• আসসালামু আলাইকুম, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ফোরামে মেজর কিছু চেঞ্জ আসবে যার ফলে ফোরামে ১-৩ দিন মেইনটেনেন্স মুডে থাকবে। উক্ত সময়ে আপনাদের সকলকে ধৈর্য ধারণের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সালাফী আকিদা ও মানহাজে - Salafi Forum

Salafi Forum হচ্ছে সালাফী ও সালাফদের আকিদা, মানহাজ শিক্ষায় নিবেদিত একটি সমৃদ্ধ অনলাইন কমিউনিটি ফোরাম। জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় নিযুক্ত হউন, সালাফী আলেমদের দিকনির্দেশনা অনুসন্ধান করুন। আপনার ইলম প্রসারিত করুন, আপনার ঈমানকে শক্তিশালী করুন এবং সালাফিদের সাথে দ্বীনি সম্পর্ক গড়ে তুলুন। বিশুদ্ধ আকিদা ও মানহাজের জ্ঞান অর্জন করতে, ও সালাফীদের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে এবং ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের চেতনাকে আলিঙ্গন করতে আজই আমাদের সাথে যোগ দিন।

শিরক গণকের কাছে যাওয়া

Golam Rabby

Knowledge Sharer

ilm Seeker
HistoryLover
Q&A Master
Salafi User
Top Active User
Threads
870
Comments
1,022
Reactions
9,745
Credits
4,384
কোনো অবস্থাতেই গণকদের শরণাপন্ন হওয়া বৈধ নয়। কারণ নাবি (সা:) এই ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নাবি (সা:) এর স্ত্রী হাফসা থেকে সাফিয়্যা বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন,
“গণকের কাছে গিয়ে যদি কেউ কোনো বিষয়ে জানতে চায়, তবে তার ৪০ দিন এবং ৪০ রাতের সলাত কবুল হবে না।” (মুসলিম)

হাদীসে উল্লিখিত শাস্তি শুধু গণকের কাছে যাওয়া এবং কৌতূহলবশত তার কাছে কিছু জানতে চাওয়ার জন্য। এই নিষেধাজ্ঞা মুআবিয়া ইবনুল হাকাম আস-সালামী (রা:) থেকে বর্ণিত হাদীসের দ্বারা আরও বেশি জোরালো হয়েছে। তিনি বলেন,
"হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে এমন লোক আছে যারা গণকের কাছে যায়।” নাবি (সা:) উত্তরে বলেন, “তাদের কাছে যাবে না।” (মুসলিম)

শুধু গণকের কাছে গেলেই এমন কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। কারণ গণকের কাছে যাওয়াই হলো ভাগ্য গণনায় বিশ্বাসের শুরু। ভাগ্য গণনার বাস্তবতা সম্পর্কে সন্দিহান কোনো লোক যদি গণকের কাছে যায় এবং তার দু'একটা ভবিষ্যদ্বাণী যদি সত্যি হয়ে যায়, তাহলে ওই লোক প্রকৃত অর্থেই গণকের ভক্ত এবং ভাগ্য গণনায় একনিষ্ঠ বিশ্বাসী হয়ে পড়বে। কোনো ব্যক্তি যদি গণকের কাছে যায়, তারপরও তাকে পুরো ৪০ দিনের ফরজ সলাত আদায় করতে হবে। যদিও সে এই সলাতের বিনিময়ে কোনো সওয়াব পাবে না। কবুল হবে না মনে করে যদি সে সলাত আদায়ই ত্যাগ করে বসে, তাহলে সে আরও একটি কবীরা গুনাহ করল। চুরি করা সামগ্রীর উপরে কিংবা ভিতরে সলাত আদায় করলে সাওয়াব পাওয়া না পাওয়ার ব্যাপারে অধিকাংশ ফকীহদের যে মত, এটিও তেমনই একটি বিষয়। তাদের মতে, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কেউ যখন ফরজ সলাত আদায় করে তখন তার ফলাফল দুটি:
১. ব্যক্তি সলাত আদায়ের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পায়।
২. সলাতের বিনিময়ে সে সওয়াব পায়।

চুরি করা সামগ্রীর উপরে কিংবা অন্যায়ভাবে দখলকৃত সম্পত্তির মধ্যে সলাত আদায় করলে, সলাত আদায়ের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ঠিকই, তবে এজন্য কোনো সওয়াব পাওয়া যায় না। (তাইসীর আল আজীজ আল হামীদ, পৃ. ৪০৭ - তে উদ্ধৃত আন নাওয়াউইর বক্তব্য) এ কারণেই নাবি (সা:) একই ফরজ সলাত দুইবার পড়তে নিষেধ করেছেন।


--- এক, লেখক: ড. বিলাল ফিলিপ্স (সিয়ান পাবলিকেশন)
 
COMMENTS ARE BELOW
Top