প্রশ্ন গীবত : বিয়ের ক্ষেত্রে

Joined
Feb 14, 2025
Threads
1
Comments
2
Reactions
8
আসসালামু আলাইকুম
বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়ে বা ছেলে যখন কাউকে পছন্দ না করে এবং কারণ হিসেবে বলে তার মধ্যে এই এই দোষ রয়েছে বা এই বিষয়গুলো রয়েছে যা তার পছন্দ নয় তখন কী তা গীবতের মধ্যে পড়বে?

মেয়ে বা ছেলে দেখার পর পরিবারের সদস্যরা যখন ছেলে মেয়ের বিভিন্ন দোষ গুন নিয়ে আলাপ আলোচনা করে সেটাও কী গীবতের আওতাভুক্ত হবে কী না?
 
@Khanjidak
বিবাহের উদ্দেশ্যে কোন ছেলে বা মেয়ের সম্পর্কে কিছু জানতে চাওয়া হ’লে তাদের দোষ-গুণ খোলাখুলি বলে দেওয়া যরূরী। দুশ্চরিত্র ও বদগুণের অধিকারী পাত্র-পাত্রী থেকে সতর্ক করা কর্তব্য। অন্যথা পরবর্তীতে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হ’তে পারে। সেজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর কাছে কেউ এ ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে তিনি স্পষ্টভাবে পাত্র-পাত্রীর দোষ বলে দিতেন। যেমন ফাতেমা বিনতে ক্বায়েস (রাঃ) ও তার স্বামী আবূ আমর ইবনে হাফস (রাঃ)-এর মাঝে যখন তালাক হয়ে যায়, তখন তিনি ইদ্দত পালনের জন্য আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূম (রাঃ)-এর ঘরে অবস্থান করেন। ইদ্দত পালন শেষে মু‘আবিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ান ও আবূ জাহাম তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। তখন ফাতেমা বিনতে ক্বায়েস (রাঃ) এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পরামর্শ চাইলে তিনি বললেন,أَمَّا أَبُو الْجَهْمِ فَلَا يَضَعُ عَصَاهُ عَنْ عَاتِقِهِ وَأَمَّا مُعَاوِيَةُ فَصُعْلُوكٌ لَا مَالَ لَهُ انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ، ‘আবূ জাহাম এমন লোক যে তার কাঁধ থেকে লাঠি নামিয়ে রাখে না (অর্থাৎ স্ত্রীকে মারধর করে)। আর মু‘আবিয়া তো নিঃস্ব তার কোন সম্পদ নেই। তুমি বরং উসামা ইবনু যায়েদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হও’। ফাতেমা (রাঃ) বলেন, প্রথম পর্যায়ে উসামাকে আমার পসন্দ হ’ল না। কিন্তু তিনি আমাকে পুনরায় উসামাকে বিয়ে করার পরামর্শ দিলেন। তখন আমি উসামার সঙ্গেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’লাম। বিয়ের পর দেখলাম, আল্লাহ তার মাঝে আমার জন্য বিরাট কল্যাণ নিহিত রেখেছেন। আর আমি তার স্ত্রী হওয়ার কারণে সবার কাছে ঈর্ষার পাত্রে পরিণত হয়েছি’। – মুসলিম হা/১৪৮০; আবূদাঊদ হা/২২৮৪; মিশকাত হা/৩৩২৪

ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, فِيهِ ‌دَلِيلٌ ‌عَلَى ‌جَوَازِ ‌ذِكْرِ ‌الْإِنْسَانِ بِمَا فِيهِ عِنْدَ الْمُشَاوَرَةِ وَطَلَبِ النَّصِيحَةِ وَلَا يَكُونُ هَذَا مِنَ الْغِيبَةِ الْمُحَرَّمَةِ بَلْ مِنَ النَّصِيحَةِ الْوَاجِبَةِ، ‘পরামর্শ ও উপদেশ দেওয়ার সময় মানুষের মাঝে বিদ্যমান ত্রুটির বর্ণনা দেওয়া যে বৈধ, এই হাদীছে তার দলীল বিদ্যমান। এটা হারাম গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না; বরং এটা আবশ্যিক নছীহতের অন্তর্ভুক্ত’। – শারহুন নববী আলা মুসলিম ১০/৯৭

যেসব ক্ষেত্রে গীবত করা জায়েয - আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
 
Back
Top