খ্যাতনামা তাবেয়ী আহনাফ ইবনে কায়েস (রহ:) শিশুকাল থেকেই তিনি পোড় খাওয়া অভিজ্ঞজনদের সঙ্গে উঠা-বসা করতেন। তাদের সভা ও সমাবেশে নিয়মিত হাজির হতেন। দার্শনিক, ধৈর্য্য ও সহনশীলদের থেকে নিয়মিত শিক্ষা নিতেন।
তিনি নিজের সম্পর্কে বলেছেন-
'আমি আলেমদের মজলিসে আসা-যাওয়া করতাম ইলম শেখার উদ্দেশ্যে। ধৈর্য্য ও সহনশীলতা শিখতে হাজির হতাম 'ক্বায়েস ইবনে আসিম আল-মিনক্বারী'র মজলিসগুলোতে।'
একবার তাকে জিজ্ঞাসা করা হল-
'আপনার উস্তাদের সহনশীলতা কেমন ছিল?'
তিনি বলেন-
'আমি একবার তার কাছে গেলাম। দেখলাম, তিনি বাড়ির আঙ্গিনায় তরবারির খাপ দিয়ে পিঠ ও হাঁটুর জোড়া বেঁধে আরব নেতাদের মতো বিশেষ ধরনে বসে গল্পগুজবে মেতে আছেন, আমি তাকে সালাম দিয়ে বসে পড়লাম।
কিছুক্ষণ পরেই একটা হৈ চৈ শুনে আমরা উৎকর্ণ হলাম। দেখি তার সামনে এনে রাখা হল এক যুবকের লাশ এবং পিছন দিক মুড়িয়ে দু'হাত বাঁধা আরেক যুবক। বন্দী যুবকটিকে দেখিয়ে তাকে বলা হল-
'আপনার এই ভাতিজা আপনার পুত্রকে হত্যা করেছে...'
আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল, তিনি এসব শুনে তরবারির খাপের সেই বাধনটাও খুললেন না, তার বসার ধরণও পরিবর্তন হল না। তার কথাও থামালেন না। স্বাভাবিকভাবে যখন তার কথা শেষ হল, তখন তিনি উপস্থিত ভাতিজাকে লক্ষ্য করে বললেন-
'বেটা! তুমি নিজের চাচাতো ভাইকে খুন করলে! নিজের হাত দিয়েই আত্মিয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করলে...?
নিজের শরীরে নিজে তীর ছুড়ে মারলে...?'
এরপর উপস্থিত অন্য পুত্রকে নির্দেশ দিয়ে বললেন-
'বেটা, জলদি তোমার চাচাতো ভাইয়ের বাঁধন খুলে দাও... আর তোমার ভাইয়ের লাশ দাফনের ব্যবস্থা করো।
পুত্রের রক্তপণ হিসাবে তার মায়ের কাছে একশ উট পৌঁছে দাও। আহা! বেচারী ব্যথাতুর নিঃস্ব মহিলা।'
[সুওয়ারুম মিন হায়াতিত্তাবিঈন, ড. আব্দুর রহমান রাফাত পাশা]
তিনি নিজের সম্পর্কে বলেছেন-
'আমি আলেমদের মজলিসে আসা-যাওয়া করতাম ইলম শেখার উদ্দেশ্যে। ধৈর্য্য ও সহনশীলতা শিখতে হাজির হতাম 'ক্বায়েস ইবনে আসিম আল-মিনক্বারী'র মজলিসগুলোতে।'
একবার তাকে জিজ্ঞাসা করা হল-
'আপনার উস্তাদের সহনশীলতা কেমন ছিল?'
তিনি বলেন-
'আমি একবার তার কাছে গেলাম। দেখলাম, তিনি বাড়ির আঙ্গিনায় তরবারির খাপ দিয়ে পিঠ ও হাঁটুর জোড়া বেঁধে আরব নেতাদের মতো বিশেষ ধরনে বসে গল্পগুজবে মেতে আছেন, আমি তাকে সালাম দিয়ে বসে পড়লাম।
কিছুক্ষণ পরেই একটা হৈ চৈ শুনে আমরা উৎকর্ণ হলাম। দেখি তার সামনে এনে রাখা হল এক যুবকের লাশ এবং পিছন দিক মুড়িয়ে দু'হাত বাঁধা আরেক যুবক। বন্দী যুবকটিকে দেখিয়ে তাকে বলা হল-
'আপনার এই ভাতিজা আপনার পুত্রকে হত্যা করেছে...'
আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল, তিনি এসব শুনে তরবারির খাপের সেই বাধনটাও খুললেন না, তার বসার ধরণও পরিবর্তন হল না। তার কথাও থামালেন না। স্বাভাবিকভাবে যখন তার কথা শেষ হল, তখন তিনি উপস্থিত ভাতিজাকে লক্ষ্য করে বললেন-
'বেটা! তুমি নিজের চাচাতো ভাইকে খুন করলে! নিজের হাত দিয়েই আত্মিয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করলে...?
নিজের শরীরে নিজে তীর ছুড়ে মারলে...?'
এরপর উপস্থিত অন্য পুত্রকে নির্দেশ দিয়ে বললেন-
'বেটা, জলদি তোমার চাচাতো ভাইয়ের বাঁধন খুলে দাও... আর তোমার ভাইয়ের লাশ দাফনের ব্যবস্থা করো।
পুত্রের রক্তপণ হিসাবে তার মায়ের কাছে একশ উট পৌঁছে দাও। আহা! বেচারী ব্যথাতুর নিঃস্ব মহিলা।'
[সুওয়ারুম মিন হায়াতিত্তাবিঈন, ড. আব্দুর রহমান রাফাত পাশা]