- Joined
- Jan 3, 2023
- Threads
- 653
- Comments
- 796
- Reactions
- 6,950
- Thread Author
- #1
গীবত মৃত ভাইয়ের গোস্ত খাওয়ার ন্যায় অপরাধ :-
পরনিন্দাকে ইসলামে মহা অপরাধ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমন কর্মকে মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এমর্মে আল্লাহ কুরআন মাজীদে বলেন,
‘হে মুমিনগণ! তোমরা বহুবিধ ধারণা হতে বিরত থাক; কারণ কোনো কোনো ধারণা পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ কি মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করতে ভালবাসবে? বস্তুত তোমরাও এটাকে ঘৃণাই করো। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ তওবা গ্রহণকারী, দয়ালু' [সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২]
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
'সামনে ও পশ্চাতে নিন্দাকারীর জন্য ধ্বংস সুনিশ্চিত' [সূরা হুমাযাহ, আয়াত ১]
কারো দোষের খবর অনুসন্ধান করা ও তা প্রচার করা অন্যায়। এরূপ কর্ম গীবতের মধ্যে শামিল। আর কারো পরনীন্দা করা আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার ন্যায় অপরাধ। এমন নিন্দনীয় জিনিসের সাথে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে যেন মানুষ এ কাজগুলো বর্জন করে। তাছাড়া পশ্চাতে নিন্দাকারী অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাবে। অপর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
‘হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে বিদ্রূপ না করে; কেননা তারা তাদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর কোনো নারীকেও যেন বিদ্রূপ না করে। কেননা সে তাদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং তোমরা এক অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পরে মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। যারা এ ধরনের আচরণ পরিত্যাগ করে না, তারাই অত্যাচারী” [সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১]
‘ওরা যখন অসার বাক্য শ্রবণ করে তখন ওরা তা পরিহার করে চলে। আর বলে, আমাদের কাজের ফল আমরা পাব, তোমাদের কাজের ফল তোমরা পাবে। তোমাদের প্রতি সালাম। জাহেলদের সাথে আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই’ [সূরা ক্বাছাছ, আয়াত ৫৫]
কোনো ব্যক্তিকে বিদ্রূপ করা ঠিক না। কেননা সে বিদ্রুপকারীর চেয়ে উত্তম হতে পারে। আবার কাউকে মন্দ নামে ডাকা নিষেধ। কাউকে অহেতুক দোষারোপ করা উচিত নয়। এগুলো কোনো মুমিনের কাজ নয়। প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তি এসব কর্মে জড়িত হতে পারে না। এসব নোংরা কাজ থেকে প্রতিটি মুসলিমকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জঘন্য কর্ম পরিহার করার সাথে যেখানে এগুলোর চর্চা হয় সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। যে সব জায়গায় গীবত করা হয় সে জায়গা থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। গীবতকারীর নিকটে থাকাও এক প্রকারের অপরাধ। তার কাছে থাকা তাকে গীবতে সহযোগিতার শামিল। গীবতকারীর শ্রোতা হওয়াও অন্যায়।
কৃতজ্ঞতায়- 'অপরাধ' বই (আত তাজদীদ প্রকাশনী)
পরনিন্দাকে ইসলামে মহা অপরাধ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমন কর্মকে মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করার সাথে তুলনা করা হয়েছে। এমর্মে আল্লাহ কুরআন মাজীদে বলেন,
‘হে মুমিনগণ! তোমরা বহুবিধ ধারণা হতে বিরত থাক; কারণ কোনো কোনো ধারণা পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ কি মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করতে ভালবাসবে? বস্তুত তোমরাও এটাকে ঘৃণাই করো। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ তওবা গ্রহণকারী, দয়ালু' [সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২]
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,
'সামনে ও পশ্চাতে নিন্দাকারীর জন্য ধ্বংস সুনিশ্চিত' [সূরা হুমাযাহ, আয়াত ১]
কারো দোষের খবর অনুসন্ধান করা ও তা প্রচার করা অন্যায়। এরূপ কর্ম গীবতের মধ্যে শামিল। আর কারো পরনীন্দা করা আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার ন্যায় অপরাধ। এমন নিন্দনীয় জিনিসের সাথে উদাহরণ দেওয়া হয়েছে যেন মানুষ এ কাজগুলো বর্জন করে। তাছাড়া পশ্চাতে নিন্দাকারী অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাবে। অপর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
‘হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে বিদ্রূপ না করে; কেননা তারা তাদের চেয়ে উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর কোনো নারীকেও যেন বিদ্রূপ না করে। কেননা সে তাদের অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং তোমরা এক অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পরে মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। যারা এ ধরনের আচরণ পরিত্যাগ করে না, তারাই অত্যাচারী” [সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১]
‘ওরা যখন অসার বাক্য শ্রবণ করে তখন ওরা তা পরিহার করে চলে। আর বলে, আমাদের কাজের ফল আমরা পাব, তোমাদের কাজের ফল তোমরা পাবে। তোমাদের প্রতি সালাম। জাহেলদের সাথে আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই’ [সূরা ক্বাছাছ, আয়াত ৫৫]
কোনো ব্যক্তিকে বিদ্রূপ করা ঠিক না। কেননা সে বিদ্রুপকারীর চেয়ে উত্তম হতে পারে। আবার কাউকে মন্দ নামে ডাকা নিষেধ। কাউকে অহেতুক দোষারোপ করা উচিত নয়। এগুলো কোনো মুমিনের কাজ নয়। প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তি এসব কর্মে জড়িত হতে পারে না। এসব নোংরা কাজ থেকে প্রতিটি মুসলিমকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জঘন্য কর্ম পরিহার করার সাথে যেখানে এগুলোর চর্চা হয় সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে। যে সব জায়গায় গীবত করা হয় সে জায়গা থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। গীবতকারীর নিকটে থাকাও এক প্রকারের অপরাধ। তার কাছে থাকা তাকে গীবতে সহযোগিতার শামিল। গীবতকারীর শ্রোতা হওয়াও অন্যায়।
কৃতজ্ঞতায়- 'অপরাধ' বই (আত তাজদীদ প্রকাশনী)
Last edited: