদীসে আছে:
«يَخْرُجُ قَوْمٌ مِنَ النَّارِ بِشَفَاعَةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَيَدْخُلُونَ الجَنَّةَ، يُسَمَّوْنَ الجَهَنَّمِيِّينَ»
‘‘আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নাম থেকে জাহান্নামী একদল গুনাহগার লোককে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুপারিশে বের করে আনবেন অতঃপর তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। লোকেরা তাদেরকে জাহান্নামী বলে সম্বোধন করবে।’’ (বুখারী, ৬৫৬৬)
তবে গুনাহগারের শাস্তি আল্লাহ ইচ্ছাধীন, তিনি ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ দিবেন কিংবা শাস্তি ভোগ করাবেন। মহামহিয়ান আল্লাহ বলেন:
﴿ لِّلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُۖ فَيَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ ٢٨٤ ﴾ [البقرة: ٢٨٤]
‘‘আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর। তোমাদের মনের মধ্যে যা আছে তা যদি প্রকাশ কর অথবা গোপন রাখ, আল্লাহ তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নিবেন। অতঃপর যাকে ইচ্ছা শাস্তি দিবেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান’’। (সূরা আল -বাকারাহ: ২৮৪)
সূত্রঃ প্রশ্নোত্তরে তাওহীদ
লেখকঃ ড. ইবরাহীম ইবন সালেহ আল-খুদ্বায়রী